আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মার শালারে মারঃ মেরে ফেলার পর লাশ নিয়ে চারদলীয় জোটের কর্মীদের উল্লাস



যুগান্তর থেকেঃ [গাঢ়]যুবলীগ কমর্ী সন্দেহে যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা : লাশ নিয়ে উল্লাস[/গাঢ়] বগুড়া শহরের সাতমাথায় পুরনো প্রেস ক্লাব চত্বরে বুধবার দুপুরে শিবির ও ছাত্রদলের সমাবেশে ককটেল হামলা চালানোর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে যুবদল নেতা মোহন শেখকে (22) প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর লাশ ঘিরে আনন্দ-উল্লাস করা হয়। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ দুঃখজনক ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদশর্ীরা বলেছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল-শিবির নেতাকমর্ীরা সপ্তপদী মার্কেটে হামলা চালিয়ে কয়েকটি দোকান ভাংচুর ও এক যুবককে আটক করে পুলিশে দেয়। এছাড়া যুবলীগ নেতাকমর্ী সন্দেহে পথচারীদের ধাওয়া করে।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি 14 দলের নেতাকমর্ীদের দায়ী করেছে। তবে 14 দল বলেছে, যুবলীগ কমর্ী সন্দেহে তারা নিজেদের কমর্ীকে হত্যা করেছে। প্রত্যক্ষদশর্ীরা জানান, দুপুর 12টার দিকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি খাদেমূল ইসলামের সভাপতিত্বে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের সমাবেশ চলছিল। দুপুর সাড়ে 12টার দিকে কে বা কারা সপ্তপদী মার্কেটের ওপর থেকে ওই সমাবেশ লক্ষ্য করে 4/5টি ককটেল নিক্ষেপ করে। প্রচণ্ড শব্দে ককটেলগুলো বিস্ফোরিত হলে পথচারীরা আতংকে ছোটাছুটি করতে থাকেন।

তখন সমাবেশের মাইক থেকে এ হামলার জন্য 14 দলকে দায়ী করে সপ্তপদীসহ কয়েকটি মার্কেট ঘেরাও করার নির্দেশ দেয়া হয়। বিক্ষুব্ধ নেতাকমর্ীরা সপ্তপদী মার্কেটের মধ্যে ঢুকে কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে। হামলাকারীদের ছুরিকাঘাতে দোকান কর্মচারী আলমগীর (25) আহত হন। এছাড়া স্টেশন রোডে যুবলীগ কমর্ী সন্দেহে রামদা উঁচিয়ে এক যুবককে ধাওয়া করা হয়। এ সময় সপ্তপদী মার্কেট থেকে নামতে গিয়ে যুবদল গোয়ালগাড়ী আঞ্চলিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহন শেখ ছাত্রদল-শিবির কমর্ীদের হাতে ধরা পড়ে।

তাকে মার্কেটের দক্ষিণ পাশে নিয়ে বেধড়ক মারধরের পর গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। প্রচুর রক্তক্ষণে ঘটনাস্থলেই মোহনের মৃতু্য হয়। তখন হত্যাকারীরা লাশের পাশে আনন্দ-উল্লাস করে। পরে পরিচয় জানার পর তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মোহন শহরে সুলতানগঞ্জপাড়ার আজাদ শেখের ছেলে।

তার মৃতু্যতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরে শহরের সাতমাথা থেকে ককটেল হামলায় জড়িত সন্দেহে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার কল্যাণী গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমানকে (28) আটক করে পুলিশে দেয়া হয়। ঘটনার সময় আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং পথচারীরা প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন। দুপুরে ময়নাতদন- শেষে মোহনের লাশ নিয়ে যুবদল নেতাকমর্ীরা শহরে মিছিল বের করে। পরে দাফনের জন্য তার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস-ান-র করা হয়।

নিহত মোহন শেখ সমপ্রতি অনুষ্ঠিত ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকে খুঁজছে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পর্বে উন্নীত হয়েছিল। সে একজন সম্ভাবনাময় গায়ক ছিল বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।