আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

14 দল ও চারদলের কমর্ীদের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া

অবসরের আড্ডা!!!

14 দলের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে গতকাল চট্টগ্রামে 14 দল ও চারদলের কমর্ীদের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন-ত 30 জন আহত হয়েছে। সকাল থেকে 14 দলের শান-িপূর্ণ কর্মসূচি চললেও দুপুরে ছাত্রলীগের ট্রাক মিছিলে চারদল কমর্ীদের হামলার জের ধরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। দুপুর 1টা থেকে 3টা পর্যন- দু'পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় অলংকার মোড় সাগরিকা রোড এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। 14 দলও এসময় অলংকার মোড়ে চারদলের সভামঞ্চ ভাংচুর করে। সংঘর্ষ চলাকালে 8/10টি যানবাহন ও দোকানপাট ভাংচুর করা হয়।

পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও এপিবিএন হিমশিম খায়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন-ত 30 জন আহত হয়। এর মধ্যে ছাত্রলীগ এক শিবির নেতার পা দেহ থেকে প্রায় বি"িছন্ন করে দেয়। তার নাম জাহেদ হোসেন। সে ছাত্রশিবির মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি বলে জানা গেছে।

এছাড়া ছাত্রদল ও শিবিরের হামলায় আহত ছাত্রলীগ ও স্বে"ছাসেবক লীগের কমর্ীদের মধ্যে বা"চু, ইকবাল, পাভেল, মনির হোসেন, খোকন হাজারী, অপু শর্মা, সিরাজ উদ্দিন ও সৈয়দের নাম জানা গেছে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সংঘর্ষের পরপর বিকালে অনুষ্ঠিত চারদলের সমাবেশ থেকে ছাত্রদল-শিবিরের নেতৃত্বাধীন ছাত্রঐক্য ছাত্রলীগকে যেখানে পাওয়া যায় সেখানে আঘাত করার নির্দেশ দিয়েছে। সন্ধ্যায় ছাত্রঐক্য অলংকার মোড় ও কর্নেল হাট এলাকায় সশস্ত্র অবস্থান নেয়। অলংকার মোড় থেকে ছাত্রঐক্যের একটি মিছিল একে খান গেটের 14 দলের সমাবেশে এসে হামলা চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।

এতে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির কমর্ীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ তথা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ অভিযোগ করেছে, ছাত্রদল-শিবির ক্যাডাররা ছাত্রলীগের শান-িপূর্ণ ট্রাক মিছিলে হামলা করে ই"ছাকৃতভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছে। তারা এ হামলার দাঁতভাঙা জবাব দেবে বলে একে খান গেটের সমাবেশ থেকে পাল্টা হুমকি দিয়েছে। দু'পক্ষই এ লক্ষ্যে রণপ্রস'তি নিয়েছে। যে কোন মুহূর্তে সংঘর্ষ ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করা হ"েছ।

সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখার সময় 14 দল একে খান গেট এলাকায় এবং চারদল অলংকার মোড়ে সমাবেশ করছিল। 14 দলের সমাবেশে মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও চারদলের সমাবেশে আমীর খসর" মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অবরোধের প্রথম দিন 14 দল শান-িপূর্ণ সমাবেশ ও কর্মসূচি পালন করলেও গতকাল হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দুপুর 1টার দিকে ছাত্রলীগের ট্রাক মিছিল একে খান গেট থেকে বন্দর নিমতল এলাকায় যাওয়ার পথে অলংকার মোড় এলাকায় পেঁৗছলে চারদলের সমাবেশ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এর জবাব দিতে ছাত্রলীগ কমর্ীরা ট্রাক থেকে নামলে শুর" হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ ও ভাংচুর।

এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ চারদল তথা ছাত্রঐক্যের কমর্ীদের অলংকার মোড় থেকে ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয় এবং তাদের সভামঞ্চ ভাংচুর করে। পরে চারদল ও ছাত্রঐক্যের কমর্ীরা সংগঠিত হয়ে ছাত্রলীগ ও স্বে"ছাসেবক লীগ কমর্ীদের ওপর হামলা চালায়। দুপুর 1টা থেকে বিকাল 3টা পর্যন- চার দফায় এ সংঘর্ষ চলে। সকাল থেকেই 14 দল নগরীর বন্দর নিমতল, বারিক বিল্ডিং মোড় ও একে খান গেট এলাকায় অবস্থান নেয়। 14 দল গতকালও বন্দর থেকে কোন ট্রাক বের হতে কিংবা বন্দরে কোন ট্রাক প্রবেশ করতে দেয়নি।

14 দলের বিভাগীয় সমন্বয়ক ও সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ 14 দলের নেতারা এ তিনটি পয়েন্টে ঘুরেফিরে অবস্থান করেন এবং বক্তব্য রাখেন। অন্যদিকে চারদল বন্দর তিন নম্বর জেটি ও অলংকার মোড়ের অদূরে সকাল থেকে সমাবেশ করে। অলংকার মোড়ে চারদলের সমাবেশে আবদুল্লাহ আল নোমান, আমীর খসর" মাহমুদ চৌধুরী ও মাওলানা শামসুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতা বক্তব্য রাখেন। অবরোধ চলাকালে চট্টগ্রামে বিভাগে ট্রেন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘি্নত হয়। সূবর্ণ এক্সপ্রেস কসবায়, উপকূল এক্সপ্রেস কুমিল্লার মন্দবাগ এলাকায়, জালালাবাদ এক্সপ্রেস আখাউড়ায় আটকা পড়ে।

বিমান চলাচলে কোন সমস্যা হয়নি বলে জানা গেছে। গতকালও অবরোধ চলাকালে নগরীর বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট বন্ধ ছিল। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত খোলা থাকলেও স্বাভাবিক কাজকর্ম ও ক্লাস বিঘি্নত হয়েছে। জনজীবন বিপর্যস- ছিল। অবরোধের কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে তিন পার্বত্য জেলাসহ অন্যান্য জেলার সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বি"িছন্ন হয়ে পড়ে।

বন্দর নিমতল, বারিক বিল্ডিং মোড় ও অলংকার মোড়ের অবরোধ কর্মসূচির সমাবেশ মঞ্চে একাধিক দফায় উপস্থিত হয়ে 14 দল চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমন্বয়ক ও মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ছাড়াও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ইসহাক মিয়া, মঈনুদ্দিন খান বাদল, কাজী ইনামুল হক দানু, ডা. আফসার"ল আমিনসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। হামলার নিন্দা গতকাল অবরোধ চলাকালে অলংকার মোড়ে সংঘটিত সংঘর্ষের জন্য 14 দলকে দায়ী করেছে চারদলীয় ঐক্যজোট। এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী লীগ তথা 14 দল চারদলীয় ঐক্যজোটের ওপর হামলা করে তাদের নোংরা চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস-ি দাবি করেছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।