সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
কাল রাতে আবু সাইয়িদের নিরন্তর সিনেমাটা দেখলাম। আবু সাইয়িদের আগের কোনো কাজ আমি দেখি নাই। নিরন্তর দেখে ভাল লাগলো। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এই মুভিটা প্রযোজনা করেছে।
হুমায়ূন আহমেদের জনম জনম উপন্যাস থেকে স্ক্রিপ্ট করেছেন হুমায়ূন আহমেদ ও আবু সাইয়িদ। ভাল সিনেমার জন্য পাওয়ারফুল স্টোরি লাইন যে খুব জরুরি তা নিরন্তর ও সমকালীন কয়েকটি বাংলা মুভি পাশাপাশি রেখে স্পষ্ট বোঝা গেল। হুমায়ূন আহমেদের গল্প বলার ক্ষমতা সম্পর্কে এতদিনে সব সন্দেহই দূর হয়ে গেছে। ফলে একথা নিশ্চিত করে বলা যায় তার গল্প থাকলে মুভি বা নাটক থেকে কোনো না কোনো বিনোদন আসবেই। আবু সাইয়িদ বেছে নিয়েছেন তিথির কাহিনী।
নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে সে। অভাব অনটনের প্রয়োজনে তাকে বেশ্যাবৃত্তি বেছে নিতে হয়। এ নিয়ে তার পরিবারে ও বাইরে নানা সংকট তৈরি হয়। ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। পুরুষের পৃথিবীতে এক একা মেয়ে তিথি।
সংসারের প্রয়োজনে সে কত কিছুই না করে। সংসারও মেনে নেয়। কিন্তু খানিকটা সচ্ছলতা ফিরলেই আবার লাগাম টেনে ধরার চেষ্ট করে তার মা। এক লাজুক খদ্দেরের মাধ্যমে তার পরিবারের সঙ্গেও অদ্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিথি শুধু দেখে যায় আর পরিস্থিতির প্রবাহে ভাসতে থাকে।
আবু সাইয়িদ বিষয় নিজের ডিরেক্টিং ক্যাপাবিলিটিকে কাজে লাগাতে পেরেছেন। পুরো ছবিতেই নিম্নকণ্ঠ থেকেছেন। প্রতিটি দৃশ্যে সমান মনোযোগ দিয়েছেন। কাস্টিংও পারফেক্ট। এরকম একটি ক্রিটিকাল বিষয়কে যেভাবে ডিল করেছেন তাতে অবাক হয়ে যেতে হয়।
পরপর কযেকটি সিনেমায় শাবনুরের যে অভিনয় দেখলাম তাতে তাকেও ট্রিবিউট দিতে হয়। আমজাদ হোসেনের কাল সকালে, শহীদুল ইসলাম খোকনের বাঙলা আর নিরন্তরে শাবনুর খুবই দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন। স্কুলিং-এর কারণে কাল সকালে ও বাঙলায় খানিকটা মেলোড্রামা তৈরি হয়েছে। কিন্তু নিরন্তরে তা নেই। নিরন্তরে শাবনুর তার সেরা কাজটাই করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।