আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

3য় গণহত্যার নীলনকশা প্রস'ত?-মুনতাসীর মামুন(অধ্যাপক, লেখক, ইতিহাসবিদ।)

বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।

বঙ্গভবনে অ্যাম্বুলেন্স -মেডিকেল বোর্ড বলেছে, রাষ্ট্রপতির স্বাস্থ্য স্থিতিশীল-নানা গুজব অনেকে বলছেন, বাংলাদেশে তৃতীয় গণহত্যার নীলনকশা প্রস'ত করা হয়েছে। এখন কার্যকর করার অপেক্ষা মাত্র। 1971 সালে প্রথম গণহত্যায় পাকি ও তাদের সহযোগী জামাতে ইসলামীরা হত্যা করেছিল 30 লাখ মানুষ। ধর্ষণ করেছিল কয়েক লাখ নারীকে।

দ্বিতীয় গণহত্যা হয় 2001-06 সালের মধ্যে। এ সময় বিএনপির সঙ্গে ছিল জামাত। জামাতের দুই নেতা নিজামী ও মুজাহিদ 1971 সালে যৌথভাবে কিলিং স্কোয়াড আলবদরদের নেতৃত্ব দিয়েছিল। জিয়াউর রহমানের আমলে তারা পুনর্বাসন হয়ে রাজনীতির সুযোগ পায়। দ্বিতীয় গণহত্যাকালে এক হিসেবে জানা যায় 41 হাজারকে হত্যা, 10 হাজারের বেশি নারীকে ধর্ষণ করা হয়।

এথনিক ক্লিনজিংয়ের ফলে, সংখ্যালঘুদের একটি অংশ দেশ ত্যাগ করে। এবার শুরু হচ্ছে তৃতীয় গণহত্যার পালা। এ পালায় নেতৃত্বে আছে জামাত, তার সহযোগী হিসেবে আছে ভেঙে যাওয়া বিএনপি ও তালেবান আমিনী। দ্বিতীয় গণহত্যায় রাষ্ট্রপতি ছিলেন ড. ইয়াজউদ্দিন বা ইয়েসউদ্দিন। তখন তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া, নিজামী, মান্নান ভূঁইয়া ও তারেক।

এবার দৃশ্যপট খানিকটা বদলাচ্ছে। এবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেই ইয়েসউদ্দিন রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায়ক প্রধান হিসেবে। আগের সামনের কুশলীরা শুধু এখন পেছনে। আরো লক্ষণীয় আগের দুটি গণহত্যায় নিজামী মোজাহিদ ও তাদের দল সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল এখন তারা প্রধান ভূমিকা পালন করবে। বিএনপির পাতি নেতা আমান ঘোষণা করেছে, জামাতী ভাইদের সঙ্গে তারা থাকবে।

একই রকম ইঙ্গিত করেছেন শ্রদ্ধেয় লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। বাংলাদেশের 2006 সালের নভেম্বরের ঘটনার সঙ্গে 1971 সালের মার্চের ঘটনাবলীর মিল দেখতে পেয়েছেন তিনি। তার মতে, ইয়াজউদ্দিন যদি খালেদা-তারেকের কথা মতো চলেন এবং জামাত ও তার সহযোগী বিএনপি নেতৃত্বের মধ্যে যদি শুভবুদ্ধির উদ্রেক না হয় তা হলে তাদেরও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে। লিখেছেন তিনি, যদি 'ইয়াজউদ্দিন একাত্তরের ইয়াহিয়ার মতো ভ্রানত্দ পদক্ষেপ নেন, তাহলে যুদ্ধ এবং রক্ত অনিবার্য, মার্কিনী বা বিদেশী শানত্দি বাণীতে কোনো কাজ হবে না। ' (যুগানত্দর-20 নভেম্বর 06)।

গণহত্যার নীলনকশার প্রস'তের সন্দেহের অনেক কারণ আছে। এ কথা সর্বজনবিদিত যে জোট গত 5 বছরে একটি কাজই করেছে বিচারালয় থেকে গণিকালয় সবখানে সমাজের বর্জ্য যারা তাদের সাপোর্টার তাদের বসিয়েছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অর্থ এই যে, তাদের সরানো হবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যেমন জার্মানিতে ডি-নাজিফিকেশন করা হয়েছিল। ড. ইয়েসউদ্দিন একটি কাজও করেননি। কোহিনূরের মতো সামান্য এক কর্মচারি বা তিন বছর আগের ডেপুটি সেক্রেটারি, জামাতের খাস ক্যাডার হিসেবে পরিচিত বর্তমানে সচিব সোলায়মান বা জহুরুলকেও সরাতে পারেননি।

এরা এথনিক ক্লিনজিং, হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। প্রশাসনে যে লোকটি বাংলাদেশে মৌলবাদের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে সেই ওমর ফারুকেরও চুক্তি বাতিল করে একদিন পর পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোহিনূরকে রাঙ্গামাটিতে বদলি করে আবার তা বাতিল করা হয়েছে। কারণ, কোহিনূর জানিয়েছে সেখানে সে যাবে না। এতো গেলো একদিক, অন্যদিকে খবরে দেখলাম কচুয়ার ইউএনও করা হয়েছে সেই ব্যক্তিকে যে পরবতর্ীকালে এসিল্যান্ড ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ডানহাত কচুয়ায় নির্যাতন চালিয়েছে।

কচুয়ার বিরোধীদল তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। কচুয়ার মতো বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে সব ইউএনও, ডিসি, এসপি, ওসি নিয়োগ করা হচ্ছে তারা যদি আগে হত্যাকারি, নির্যাতনকারি বা জোটের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকে তাহলে তাদের প্রতিহত করুন। বিরোধী দলের আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই প্রতিরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া বাঞ্ছনীয়। গত কয়েকদিন খবরের কাগজ পড়ে যা জানা যাচ্ছে তা হলো, উপদেষ্টাদের চাপে পড়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রধান কিছু করতে চাইলে সে খবর সরাসরি পেঁৗছে দেওয়া হয় চোরভবনে। সঙ্গে সঙ্গে খালেদা জিয়া চলে আসেন বঙ্গভবনে।

কী যেন টনিক খাওয়ান বৃদ্ধকে। সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধ সজীব হয়ে ওঠে চোরভবনের নির্দেশ মান্য শুরু করেন। এসব ক্ষেত্রে কোনো রাখঢাক নেই। গত পরশু অনেকে বঙ্গভবনে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিল। পুলিশের হাতে স্মারকলিপি দিয়ে সবাইকে চলে আসতে হয়েছে।

যেই জোটের সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি স্মারকলিপি দিতে গেলো (অবরোধে যেন ট্রাক-বাস চলাচল করতে পারে এই তাদের দাবি) তখনই পুলিশ জানাল, তারা ইচ্ছে করলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে পারেন। উপদেষ্টাদের সার্কাসের খেলোয়াড়দের মতো কসরতে অনেকে বিভ্রানত্দ। তারা গত কয়েকদিন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করলেন, নোট নিলেন, সুপারিশ তৈরি করে উৎফুল্ল হয়ে সবাইকে জানালেন, তারা এমন ফমর্ুলা তৈরি করেছেন যে রাজনৈতিক দল ও জনগণ উল্লাসে দিগম্বর হয়ে নৃত্য করবে। সবাই আশান্বিত। ফলাফল অশ্বডিম্ব।

কয়েকজন উপদেষ্টার কথাবার্তা শোনে বোঝা যায়নি তারা কী চান? তারা সরাসরি জোটের সমর্থক। কিছু ছদ্মবেশে আছেন কিন' মানসিক দিক থেকে জোট সমর্থক। 2001 সালে জোটকে ক্ষমতায় আনার জন্য যে সব প্রকৌশলী কাজ করেছিলেন তাদের মধ্যে ড. আকবর আলি খান অন্যতম। দুদিন আগে কী বলেছিলেন এখন কী বলছেন শোনেন। উপদেষ্টারা এখন তাবেদারী ভূমিকা ছাড়া কিছুই করতে পারবেন না।

খুব মজা লাগে এরাও যখন জোটের মতো সংবিধানের কথা গেলেন। জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ বন্দুক হাতে যখন সংবিধানকে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছিল এরা তখন চাকরি করেননি? করেছেন, কোনো কথা না বলে। হাইকোর্ট তা অনুমোদন দিয়েছে। আমরাও তো সেই লাথি মারা সংবিধানের নিচে থেকেছি। সব বাদ দেন, তিন সপ্তাহ আগে স্বয়ং রাষ্ট্রপতিই সংবিধান ভঙ্গ করেছেন।

আর এখন মান্নান ভূঁইয়া ও উপদেষ্টারা বলছেন সংবিধানে নাকি ক্ষমতা সীমিত। জেনারেল মশহুদ জানেন না সংবিধান থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ক্লিনহার্ট অপারেশন চলেছিল? ড. আকবর জানেন না, সংবিধান থাকা সত্ত্বেও কীভাবে জোট ক্ষমতায় এসেছিল? যে গণহত্যা ড. ইয়েসউদ্দিনের নেতৃত্বে চালানো হবে বলে সবাই অনুমান করছে তার অংশীদার হতে না চাইলে উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের যতো যা ঘটবে তার দায়দায়িত্ব আপনাদেরও বহন করতে হবে। আসলে পুরো বিষয়টা ব্যাপক পরিসরে দেখা উচিত। দু'টি মতাদর্শের লড়াই চলছে।

এটি আওয়ামী লীগ বিএনপি-জামাত দ্বন্দ্ব নয়। দুটি মতাদর্শ রাষ্ট্রে প্রধান থাকতে পারে না। একটিকে অপ্রধান হতেই হবে। একটি উদাহরণ দিই। 1947-69 সালে বাংলাদেশে পাকিসত্দান আদর্শ ছিল প্রধান, বাংলাদেশ আদর্শ অপ্রধান।

1969-71 সালে বাংলাদেশ আদর্শ সমান সমান হয়ে ওঠে এবং কে প্রধান থাকবে তার জন্য সংঘাত, রক্তপাত অনিবার্য হয়ে ওঠে। 1972-এর পর বাংলাদেশ আদর্শের পাশাপাশি ফের পাকিসত্দানী আদর্শের ঝাণ্ডা তুলে ধরে জামাত-বিএনপি-জাতীয় পার্টি। এরা ক্রমেই শক্তিশালী হয়েছে। এবং 2001 থেকে এ পর্যনত্দ বাংলাদেশ আদর্শের সমপর্যায়ের হয়ে উঠেছে। জোটের আদর্শ ধর্ম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা যাতে ধর্মের নামে মানুষকে শোষণ করা যায় যেটি তারা করে আসছে গত পাঁচ বছর।

এবং ধর্মের নামে যাতে কোতল করা যায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায়। অন্যদিকে 14 দল ধর্মরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, ধর্মের নয়। মানুষের ন্যায্য গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী। আজিজ গংরা উপলক্ষ মাত্র। ড. ইয়েসউদ্দিনকে, আজিজকে রাখতেই হবে।

কেন না চোর ভবন তা চায়। প্রশাসনকে ভূঁইয়ারা যেমন রেখে গিয়েছিল তেমনই রাখতে হবে কেন না চোর ভবন তা চায়। চোর ভবন ড. ইয়েসউদ্দিনের ছেলেকে বেআইনীভাবে সিএনজি স্টেশন স্থাপনে জমি ঋণ দিয়েছে, আরো 18 কোটি ঋণের বন্দোবসত্দ করছে। সুতরাং, চোর ভবন যা বলবে ইয়েসউদ্দিনকে তাই করতে হবে। যদি তা না হতো তা হলে 21 দিনে বাংলাদেশ 'নিরপেক্ষ' প্রশাসন স্থাপন করা সহজ হতো।

আজিজ গংও লাথি খেয়ে চলে যেতো। সুতরাং, সংঘাত অনিবার্য। জামাত যেখানে থাকে সেখানে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় গণহত্যা চালিয়ে মানুষের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দিতে চায়। প্রথম প্রথম তাতে সফল হয়। অনত্দিমে অবশ্য পরাজিত হয়।

1971, 2001 এর কথা মনে করুন। 14 দল আবার অবরোধ দিয়েছে। বিএনপি-জামাত-জাতীয় পার্টি ছাড়া সবাই তাতে সামিল হয়েছে। যেসব খুচরো দল 14 দলকে সমর্থন করছে, ভাবার কারণ নেই যে এরা সবাই ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। জোট, মানুষের রুদ্ররোষ থেকে বাঁচার জন্য ও ভবিষ্যতে কিছু পাওয়ার জন্য এরা 14 দলের সঙ্গে লিঁয়াজো করছে।

14 দলও তা জানে। অবরোধ সফল হবে কি না জানি না। ঢাকা শহরে অফিস আদালত এবং অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছে। পুরোদমে তারা কাজ করছে। এ প্রবণতা বাড়লে অবরোধ ব্যর্থ হবে।

এবং জোট অবশ্যই তা চাইবে। কীভাবে এগুলো বন্ধ রাখতে হয় তা নিয়ে 14 দলকে শেখাতে হবে না। এই খোলা রাখা আন্দোলনের স্বার্থে না বিপক্ষে যাচ্ছে তা অবশ্য তারাই বিবেচনা করবে। এ লেখাটি যখন লিখছি তখন অবরোধের মাত্র ছয় ঘণ্টা অতিবাহিত হয়েছে, শানত্দিপূর্ণভাবে। লেখাটি যখন ছাপা হবে তখন দৃশ্যপট বদলেও যেতে পারে।

তবে, আমি মনে করি না, নির্বাচন না হওয়া পর্যনত্দ সংঘাত থামবে। জোট অর্থ, অস্ত্র নিয়ে তৈরি। বিরোধী দল যিশুখৃস্টের ভূমিকায় থাকলে হটে যেতে হবে। এই প্রথম মানুষজন আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে। অবরোধের জন্য মানসিকভাবে প্রস'তি নিয়েছে।

এমন কি জোট সমর্থক শিল্প/ব্যবসা সমিতি খালেদা ও ড. ইয়াজউদ্দিনের কাছ থেকে ব্যাম্বু উপহার পেয়ে ঘোষণা করেছে তারাও বঙ্গভবন ঘেরাও করবে। যদিও এটি কথার কথা তবুও এতে আন্দোলন সফল হওয়ার ইঙ্গিত পাচ্ছি। অবরোধ সফল হতে পারে, নাও পারে। আজিজ গং-এর অধীনে নির্বাচন হতে পারে, নাও হতে পারে। কিন', বহুদিন পর, হ্যা বহুদিন পর দেখা যাচ্ছে, অসামপ্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মতাদর্শে বিশ্বাসীরা শক্তি ও আস্থা অর্জন করেছেন।

গত দুটি অবরোধে দেখা গেছে, শেখ হাসিনার কথা মতো দেশ চলছে। ইয়েসউদ্দিন, খালেদা-মান্নান-নিজামীর কথায় নয়। ইয়েসউদ্দিনের পিছে মান্নান ভূঁইয়ার ভাষায় 14 কোটি লোক আছে, সামাজিক বর্জ্যদের নিয়ে গঠিত প্রশাসন আছে। নষ্ট হয়ে যাওয়া পুলিশ বাহিনী আছে, জোটের দিকে ঝোঁক (যাকে ইস্কান্দার পন্থিও বলা হয়ে থাকে) সেনাবাহিনী আছে, মার্কিনিরাও আছে, তারপরও দুদুটো অবরোধের তারা কিছুই করতে পারেনি। তাদের এতো হম্বিতম্বিতে কিছুই হলো না।

অনত্দিম লড়াইয়ে যদি শেখ হাসিনাকে জিততে হয় তাহলে এই যে শক্তি অর্জন করেছে তা অনুধাবন করতে হবে। এ শক্তি যথাযথভাবে ব্যবহার করে মানুষের ইচ্ছা পূরণ করে মর্যাদা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে দোদুল্যমানতা, নাকি লবিংয়ের প্রভাব, আত্মীয়দের বন্ধন, চাটুকারদের প্রণত অবস্থা কিছুই যেন বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। এখনো তিনি সে লক্ষ্যে আছেন। মানুষও আছে।

এখন অবস্থা এমন যে, খানিকটা বিচু্যতি মানুষকে সরিয়ে নেবে। সাধারণরা বলছে, গত 30 বছর মার খেয়েছি আর মার খেতে রাজি না। বরং প্রয়োজনে মার দিতে রাজি। একথা শেখ হাসিনা, 14 দলের কোনো কোনো নেতা আগে বলেছেন, এখন বারবার বলুন। তাই আমরা শুনতে চাই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।