আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ই-ব্যাংকিংয়ে লেনদেন দুই বছরে আড়াই গুণ

দেশে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ব্যাংকিং লেনদেন দ্রুত বাড়ছে। দুই বছরের ব্যবধানে ই-ব্যাংকিং লেনদেন বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন-২০১৩’ থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি গতকাল রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
এতে দেখা যায়, ২০১০ সালে দেশে ই-ব্যাংকিং লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮৭ হাজার ৮০৭ কোটি টাকা।

আর ২০১২ সাল শেষে তা এক লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
ইলেকট্রনিক লেনদেনের অর্ধেকই অবশ্য সম্পন্ন হয়েছে এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) বুথের মাধ্যমে। ২০১২ সালে ৯৬ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে দেশের বিভিন্ন এটিএম বুথ ব্যবহার করে। এই সময়কালে ব্যাংকগুলো নতুন এক হাজার ৩৫৯টি এটিএম স্থাপন করেছে।
আবার প্লাস্টিক মানি বা কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডের চেয়ে ডেবিট কার্ডে লেনদেন বেশি হয়েছে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১০ ও ২০১১ সালে ব্যাংকগুলো থেকে ক্রেডিট কার্ড প্রদান অনেকটাই স্থবির ছিল। তবে ২০১২ সালে তা অনেক বেড়ে যাওয়ায় এই বছর ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৩০ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এই বছর মোট ২৮টি ব্যাংক গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ড সুবিধা দিয়েছে। ২০১০ ও ২০১১—দুই বছরই এই সংখ্যা ছিল ২৬। অর্থাৎ দুই বছর পর নতুন দুটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবা দিতে শুরু করেছে।


অন্যদিকে গত বছর ডেবিট কার্ডে লেনদেন হয়েছে ৫৬ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। এই বছর ডেবিট কার্ড সেবাদানকারী ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩৬ ও ৩৮। অর্থাৎ প্রতিবছর দুটি করে নতুন ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য ডেবিট কার্ড সেবায় যুক্ত হয়েছে। ডেবিট কার্ড একই সঙ্গে এটিএম কার্ড হিসেবে ব্যবহূত হয়।


ডেবিট কার্ডে গ্রাহকেরা সাধারণত নিজেদের ব্যাংক হিসাবে গচ্ছিত অর্থই ব্যয় করে থাকেন। অন্যদিকে ক্রেডিট কার্ডে ব্যবহূত অর্থ মূলত ব্যাংক থেকে ঋণ হিসাবে নেওয়া হয়, গ্রাহক যা পরে পরিশোধ করেন। বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটায় গ্রাহকেরা এখন এই কার্ড ব্যবহার করে থাকেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে আরও দেখা যায়, গত বছর শেষে দেশের ৪২টি ব্যাংক পুরোপুরি বা আংশিক অনলাইন সেবা দিচ্ছে। এর ফলে এসব ব্যাংকের গ্রাহকেরা যেকোনো শাখায় টাকা জমা দেওয়া ও উত্তোলন করার সুবিধা পাচ্ছেন।

২০১০ সালে ৩৮টি ও ২০১১ সালে ৪০টি ব্যাংক আংশিক বা পূর্ণ অনলাইন সুবিধা দিয়েছিল।
গ্রাহক ভিত্তি বাড়ানোর জন্য ব্যাংকগুলো অনলাইন সুবিধা ও কার্ড সেবা প্রদানের দিকে ঝুঁকেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে আরও দেখা যায়, ইলেকট্রনিক তহবিল স্থানান্তর (ইএফটি) কার্যক্রমও যথেষ্ট গতি পেয়েছে। গত বছর দৈনিক ২০ হাজার ৯৫০টি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে বিইএফটিএনের মাধ্যমে। ফলে ২০১২ সালে মোট ২৮ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা লেনদেন নিষ্পত্তি হয়েছে ইএফটির মাধ্যমে।

এটি তার আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।