আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কমিউনিস্ট জোকস্ ৬



কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য নেওয়া হচ্ছে । তার জন্য চলছে ইন্টারভিউ । এমনই এক সাক্ষাৎকারের বিবরন: প্রশ্ন : তোমার মা কে ? উত্তর : সোভিয়েত ইউনিয়ন । প্রশ্ন : তোমার বাবা কে ? উত্তর : আমাদের মহান নেতা কমরেড স্তালিন । প্রশ্ন : তোমার সবচেয়ে কাঙ্খিত স্বপ্ন কী ? উত্তর : অচিরেই পুরোপুরি অনাথ হয়ে যাওয়া ।

দুই কয়েদির কথোপকথন : -- আপনাকে ক্থবছরের জেল দিয়েছে ? -- কুড়ি বছরের । -- কারন কী ? -- এমনি । কোনও কারন ছাড়াই । -- মিথ্যে কথা । কারণ ছাড়া হলে তো দশ বছরের জেল হয় ।

সোভিয়েত দেশ ছেড়ে আমেরিকায় গিয়ে বসবাস করছিলেন এক ভদ্রলোক । সেখানে জমজমাট ব্যবসা করে একদিন রীতিমতো কোটিপতি হয়ে গেলেন তিনি । বয়সও হয়েছিল । দুঃখের বিষয়, আমেরিকা যাওয়ার সময় তাঁর পরিবারের সকলকে নিয়ে যেতে পারেননি । বিশষ করে ছোট নাতির জন্য তাঁর মন কেমন করত ।

ইতিমধ্যে ছোট শিশুটি যুবক হয়েছে । বৃদ্ধ কোটিপতি চিঠি লিখলেন নাতিকে -- যেভাবে পারো এখানে চলে এসো । এখানে আমাকে দেখাশোনা করার কেউ নেই । শরীরও বেশ খারাপ । তাছাড়া কোটি কোটি ডলারের এত বড় সম্পত্তির ভার তো তোমাকেই নিতে হবে, ইত্যাদি ।

যথারীতি কেজিবির হাতে পড়ল সেই চিঠি । নাতির ডাক পড়ল কেজিবি অফিসে । বাঘা অফিসাররা নাতিকে বললেন, ্তুআপনার দাদুকে চিঠি লিখে বলে দিন ব্যবসাপত্র গুটিয়ে টাকা-পয়সা সব এখানকার ব্যাঙ্কে ট্রান্সফার করে দিতে । তারপর তিনি এখানেই চলে আসুন । তাঁর যাতে এখানে কোনও অসুবিধে না হয় তার ব্যবস্থা রাষ্ট্রই করবে ।

্থ নাতি উত্তর দিলেন, আপনারা, মশাই গোড়াতেই ভুল করছেন । দাদুর শরীর খারাপ হয়েছে ঠিকই । কিন্তু মাথাটা খারাপ হয় নি ! -- লেনিন পরতেন সাধারন জুতো, কিন্তু স্তালিন পরেন গামবুট । কেন ? -- কারণ লেনিনের সময় দেশে নোংরামির পরিনাণ ছিল পায়ের পাতা পর্যন্ত । স্তালিনের সময় তা হাঁটু ছুঁই ছুঁই করছে ! হুবহু স্তালিনের মতো দেখতে একজনকে গ্রেপ্তার করে স্তালিনের কাছে নিয়ে এল কেজিবির লোকেরা ।

জানতে চাইল কী করা উচিত একে নিয়ে ? -- গুলি করে মেরে ফেল, স্তালিন বললেন । -- না কি, গোঁফ ছেঁটে দেব কমরেড ? -- হ্যাঁ, তাও করা যেতে পারে -- নির্বিকার স্তালিনের উত্তর । একা রাশিয়ান গেছেন ইতালি ভ্রমনে । সেখানে কোদাল কাঁধে এক শ্রমিকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হল । রুশ পর্যটক কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করলেন, -- হপ্তায় ক্থদিনের কাজ পাও তুমি ? -- মাত্র দু্থদিনের, সিনর ! -- খুবই খারাপ ।

আচ্ছা কমিউনিস্টরা যদি ইতালির ক্ষমতায় আসে, তাহলে সপ্তাহে ক্থদিন কাজ পাবে বলে আশা কর ? -- ওহ সিনর, তাহলে তো আমাকে সাতদিনই কাজ করতে হবে -- দিবারাত্র । -- বাঃ তা কী কাজ কর তুমি ? -- কবর খোঁড়াই আমার কাজ সিনর ! শ্রমিকদের সভায় রুশ শ্রমিক নেতা তাত্ত্বিক আলোচনা করছেন । তিনি বললেন : -- কমিউনিজমের আসল নির্যাস হল প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়া । -- না কমরেড, এক শ্রমিক তাঁর বাস্তব জ্ঞান প্রয়োগ করে প্রতিবাদ জানালেন, আসলে ওটা হবে প্রতিবেশীদের ভাগটা নিয়ে নেওয়া ! শ্রমদিবসের প্যারেডে হাজিরা দেওয়ার জন্য রাবিনোভিচকে ডাকা হয়েছে কারখানার পার্টি শাখায় । তাঁকে বলা হল : -- এই কারখানার সবচেয়ে প্রবীণ শ্রমিক হিসেবে আপনাকে কমরেড চেরনেনকোর প্রতিকৃতি বহনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে ।

প্রতিবাদ জানিয়ে রাবিনোভিচ বললেন : -- না কমরেড আমাকে এই দায়িত্ব দেবেন না । লেনিনের প্রতিকৃতি নিয়ে প্যারেডে গিয়েছি , লেনিন মারা গেছেন । গিয়েছি স্তালিনের ছবি নিয়ে, মারা গেছেন স্তালিনও । ক্রুশ্চেভের প্রতিকৃতি নিয়ে গিয়েছি, তিনিও গেছেন পরলোক । ব্রেঝনেভের ছবি নিয়েছি, তিনিও বিদায় নিয়েছেন পৃথিবী থেকে ।

আর এই তো ক্থদিন আগে বহন করেছি আন্দ্রোপভের প্রতিকৃতি । তিনিও আজ আর এই ধরাধামে নেই । পাশ থেকে এক শ্রমিক প্রস্তাব দিলেন : -- শুধু চেরনেনকোর প্রতিকৃতিই নয়, রাবিনোভিচকে কমিউনিজমের লাল পতাকাও বইতে দেওয়া হোক । কমিউনিস্ট পার্টির তাত্ত্বিক নেতা শ্রমিকদের ক্লাস নিচ্ছেন : -- আপনারা নিশ্চই এতদিনে জেনে গেছেন যে কমিউনিজম ইতিমধ্যে দিগন্তে পৌছে গেছে । -- দিগন্ত মানে কী, কমরেড ? -- দিগন্ত হল একটা কাল্পনিক রেখা, যেখানে ভূমি মিশে যায় আকাশের সঙ্গে ।

আর দিগন্তের দিকে যত এগোনো যাবে, তত বেশি তা দূরে সরে যেতে থাকে । জাদুঘরে স্তালিনের মায়ের প্রতিকৃতির সামনে দাঁড়িয়ে একটি লোক খুব বিমর্ষ ভাবে মাথা ঝাঁকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল : -- কী সুন্দরী মহিলা । কিন্তু কেন যে সময়মতো অ্যাবরশান করাননি ! মানুষের সুখের রকমফের : কাজের শেষে ঘরে ফির এল জার্মান । বউ তাকে খেতে দিল ঝলসানো মাংস আর বিয়ার । ডিনার করে সে শুয়ে পড়ল বউকে জড়িয়ে ধরে ।

তারা সুখী । কাজকর্ম সেরে ইংরেজ ফিরে এল সন্ধ্যাবেলায় । স্ত্রীর সঙ্গে ডিনার করে কুকুরকে নিয়ে একটু বেড়াতে বেরোল সে । তারপর ফিরে এসে বউকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ল সে । তারা সুখী ।

হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে বাড়ি ফিরল ফরাসি । বউকে ঘরে পেল না । এক বোতল শ্যাম্পেন নিয়ে সে চলল প্রেমিকার কাছে । তারা সুখী । কাজের শেষে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার মিটিঙে বাধ্যতামূলক হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফিরল রুশ দম্পতি -- ইভানভ আর ইভানভা ।

বেশ একচোট ঝগড়া হল দু্থজনের মধ্যে । ডিনারের প্রশ্নই ওঠে না । কারণ ঘরে খাওয়ার মতো কিছু নেই । তাই পরস্পরের দিকে পিঠ ফিরিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল তারা । মাঝরাতে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ ।

-- কে ? -- আমরা কেজিবি থেকে আসছি । দরজা খুলুন । দরজা খুলতে জনাদশেক লোক ঢুকল । নেতা গোছের একজন প্রশ্ন করল : -- আপনারা পেত্রোভ আর পেত্রোভা তো ? গ্রেপ্তার করা হল আপনাদের । -- ভুল করছেন ।

আমরা পেত্রোভ আর পেত্রোভা নই, আমরা ইভানভ আর ইভানভা । পেত্রোভরা থাকেন উপরের ফ্ল্যাটে । দুঃখিত বলে কেজিবির লোকজন চলে গেল । একটু পরে ইভানভ আর ইভানভা জানলা দিয়ে তাকিয়ে দেখল পেত্রোভ ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে কেজিবি । গাড়ির দরজা বন্ধ হতেই শুয়ে পড়ল ইভানভ আর ইভানভা ।

তারা সুখী !

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.