ঘাটের এই পারে বসে আছি ঐ পারে যাওয়ার অপেক্ষা। মুসাফিরের ব্লগ। মালতির সবচেয়ে বড় অপরাধ ছিলো অত্যন্ত রুপবতি হয়েও গরীবের ঘরে জন্মগ্রহণ। এই মালতির অপরাধ দৈর্ঘ্যে আর প্রস্থে আরো বড় আকার ধারণ করলো যখন সে চাইলো মাধ্যমিক পাশ করে শিক্ষিতা হয়ে স্বনির্ভর হবে। বাপ -মা চাইলেন বিয়ে দিতে, মালতি চাইলো কলেজের গন্ডি পার হতে।
মালতির উপর চোখ পড়েছে-ছিলা মানিকের। মালতির চলার পথে এমন কোনো আচরণ মানিক বাকি রাখেনি শুধু পুরুষত্তমের অহংকার শিশ্ন প্রদর্শণ করা ছাড়া। সন্ধ্যার টিউশনি শেষ করে মালতি ঘরে ফিরবে। বান্ধবি জোছনা বললো,আরেকটু বসে যা। গল্প শেষ করে গলির মোড়ে আসতেই হঠাৎ করে শুনলো বিকট আওয়াজ।
শুরু হয়ে গেলো ছুটাছুটি। একটা রিকসাও মালতি দাঁড় করাতে পারলোনা। তার ওপর শীতের রাত। মালতি ভীরু পায়ে বাড়ীর দিকে হাঁটতে লাগলো।
হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মালতি দেখে যমদূতের মতো ছিলা মানিক হাজির।
এরপর বস্ত্র উম্মোচন থেকে নারীত্বের সব বিসর্জন। একবিংশ শতকের সভ্যতার দিকে যোনি প্রদর্শণ করে মালতি লাশ হয়ে শুয়ে পড়লো-মেডিকেলের মর্গে সব লজ্জার উর্ধে গিয়ে।
এরপর মুখরোচক খবর হলো, পত্রিকার কাটতি বাড়লো, ফটো সাংবাদিকের ফটো দারুন কভারেজ পেলো, মানব বন্ধন হলো, বুদ্ধিজীবীর সময়ের জৌলুস বাড়লো। বুকে আগুনের দ্রোহ নিয়ে প্রতিবাদি যুবক শ্লোগানে বজ্রমুষ্টি ধারণ করেলো । শিশ্নে অহঙকারের হাত রেখে ছিলা মানিক মনে মনে বললো-উফ মালটা দারুন খাসা ছিলোরে।
আর মালতির বাপ-ঘাট শ্রমিক ছগীর বললো- চুতমারানির পড়ালেখার খায়েস মিটেছে, বিষ খেয়ে মরলেই ভালো ছিলো, ধর্ষিতা হলি কেন। সমাজেতো ছিঃ ছিঃ পড়ে গেলো।
এরপর এক সময় সব শান্ত হয়ে যায়। ছিলা মানিকের শিশ্নত্বের তেজ আরো বাড়তে থাকে। একদিন পড়ন্ত বিকেল মানিক জোছনাকে চোখের ইশারা করে।
জোছনা না দেখার ভান করে চলে যায়। পরেরদিন আবারও মানিক শিষ দেয়। এবার জোছনা-ডান হাতটা একটু উপরে তুলে নাড়ে। ওড়না একটু সরে যেতেই মানিক বলে উফঃ শালার জোস একটা মাল। পরেরদিন জোছনা
অন্তর্বাস আরেকটু আলগা করে দেয়।
মানিকের যেন আর তর সয়না। জোছনা আর মানিকের কথোপকথন বাড়তে থাকে। রাতভর ফোনে কথা বলে আর মানিক শিশ্নত্বের উষ্নতা উপভোগ করে। বলে-সোনামনি আর পারছিনা। জোছনা বলে -উথলা হয়োনা জানুপাখি।
সময় আসবে।
আজ বিকেলে জোছনাকে দেখা যায়-পাশের সেলুন থেকে বের হতে। ভ্যানিটি ব্যাগে কী যেন গুজে ভীরু পায়ে বাড়ি ফিরে। বাড়িতে কেউ নেই। সবাই খালার বাসায় বেড়াতে গেছে।
জোছনাকে অনেক পীড়াপিড়ি করেছিল বাবা মা। জোছনা যায়নি। সন্ধ্যার পর জোছনা মানিককে ফোন করে। জানু পুরা বাড়িতে একা শুয়ে আছি। তোমাকে না দেখে পারছিনা।
প্লিজ আসো কলিজা।
ফোন করে জোছনা জায়নামাজে বসে। অঝোর ধারায় প্রার্থণা করে। হে আল্লাহ সাহস দাও , দয়াময় শক্তি দাও।
প্রার্থণা শেষ না হতেই দরজায় টোকা পড়ে।
জোছনা তাড়াতাড়ি জায়নামাজ গুটিয়ে রাখে। মাথার উপর থেকে কাপড় ফেলে দেয়। বুকের উপর থেকে শাড়ীর আঁচল নামিয়ে রাখে। মানিক এসে জোছনাকে জড়িয়ে ধরে। জোছনা বলে শান্ত হও সোনা।
একটু ফ্রেশ হয়ে আসি। কিচেনে গিয়ে সেলুন থেকে নিয়ে আসা ধারালো ক্ষুরের ধার আরেকটু পরখ করে। সাদা চকচকি পাথরের উপর ক্ষুরের এপাশ ওপাশ ঘষে নেয়। সুতীক্ষ্ণ ক্ষুরের দুপাশ যেন শান পেয়ে ধারালো চাবুকের ন্যায় চিকচিক করছে। এরপর জোছনা বেডরুমে ফিরে আসে।
মানিকের বুকের উপর বসে মুখে, বুকে চুমু দেয়। তারপর নীচে নামতে থাকে। জোছনা নিজ হাতেই অন্তর্বাস খুলে মানিকের। বেরিয়ে পড়ে অহংকারের খড়গ। তারপর মুখ থেকে একধলা থু থু দেয় গর্বের পুরুষ দন্ডের উপর।
জোছনা ফুঁসতে থাকে আজদাহা নাগিনীর মতো। এরপর ছিলা মানিক কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাম হাত দিয়ে মুঠো করে ধরে ডান হাত দিয়ে একেবারে কান্ডের মূলে পোচ দিয়ে দেয়।
তারপর বলে- এই বুদ্ধিজীবীর সমাজ, শাসনতন্ত্রের আইন, দ্রোহি যুবকের শ্লোগান, অগ্নিঝরা রিপোর্টারের কলম যা পারেনি, আমি তাই পেরেছি মালতি । বর্বর, কামুক, লম্পট পুরুষের শিশ্নচ্ছেদ ঘটিয়ে ধর্ষিতা বোনের মৃত্যের প্রতিশোধ নিয়েছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।