আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ড: ইউনুস, বিশ্ব শান্তি পুরস্কার ও পশ্চিমা বিশ্ব

সময়, কবিতা, ছোটগল্প, দেশ, দেশাচার

আসলে আনন্দই হচ্ছে, বেশ আনন্দ হচ্ছে। বিদেশের পত্রিকার পাতায় আমাদের দেশ সম্পর্কে নেতিবাচক খবর দেখতেই অভ্যস্ত আমরা হতদরিদ্র হতভাগা বাংলাদেশী প্রবাসী। সাধারনত: লেখা হয়না কিছুই। কদাচিৎ যদিও হয়, সে খবর কোথায় বন্যা হলো, কোথায় কেউ মারা গেলো, বাস বা ট্রেন দুর্ঘটনায় বা কোথাও নারী নির্যাতন এসবের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে। মাঝে মাঝে মনে হয়, পশ্চিমা দেশগুলো এসব খবর দিতে পারলেই সংবাদদাতা হিসেবে নিজেদেরকে স্বার্থক মনে করে।

আজ একেবারেই অন্যরকম। বড় বড় পত্রিকার হেডিং এ বাংলাদেশের নাম ও ড: ইউনুসের ছবি। জার্মান চ্যন্সেলর এন্জেলা মর্কেল, গ্রেগর গিজি সহ বিরোধী দলের বড় বড় নেতা, এমনভাবে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে মনে হয় বাংলাদেশ ও বিশেষ করে ড: ইউনুস যেনো তাদের কতো পরিচিত, বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পর্কে তারা কতো বেশী অবহিত। একজন তো স্পিগেল পত্রিকায় বিরাট এক সাক্ষাতকার দিয়ে দিয়েছেন। তবে সত্যিকারভাবে ঘেটে দেখলে দেখা যাবে তারা কিছুই জানেন না এ দেশ সম্পর্কে।

এখন তারা রীতিমতো জানার দরকার অনুভব করছেন ও ভান করছেন। বড় বড় দেশের রথী মহারথীরা এখন বাধ্য হচ্ছেন এসবে, তা আমাদের জন্যে কম পাওয়া নয়। অন্ততপক্ষে তাদেরকে এমনি একটি অবস্থায় আসায় বাধ্য করার জন্যে ড: ইউনুস অবশ্যই তাঁর যথাযোগ্য সন্মান ও অভিনন্দন পেতে পারেন। দারিদ্রতার অবসানের লক্ষে ও প্রকল্পে ড: ইউনুস ও তথা গ্রামীন ব্যাংক এর সাফল্য নিয়ে অনেক আলোচনা চালানো যেতে পারে। পুজিবাদী ধনতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে উত্তাল হওয়া যেতে পারে তর্কে বিতর্কে।

তবে এখন সে সময় নয়। এখন সবকিছু ভুলে শুধুমাত্র আনন্দ ও গর্বেরই সময়। তবে নজর রাখতে হবে, সন্মানের এক বিরল মুকুট মাথায় নিয়ে ড: ইউনুস কি সামনে কতটুকু অবদান রাখেন আমাদের দেশের গরীব জনগনের কল্যানে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।