। । । ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো । ।
।
কয়েকটা পোস্টের লিংক পাঠিয়েছিলাম। ভার্সিটির ক্লাসমেট অংকন মেইল করেছে - 'এতো ডিপ্রেসিং লেখা লিখিস না। মানুষের জীবনে তো কষ্টের শেষ নাই, আরো মন খারাপ করিয়ে দিয়ে কী লাভ?'
তাই এবার হাসার কিংবা হাসানোর - সাথে সাথে মন ভালো করার একটা ভুল চেষ্টা। সব প্রিন্ট মিসটেক আর টাইপিং এররে ভুলে ভুলে ভরা -
সংযম:
গত রমজানের কথা।
আমি দেশের বাইরে আসার পর প্রথম রমজান। ঈমাণী জোশে অনুপ্রাণিত হয়ে বেশ ক'জন বন্ধু ই-গ্রিটিংস কার্ড পাঠালো। এক বন্ধু মেইল করলো - ramzan-e valo moto shongom sadhona koro...
আমি রিপ্লাই করলাম - নাউজুবিল্লাহ্!!!
ছাপাখানার ভূত:
1997/98 সালে দৈনিক ভোরের কাগজের ম্যাগাজিন 'অবসর'-এ পড়েছিলাম। একবার এক জায়গায় পুলিশ-জনগণ সংঘর্ষ হলো। তিনজন মারা গেলো।
পরদিন একটি পত্রিকা নিউজ করলো - পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত। কিন্তু ছাপাখানার ভূতের কেরামতিতে পত্রিকায় ছাপা হলো - "পুলিশের গু-তে তিনজন নিহত"!
পরদিন বিশাল হৈচৈ। হাসাহাসি। প্রতিবাদ।
পত্রিকা কতৃপক্ষ ক্ষমা প্রার্থনা করলো।
পরদিন সংশোধনী ছাপালো - এই ছাপাজনিত বিভ্রাটের কারণে আমরা দু:খিত।
কিন্তু আবারো ছাপাখানার ভূতের কারসাজি। 'ছাপা' উলটে পত্রিকায় প্রকাশিত হলো - "এই পাছাজনিত বিভ্রাটের কারণে আমরা দু:খিত" !!!
মিস য়ূ্য:
আমার এক দোস্ত একবার ইয়াহু চ্যাটরুমে একটা মেয়ের সাথে পরিচিত হলো। মেয়ে বাবা-মাসহ ক্যানাডায় থাকে। বিবিএ পড়ছে।
দোস্ত বেশ ভালোই গল্প গুজব জমালো। অনেক কথা। ঐ মেয়ে নাকি সাংঘাতিক ইমপ্রেসড। বারবার বলছে - নেটে অনেকদিন পর ভদ্্র কথা বলা কোন ছেলে দেখলাম, আপনার সাথে কথা বলে ভালো লাগলো, আমার ঢাকার বন্ধুদের খুব মিস করি, মাঝে মাঝে এরকম কথা হবে।
এসব শুনে আমার দোস্ত বিশাল পাংখা!
ঘন্টা দু'য়েকের চ্যাটিংয়ের শেষের দিকে - গুড বাই, গুড নাইট, টেক কেয়ার এর সাথে আমার দোস্ত লিখতে চাইলো - মিস য়ূ্য।
কিন্তু অতি উৎসাহে দ্্রুত টাইপ করতে আঙুল ফসকে লিখলো - কিস য়ূ্য!!! টাইপিং এরর।
এরপর ঐ মেয়ের ঝাড়ি কে দেখে - 'ছিঃ ছিঃ আপনি শেষে এসে এরকম একটা বাজে কথা বললেন? আই ক্যান্ট ইমাজিন! য়ূ্য অল বয়েজ আর সেইম... কালপ্রিট..."
আমার দোস্ত 'প্লিজ ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড...' লিখার আগেই ঐ মেয়ে লগ আউট।
টাইপিং এররে অনলাইন বিচ্ছেদ।
আবারো ছাপাখানার ভূত:
এ ব্যাপারটা প্রতি বছর ঘটে। কোরবানীর সবচে দামী গরুর ছবি ছাপা হয় পত্রিকায়, সাথে সাথে যিনি গরুটি কিনেছেন তারও হাস্যোজ্জ্বল ছবি ছাপা হয় পাশাপাশি।
একবার জনৈক ইদ্্রিস আলী 1 লাখ 80 হাজার টাকা দিয়ে গাবতলী গরুর হাটের সবচে' দামী গরুটি কিনলো । সাংবাদিকরা তার বাসায় ভীড় করলো। গরুর ছবি তুললো, গরুর ক্রেতার ছবিও। পরদিন পত্রিকায় দুজনেরই ছবি ছাপা হলো। কিন্তু ছবির ক্যাপশন উলটা-পালটা হয়ে গেলো।
ইদ্্রিস আলীর ছবির নিচে ছাপা হলো - এই গরুটির দাম 1 লাখ 80 হাজার টাকা। আর গরুর ছবির নিচে ছাপা হলো - পাশের গরুটিকে কিনেছেন এই ভদ্্রলোক, নাম - জনাব ইদ্্রিস আলী !!!
.........
টাইপিং এররে একবার আমার মান-ইজ্জত পুরা ডুবতে বসেছিল। অল্পের জন্য বেঁচে গেছি! ...ব্যাপারটির বিবরণ ডিসেন্সীর লাইন ক্রস করবে বলে এখন শেয়ার করতে পারছি না! সুযোগ পেলে অন্য কোনদিন...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।