একটি বছর শেষে আবার সেই দিনটি এল। অনেকেই শুভেচ্ছা জানালো। আমিও ধন্যবাদ বললাম। দিন গড়িয়ে যখন দুপুর তখন ও আমি আমার বন্ধুদের থেকে নতুন কোন সারপ্রাইজের অপেক্ষায়।
যথারিতি শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত হলাম।
মন টা বেশ ফুরফুরে ছিল। মনে মনে ভেবে রেখেছিলাম যে ক্লাস শেষে বন্ধুদের খাওয়াতে নিয়ে যাব। পরে যখন খাওয়াতে হবেই তাহলে আগে ভাগে পার্টি দিয়ে ঝামেলা মিটলেই ভালো। আর হাতে তখন টাকা ও ছিল।
দুইদিন ধরে আমাদের ভার্সিটির পরিবেশ একটু গরম ছিল।
যে কোন সময় মারামারি লাগতে পারে। অবশেষে তাই ঘটে গেল। কথা নেই বার্তা নেই, শুনি মারামারি লেগে গেছে। আতংক ছড়িয়ে যাবার আগেই যখন আমরা একাডেমিক ভবন থেকে হলের দিকে চলে যাব ভাবছি ,তখন শুনি কিছু ছেলে বিল্ডিং এর মুল ফটকে তালা দিয়ে দিয়েছে।
আর আমদের শিক্ষক রাও মেয়েদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বের হতে দিচ্ছিলেন না একাডেমিক বিল্ডিং থেকে।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল। তারপর সন্ধ্যা। এরপর হল আমাদের নীড়ে(হল) এ ফেরা। সারপ্রাইজ তো দুরের কথা, জন্মদিনের দিন না খেয়ে সারাটা দিন পার করে দিয়েছিলাম ।
পরদিন হল ভেকেন্ট এর নোটিশ ।
সবাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। নাস্তা খেয়ে বাসে উঠব আর কি। ক্যান্টিনে বস্লাম। আমার এক বন্ধু মনমরা হয়ে একটা চকলেট কেক সামনে নিয়ে এসে বলল,"কাল ই দিতে চেয়েছিলাম। আর পারলাম না।
এখন তোকে বাসি হ্যাপি বার্থডে জানাই। " ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।