পরিবর্তনের জন্য লেখালেখি
"আমি হলাম ডঃ জেকিল আর মিঃ হাইডের মত। মানুষকে নয়, তার কর্মকান্ডকে খুঁচিয়ে খুব মজা পাই! উলটা পালটা কিছু করলেই, মাফ নাই, আমার সমালোচনার তীর তাঁকে বিধবোই, তবে মানুষটাকে কিন্তু আমি কখনোই আক্রমন করি না!!!!"
দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবছিলাম! সেই একই কেস! কতবার যে শুনেছি এই ভাঙ্গা রেকর্ড !!!
তোমার ঐ ফুলের টোকা কত কোমল হৃদয় ছিন্নভিন্ন করছে তাকি বোঝো না? আঘাত তো আঘাতই!!! কষ্ট যখন লাগে, মনেই লাগে, তীর যখন বেঁধে, হৃদয়েই বেঁধে..........গিয়ে তো আর পাশের পানা পুকুরে পড়ে না যে মানুষটা কষ্ট পাবে না!!!
শব্দের শক্তির কথা টের পেয়েছিলাম ছোটবেলাতেই। মুখের কথা যে কি ভাবে একটা মানুষকে ভেঙে চুরে গুড়ো গুড়ো করে দিতে পারে, আমি খুব ভালো করেই জানি। শরীরের শক্তিতে যাদের সাথে পারতাম না, মানে যারা আমাকে আঘাত করতো, তাদের টুকরো টুকরো করে দিতাম আমার জিহবার তলোয়ারে। নিজেকে বাঁচানোর জন্য এই শব্দ যুদ্ধ আমি কম করিনি।
তাই , যখন কাউকে দেখি, খুব হেলায় ফেলায় যাচ্ছে তাই বলতে বা লিখতে...........আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হয়..........ওরে পাগল, মন ভাঙিস নে, তোরা, মানুষ ভাঙিস নে!!!
কিন্তু, এ যে কি ভয়ানক কষ্ট, যে নিজে পায় নি, সে জানবে না , সে বুঝবে না! [ কি যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কি সে, কভু আশিবিষে , দংশেনি যারে!!!!]
সমালোচনা তাই হওয়া চাই খুব সাবধানী, খুব খিয়াল কইরা। মন হলো কাঁচের মত, একবার ভেঙে গেলে জোড়া দেওয়া প্রায় অসম্ভব, চিড় থাকেই..............বিশ্বাসও তাই!!!!!
খুব প্রিয় একটা মানুষের সাথে কথা হচ্ছিলো। তাকে কিছুতেই বোঝাতে পারিনি আগে। সুযোগ পেয়ে পঁচানো শুরু করলাম, আমাকেও করেছে অনেক। উদ্দেশ্য পরিষ্কার।
দেখা, যে সে নিজের আচরনটা নিজের বেলায় সহ্য করতে পারে কি না, কি ভাবে নেয়, আর অন্যকে করলে তার কেমন লাগে , সেটাও একটু মনে করিয়ে দেওয়া!!!!
আমাকে হতভম্ব করে দিয়ে ভয়ানক খেপে গেলো। আমাকে যুক্তি নিয়ে এর আগে এত উপদেশ টেশ দিয়ে নিজেই শুরু করলো যুক্তিহীন আচরন! আবেগের তোড়ে ভেসে গেল বন্ধুত্বের নির্মল আনন্দটুকু। আমি কষ্ট পেলাম। আর পরে ঘর ফাটিয়ে হাসলাম!!!
সেই একই পরিণতি!!! আমরা বড় সহজেই ভুলে থাকি কোমল মনুষ্যত্বকে, মানব মনের সু প্রবৃত্তি গুলোকে, হৃদয়ের গভীর অনুভূতি গুলোকে............মায়া -মমতার চেয়ে মমতা ঝুলঝাড়নির দিকেই নজর বেশি!!!
আবার কখন কথা হবে জানি না, হবে কি না তাও জানি না, আমার চেয়েও অভিমানী বন্ধু আমার! তবে সুযোগ পেলে জানিয়ে দেব, তোমার কঠোর কঠিন মুখোশের আড়ালে দারুন কোমল মনটাকে লুকিয়ে রাখার দরকার নেই। আর ঝাকি দিয়ে গণ তন্ত্র শেখানোও যায় না।
ভালবেসে শেখানোটাই মনে হয় শ্রেয়তর, দেখলা না, তোমার দেখানো পথে চলতে গিয়ে সব কেমন তালগোল পাকিয়ে গেলো?!!!!!
দারুন আঁতলামি করো আমার সাথে , আদতে তুমি আমার চেয়েও ছেলেমানুষ, আর নয়তো চতুর অভিনয়ে সিদ্ধহস্ত কোন ঠগ!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।