আমার ভিতর তুমি থাকো আমি কোথায় রই, আমি না থাকিলে তোমার থাকার জায়গা কই?
ইদানিং বেশ ভালো লাগেনা আর
অশ্রু ঝরে, বিমর্ষ চুপচাপ
গগনে দীর্ঘ রজনী যন্ত্রনায় ভুগী।
সমগ্র স্মৃতি সেলফে অস্তিরতা
খুঁজতে খুঁজতে পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া
জাম, জামরুল, কাঁঠাল, কলা
নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত
সাগর-মহাসাগর, মরুভুমি
আকাশ-বাতাস, ঘর-বাড়ী
সিংহাসন অনায়াসে ত্যাগ করি।
অসহায় হৃতপিন্ড প্রতিনিয়ত ঠুকরে ঠুকরে
শিরা-উপশিরায় মর্মর ধ্বনি
ঝুন ঝুনি বাজিয়ে
বাজতে .................
বাজতে .................
চৌদিক আমি দিশেহারা।
প্রার্থনায় হাত তুলি
বড্ড পিপাসায় কাতর জীবন ঘন্টা
বাবার চুমো খাওয়া কপোল;
দাবদাহ আর খরা কবলিত স্রোতে সাঁতার কাটি
যন্ত্রনার পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সুরমা
চাঁদ ওঠে .......................
সুর্য ডোবে।
পাইনি বাবা আজো তোমার দেখা
অসহায় শুন্যস্থান হৃতপিন্ড ঝড়-বাদল
মুষলধারে উজাড় করে মরে ....
যন্ত্রনার ঘন কুয়াশায় বুকে বুক মিলিয়ে।
বাবা তোমার ছোঁয়া বঞ্চিত বেদনার নির্যাস
আমাকে বিষন্ন কাঁদতে শেখায়
অতঃপর ঘুম, শুধু ঘুম;
তুমি কেবলই ঘুমিয়ে আছো
আমি সংগ্রাম করি
তুমিহীন একাকী বালিয়াড়ী।
আজকাল অসুস্থ বিপলব
আমাকে নিয়ে অতলে ডুব দেয়,
মগজ কোষ গ্রাস করে গিলে খায়
যন্ত্রনা বিদ্ধ, জিহবার জীবন কব্জি
চড়াই-উৎরাই চিন্তা ভাবনায় পারাপার,
ভীষন অবহেলিত
গুল্ম, লতারা সেদিন দেখেছে
বংশধর চৌদ্দ গোষ্ঠি দেখেছে
আমি বসা ছিলাম বাবার কবরে এক ঘন্টা।
হালকা বাতাস ধোয়াটে ফোয়ারায় ক্লান্ত ভিজে
নিস্তব্দতা ভেদ করে আমার পথ চলা .......
দুর্গন্ধ ঘাম ঝরা পরিশ্রমে হাহাকার লোকালয়
অন্ধকার অন্তরালে তারপরও তুমি,
বাবা, বাস্তবতার আঘাতে বিরাজমান আমি
জীবন সংসার এতিম;
বুলডোজারের আঘাতে ভেঙ্গে পড়ি
হতাশার লুহাওয়া পায়ে হেঁটে দিগন্ত পেরিয়ে
কষ্ট তান্ডবে বিষন্ন বেঁচে থাকি তুমিহীন অনাদর।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।