ব্লগার আসিফ আর হাসপাতালে কাতরানো আসিফ এক নয়। জন্মের পাশাপাশি প্রতিটা মানুষকে একবার মৃত্যুর স্বাদ নিতে হয়। আসিফ সেই মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে এসেছে। ব্যক্তি হিসাবে যে কেউ এমন জঘন্য হামলার শিকার হতে পারে। আসিফ ব্লগ লিখে কার মনে কতটুকু স্হান করে নিয়েছে সেটা যার যার মনের ব্যাপার।
কিন্তু সবার আগে ভাবতে হবে আমরা মানুষ। ব্যক্তি আসিফের প্রতি করুণা দেখানো আর তার জন্য দোয়া চাওয়া মানবতার দাবি। সামু পোস্টটি স্টিকি করে সেই চাওয়াটি পূরণ করেছে। হাতের পাঁচ আঙ্গুল যেমন সমান নয় মানব চরিত্রের শত ধারার মাঝে প্রত্যেকটি মানুষও তেমনি একজন আরেকজন থেকে আলাদা। আর এই আলাদাটাই সৃষ্টির বিশেষত্ব।
প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে একটা সুন্দর মন থাকে। পছন্দ মনের চাহিদা পুরণ করে। একজন পিপাসার্তের কাছে যেমন এক গ্লাস পানির উপযোগিতা রয়েছে তেমনি একজন মাতালের কাছেও এক গ্লাস মদের সমান উপযোগিতা থাকে। পার্থক্য চেনা জানার জন্য রয়েছে আমাদের বিবেক।
আসিফ আস্তে ধিরে সুস্থ হয়ে উঠছে।
কিন্তু এখনও কেন সামু পোস্টটি স্টিকি করে রেখেছে সেটা হয়ত প্রশ্ন জাগাতে পারে। কিন্তু ঘটনাটা যে একটি জঘন্যতম বর্বরতা সেটা বোঝাতেও প্রচারণা চাই। সামু সেটিও করছে। ধন্যবাদ সামুকে। বাবার সাত সন্তান সাত ধরণের হয়।
কিন্তু আদর স্নেহ কারও প্রতি কমবেশি থাকে না। সামুতেও রয়েছে ব্লগারদের মতের বিচিত্রতা। আমরা সবাই সামু পরিবার। সামু ইমন জুবায়েরের মৃত্যু,আসিফের দূর্ঘটনার পোষ্ট স্টিকি করে পরিবার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছে। আবারও ধন্যবাদ সামুকে।
আসিফ মহিউদ্দিন কে নিয়ে স্টিকি পোস্টের অবসান চাই
লিখেছেন সানড্যান্স, ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
আপনার পোস্টের বিপরীতে পোস্টটি করলাম--এম এস আই জুয়েল ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।