সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
বুনুয়েল বলছেন, সবকিছুর মধ্যে গ্রেট মাস্টার হলো কোইনসিডেনস। ফ্যান্টম অব লিবার্টির প্রতি আমার আলাদা টান আছে। কারণ এটা কোইনসিডেনস-এর জটিলতা নিয়া ডিল করছে।
শুধু কোইনসিডেনস না ফ্যান্টম অব লিবার্টি পুরাটাই এক আউলা ছবি।
সিনেমার ইতিহাসে এর জুড়ি দ্্বিতীয়টা নাই। একে তো সুররিয়াল তার ওপর আবার এপিসোডগুলার মধ্যে নাই কোনো সংযোগ। সংযোগ একটাই কোইনসিডেনস। সিনেমা শুরু হয় 1808 সালে নোপোলিয়ানের সৈন্যরা যখন স্পেনে হামলা করার উদ্যোগ নিচ্ছে। সেখানে কযেকজন লোককে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করার প্রস্তুতি চলছে।
ওই লোকগুলার মধ্যে একজন আবার বুনুয়েল। এক সৈন্য ওরই মধ্যে একটি নারী মূতিকে চুমু খাইতে গিয়া আহত হচ্ছে। তারপরই আসছে আধুনকি যুগের ফ্রানস। একটা লোক স্কুলের বাচ্চাকে কিছু পোস্টকার্ড ধরিয়ে দিয়ে বলছে বড়দের না দেখাতে। একটা লোক স্বপ্ন দেখছে তার ঘরে একটা এমিপাখি ঘোরাফেরা করছে।
এক পোস্টম্যান চিঠি দিতে তার বাইসাইকেল নিয়ে বেডরুম পর্যন্ত আসছে। একটা এক্সিকিউটিভ মিটিং-এ লোকজন কমোডে বসে মিটিং করছে। খাচ্ছে গোপন ঘরে বসে। একটা লোক মালটিস্টোরিড বিলডিং-এ দাঁড়িয়ে বন্দুক দিকে পাখি মারার মতো করে মানুষ মারছে। তার বিচআর হচ্ছে।
তাকে বেকসুর খালাস করে দিতে বিচারক হাত মেলাচ্ছেন তার সঙ্গে। এইরকম অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। মনে হবে একটার সঙ্গে আরেকটা যুক্ত কিন্তু এদের কোনো সম্পর্কই নেই। বুনুয়েল বলছেন তিনি এই ছবিতে মনের সাবকনসাশ লেভেলে কাজ করছেন। হিংস্র পরিস্থিতি ও সেক্স নিয়ে ডিল করছেন।
যা প্রত্যেক মানুষের ভেতর কাজ করে। নৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় কোডগুলা ভেঙে দিতে চেয়েছেন। অসংখ্য আউলা ঘটনাকে একসঙ্গে দেখতে হলে ফ্যান্টম াব লিবার্টির বিকল্প নাই।
বুনুয়েল এই ছবিটা তৈরি করেন 1974 সালে। এখানে আরেকটা সুররিয়াল ঘটনা উল্লেখ না করলেই নয়।
সেটা হলো আমি এই ছবির যে ভার্সনটা দেখছিলাম সেটা সম্পূর্ণ ফ্রেঞ্চ। মানে সাবটাইটেল ছিল না। ফলে সুররিয়াল মজাটা পুরোটা পাওয়া গেছে। যেহেতু ফ্রেঞ্চ ভাষা আমি একটুও বুঝি না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।