দীর্ঘ দশ মাস যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা পেল বাংলাদেশ। খুব অল্প সময়, এতো কম সময়ে একটা দেশ স্বাধীনতা লাভ করতে পারে এটা যেমন অ-কল্পনীয় ঠিক তেমনি মাত্র দশ মাসে ত্রিশ লাখ নিরীহ মানুষকে শেয়াল কুকুরের মতো নি:সংশ ভাবে হত্যা আর দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জত লুটের ঘটনাও ইতিহাসে বিরল।
কারা জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছিল? এদেশের সাধারণ কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতা।
কারা অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল? এদেশের সাধারণ কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতা।
কারা আদরের সন্তান, পিয়তমা স্ত্রী, স্নেহময়ী মা-বোন কে হারিয়েছিল? এদেশের সাধারণ কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতা।
কারা জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ ইজ্জতকে খুইয়েছে মানুষরূপী নরপিশাচদের হাতে? এদেশের সাধারণ কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতা মা-বোনেরা।
অথচ কি আশ্চর্য, যারা সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে রাজনীতি করে তাদের পরিবারগুলো ছিল অত, নির্ভয়।
যে মহান নেতা স্বাধীনতার যুদ্ধের ডাক দিয়েছিল তার স্ত্রী কন্যারা কিন্তু ইজ্জত হারায় নি, তার সন্তানরা কিন্তু প্রাণ বিসর্জন দেয় নি।
তাইতো ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জত লুটেছে যে দালাল ও হানাদাররা, তাদের কত সহজে ক্ষমা করা হলো।
সেদিন যদি হাসিনা, রেহানারা ধর্ষিতা হতো তবে কি শেখ মুজিব ওদের ক্ষমা করতেন? সেদিন যদি কামাল জামালেরা ওদের হাতে শহীদ হতো তবে কি তিনি দালালদের ক্ষমা করতেন? তিনি কি দেশের মানুষের জন্য স্বাধীনতা চেয়েছিলেন না কি যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা দেশ লুটে পুটে খাওয়ার রাজনীতি করেছেন?
কি কারনে তিনি ক্ষমা করলেন দালালদের? কি কারনে আজ দেশের কৃতি সন্তানদের হত্যার হুমকি দেয় দালালেরা?
এর দায় বঙ্গবন্ধু, না না শেখ মুজিব তোমাকেই নিতে হবে।
ত্রিশ লাখ শহীদ আর দু লাখ মা-বোনের ইজ্জত বিক্রিকারী দালালদের ত্রাণকর্তা শেখ মুজিব তুমি আর যা-ই হও বঙ্গবন্ধু বা জাতির জনক খেতাব তোমার গলে শোভা পেতে পারে না, যেমন শোভা পেতে পারে না বানরের গলে মুক্তোর মালা।
(অমি রহমান পিয়ালের [লিংক= যঃঃঢ়://িি.িংড়সবযিবৎবরহনষড়ম.হবঃ/ড়সরঢ়রধষনষড়ম/ঢ়ড়ংঃ/17757#ঈড়সসবহঃ/]দালাল আইন/রাজাকারদের মা : বঙ্গবন্ধুর কস্টলি ভুল 1[/লিংক] পোস্টে [link|http://www.somewhereinblog.net/arunimaworldblog/|Ai
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।