আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যৌন উত্তেজক জিনসিন বিক্রি, বিপথগামী শিক্ষার্থীরা

ভালো আছি ভালো থেকো

এম.জসিম উদ্দিন ছিদ্দিকী কক্সবাজার: ইয়াবার নেশায় বিপথগামী যুবক ও ছাত্র সমাজ। সারাদেশে ইয়াবার আগ্রাসনে দু:চিন্তায় অভিভাবক। সেই সাথে নতুন ভাবে এলো যৌন উত্তেজক জিনসিন। চকরিয়া পৌর এলাকার পানের দোকান থেকে শুরু করে সকল মুদির দোকানে খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে যৌন উত্তেজক পানিয়। ফলে যুব সমাজের পাশাপাশি কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা না জেনে,না বোঝে বিপথগামী হচ্ছে।

সেভেন হর্স ফিলিংস, একটিভ এনার্জি ড্রিংকস, রেড় জিনসিন প্লাস(ঢাকা ফার্মা), জিনসিন (এল টি ল্যাবরেটরিজ), জাহান মোশরুম গোল্ড (জাহান ফুর্ড এন্ড প্রোডাক্ট), ঈমান জিনসিন প্লাস (ঈমান ফুড এন্ড বেভারেজ লি), জিনি ল্যাবরেটরিজ, জিনাইল হার্বাল,নোবেল ফুড এন্ড বেভারেজ লি), জিনুইন হার্বাল, ফেমাস ফার্মাসিটিক্যাল সহ প্রায় ১৬ ধরনের জিনসিন পানিয় বাজার দখল করে রেখেছে। কয়েকটি বি.এস.টি.আই এর অনুমোদন থাকলে ও বেশির ভাগ কোম্পানীর অনুমোদন ছাড়াই এসব পানিয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এ পানিয়’র গুনগত মান কেমন,কোথায় উৎপাদন হয়,পান করলে শরীরের কতটুকু ক্ষতি হতে পারে,তার কিছুই বিবেচনা না করে যৌন ক্ষমতাকে বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত এ পানিয় পান করছে ছাত্র ও যুবকরা। এ সব পানিয়’র বোতলের গায়ে লেখা থাকে শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য,দৈনিক ৪০-৫০ মিঃ করে দুই বার,দিনে ২-৩ চা চামচ করে তিন বার সহ নির্দেশনা থাকলেও যৌন উত্তেজনার জন্য এক বোতল এক সাথে পান করছে। আবার পানীয়’র বোতলে মেয়াদ উর্ত্তীণ তারিখ ও লেখা থাকে না।

জিনসিন পাওয়ার খেয়েছে এমন বেশ কয়েকজন যুবক ও ছাত্রের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ পানিয় খেলে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় কিন্তু নিয়মিত ২/৩ বোতল খেলে লিঙ্গ জড়িত অনেক সমস্যা দেখা দেয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ১০ শ্রেণীর এক ছাত্র বলেন, সিনিয়র এক বন্ধুর পাল্লায় পড়ে এ পানিয় পান করি তবে কি পরিমান খেতে হবে এ ব্যাপারে কারো ধারণা নেই। আমি নিজে ও জানি না কি পরিমান খেতে হয়। ফলে শারিরিক ভাবে নানান সমস্যা দেখা দেয়। চিরিংগা পুরাতন বাস ষ্টেশন এলাকার স্থানীয় দোকানদার রিদুয়ান এর কাছ থেকে জানা যায়, প্রাপ্ত বয়স্ক থেকে শুরু করে ছাত্র ও যুবকরা এ যৌন উত্তেজক পানিয় কিনে তার দোকান থেকে।

প্রতিদিন কম হলে ও ৫০-৬০ বোতল জিনসিন বিক্রি হয়। সোসাইটি এলাকার ব্যবসায়ী জলিল সওদাগর বলেন, যুবক ও ছাত্র সমাজতো আছেই, মাঝে মধ্যেই ছাত্রীদের জিনসিন ক্রয় করতে দেখে অবাক না হয়ে পারিনা। বিক্রি করাই আমার কাজ ফলে আমার করার কিছুই থাকেনা। জিনসিন পানিয়’র খুচরা মূল্য ৫০-৬০ টাকা। লাভ পাওয়া যায় বেশী।

দৈনিক ৭০-৮০ বোতল বিক্রি হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, চকরিয়া পৌরসভার চিরিংগা পুরাতন বাস ষ্টেশন, নিউ মার্কেট, সোসাইটি, হিন্দু পাড়া, বাস টার্মিনাল, কোচ পাড়া রাস্তার মাথা, এশিয়ান হাসপাতাল মার্কেট, সবুজবাগ আবাসিক এলাকাস্থ দোকান, মগবাজার সহ প্রায় সব এলাকাতে প্রকাশ্যে এ পানিয় বিক্রি করা হয়। চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর টি,এইচ,ও ডা: আনোয়ার আহমদ জানান, তিনি এ ব্যাপারে অবগত নয়। কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডাক্তার কাজল কান্তি বড়–য়ার সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। এ দিকে সচেতন সুশিল সমাজ এ সমস্ত পন্য শরীরের অনেক ধরনের ক্ষতিকর পানিয়’র ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানান।

সূত্রঃView this link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।