আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাসূল(সাকে ভালোবাসা ঈমাণের অঙ্গ(2)

পরির্বতনের সময় এখন....

পুর্বাংশ এখানে পড়ুন..... Click This Link আজ এ পর্বে রাসূল (সা এর প্রেমের তাৎপর্য সম্পর্কে বর্ণণা করা হবে। প্রথমেই আসাযাক রাসূলকে ভালোবাসার অর্থ কি ? প্রত্যহ সকাল সন্ধ্যায় একশ বার ওজিফা পাঠ করা যে. আমি রাসূল (সা': ) কে ভালোবাসি, আমি রাসূল (সা কে ভালোবাসি? বা রবিউল আউয়াল মাস এলে বড় বড় সেমিনার করা, বর্ণাঢ্য জশনে জুলুস করা? না , একেবারেই না। রাসূল (সা কে ভালোবাসতে হবে নিজের জন্মদাতা পিতা-মাতা, ঔরসজাত সন্তান-সন্ততি, জীবন সঙ্গীনি, ওস্তাদ, পীর তথা পৃথিবীর সব মানূষ ও সব ধরনের বস্তু থেকে। তবেই প্রকৃতমুমিন হওয়া সম্ভব হবে। আনাস ইবনে মালিক (রা থেকে বর্ণিত রাসূল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন (1)" তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবেনা যতন না আমি তার কাছে তার পিতা , সন্তান , এবং সব মানুষ থেকে অধিক প্রিয় পাত্র হব " (2) "তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবেনা যতন না তার মন আমার আনীত দ্বীনের অনুগত না হবে।

" মোটকথা রাসূল (সা কে নিজের জীবনের চাইতে বেশী ভালোবাসতে হবে । একদা হযরত ওমর (রা রাসূল (সা এর দরবারে হাজির হয়ে বললেন হে আল্লাহর রাসূল আমি আপনাকে পৃথিবীর সব বস্তু থেকে বেশী ভালোবাসি কিন্তু আমার প্রাণের চেয়ে বেশী নয় । তখন রাসূল (সা বললেন , কেউ মুমিন হতে পারবেনা যতন তার প্রাণের চাইতে আমি অধিক প্রিয় বস্তু না হবো। একথা শুনে হযরত ওমর (রা বললেন আল্লাহর শপথ, যিনি আপনার কাছে কোরআন নাযিল করেছেন ,আপনি এখন হতে আমার আমার কাছে আমার প্রাণের চেয়েও অধিক প্রিয়। তখন রাসূল (সা বললেন হে ওমর ! তুমি পরিপূর্ন মুমিন।

তাহলে এ থেকে আমরা শিা নিতে পারি যে পৃথিবীর সব মানুষ ও বস্তু থেকে রাসূল (সা ভালোবাসতে পারলেই প্রকৃত মুমিন হওয়া সম্ভব। অন্যথায় নয়। আর ইতিহাসও সে সা্যই বহন করে । ইতিহাসের পাতা ঘাটলে তা মিলবে অগনিত। তারই কিছু তুলে ধরছি।

*সাহাবি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যায়েদেব (রা কাছে যখন রাসূল (সা এর ইন্তেকালের সংবাদ পৌছালো তখন তিনি অস্থির ও ব্যাকুল হয়ে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করলেন যে, হে আল্লাহ তুমি আমার চোখ দুটি তুলে নাও, যেন আমি আমার হাবিব রাসূল (সা এর পর অন্য কাউকে না দেখি । আল্লাহ তার ফরিয়াদ কবূল করলেন এবং তিনি অন্ধ হয়ে যান। এখানে রাসূল (সা প্রতি অকৃতিম ভালোবাসার চিত্রই ফুটে উঠেছে । ( চলবে) ( আমি এ লেখাটি লিখতে অনুপ্রানিত হয়েছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের লেকচারার এর লেকচার শুনে। একটি অনুষ্টানে তিনি এ সম্পর্কিত একটি বিবৃতি পেশ করেন।

উনার নামটা মনে না আসাতে বলতে পারলাম না । এ লেখাটি উনাকে উৎসর্গ করলাম)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।