আমরা এমন একটা রাষ্ট্রে বসবাস করি যেখানে যারা মানুষদের শিক্ষা দিয়ে সচেতন করে, চিন্তাশীল করতে সাহায্য করে তারা জীবনধারণের জন্য নুন্যতম আধিকার টুকু পায় না । আর যখন সেই অধিকারের দাবি নিয়ে রাস্তায় শান্তিপুর্নভাবে নামে তখন তাদের মরিচের গুড়া , রংগের পানি ছুড়ে মারাত্নকভাবে অপদস্ত করা হয় । ভাবখানা এমন যে , শিক্ষকরা সন্ত্রাসি!!! বর্তমানে এই স্বৈরাচারি শাসনব্যাবস্থার বিরুদ্ধে যারাই দাড়াচ্ছে তাদের উপরই অমানুষিক নির্যাতন করছে সরকার । ভার্সিটির ছাত্র, টেইলার , হিজাবি বোন ,ল্যাংড়া চাকুরিজিবি, শিক্ষক কেউই বাদ থাকছে না তাদের লিস্টে । আর আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তো রক্ষকারী কম সন্ত্রাসি(সরকারের ভাড়াতে ) বেশি বলে মনে হচ্ছে ।
শুনেছি পাশের দেশের খারাপ অবস্থার কারনে কোন বিশৃঙ্খল জায়গা কে "মগের মুল্লুক" বলা হয় । এখন অস্থিতিশিল অঞ্চলেকে কয়েকদিন পর "বঙ্গের মুল্লুক" বলাটা মনে হচ্ছে সময়ের ব্যাপার ।
আর এদিকে আমাদের দেশরত্ন গিয়েছেন রাশিয়া সফরে । সেখানে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এর সাথে করমর্দন (!!![ব্যাপার না ধর্মনিপপেক্ষতায় আবার সবই জায়েজ]!!??) করে কিছু চুক্তি সই করলেন । তার মধ্যে একটি হল রাশিয়া আমাদের ৮০০ কোটি টাকা ঋন দিচ্ছে ।
তাদের থেকে ঋন নিয়ে সেই টাকা দিয়ে তাদের কোম্পানির কাছ থেকেই অস্ত্র কিনা হবে । আর অস্ত্র কোম্পানি কিন্তু প্রাইভেট হয় , মানে লাভ করছে সেই কোম্পানিগুলোই। অনেক উচ্চাশা পোষন কারি মানুষের মনে হতে পারে যে “ওদেরই তো অস্ত্র কিনব ওই টাকা মনে হয় শোধ করা লাগবে না ”। তাদের জন্যে আপার রেডিমেড ডায়ালগ “আমরা গরীর হতে পারি কিন্তু ছোটলোক না” –ওইতো দেশ কে বাশ মারার আরেক ব্যাবস্থা আরকি । যেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন হবার পরও পব্যাবস্থাপনার কারনে সিকিভাগের বেশি মানুষ দু'বেলা খেতে পারে না সেখানে তাদের জং পড়ে যাওয়া অস্ত্র কেনা বিলাসিতা না বলে প্রভুভক্তি বলা অধিক যুক্তিযুক্ত ।
আমরা এই বাশ গুলো অনবরত খাই ,আর তার সাথে মুড়িও খাই ।
খুবি দুঃখের সাথে আমার এক প্রানপ্রিয় ভ্রাতার কবিতার দুই লাইন বলছি -
“তা তা ধিন ধিন
গিরা গুইনা কতিদিন !! ??? ” ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।