আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাসূল(সাকে ভালোবাসা ঈমাণের অঙ্গ(1)

পরির্বতনের সময় এখন....

পুর্বাংশ এখানে পড়ুন..... Click This Link নবীজী (সা এর যুগে যারা তাকে আল্লাহ প্রেরিত রাসূল বলে মেনে নিতে পেরেছিলেন বা বিশ্বাস করে তার নির্দেশমত আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস করেছেন , তারা হয়েছেন বিশ্বাসী বা ঈমানদার। আর যারা হযরত রাসূল (সা কে রাসূল বলে মেনে নিতে পারেননি তার আ হয়েছেন অবিশ্বাসী বা কাফের । প্রশ্ন আসতে পারে কাফের কি ??? এরা মুসলিম হয়ে জন্ম গ্রহন করেছে ঠিকই কিন্তু না জেনে , না বুঝে কিংবা নিজের ঞ্জান ও বুদ্ধির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহকে চেনেনি এবং নিজের নির্বাচন মতার মধ্যে আল্লাহর আনুগত্য করতে অস্বিকার করেছে এরাই হচ্ছে কাফের( গোপনকারী)। কিন্তু যারা প্রকুত ঈমানদার ,তারা নবীজী (সা কে পার্থিব জীবনের সবকিছুর উধের্্ব ভালোবাসেন । পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, "নবী (সা মুমেনদের কাছে তাদের জীবনের চেয়ে অধিক শেষ্ঠ " (সুরা আহযাব ,আয়াত-6) ইসলামের ইতিহাস থেকে জানা যায় যে , হজরত আলী (রা ছোট সময় থেকেই নবীজী (সা এর কাছে থাকতেন ।

তার বয়স যখন 9-10 বছর ,তখন একদিন তার পিতা আবু তালিব পুত্র আলী (রা কে নিজের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাসূল (সা বাড়িতে গেলেন। দয়াল নবীজী আলী (রা কে তার পিতার সঙ্গে চলে যাওয়ার জর্ন বললেন । কিন্তু আলী রা: নবীজী কে এতই ভালোবাসতেন যে তিনি তার পিতার মায়া- মহব্বত ত্যাগ করে নবীজী (সা এর কাছে থাকার কথা ব্যক্ত করলেন এবং তার পিতাকে জানিয়ে দিলেন তিনি আল্লাহর রাসূল কে ছেড়ে কোথাও যাবেন না । 9-10 বছরের একটি বালক নবীজী (সা এর প্রতি যে ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন তা আমাদের জন্য একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত হিসাবে গণ্য। আর এ থেকেও আমরা শিক্ষা নিতে পারি।

শুধু কি তাই ??ইসলামের প্রাথমিক যুগেও মক্কার অনেক নওমুসলিমও ধনসম্পদ, স্ত্রী-পুত্র মোট কথা সবকিছুর মায়া ত্যাগ করে হযরত (সা কে ভালোবেসে হিজরত করেছিলো। যা কিনা এখানেই থেমে থাকেনে পরবর্তীতে রাসূল (সা ভালোবেসে তারই নির্দেশে জেহাদ করেছিলো এবং শহীদ হয়েছিলো। সুতরাং আমাদেরও উচিত হযরত মুহাম্মদ (সা কে নিজের জীবনের চাইতেও বেশী ভালোবাসা। তবেই আমরা মুমেনের মার্যদা লাভ করতে এবং ইহকাল এবং পরকালে মুক্তি ও শান্তির পথ খুজে পাবো । আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দান করুন ।

(আমিন) (চলবে) ( আমি এ লেখাটি লিখতে অনুপ্রানিত হয়েছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের লেকচারার এর লেকচার শুনে। একটি অনুষ্টানে তিনি এ সম্পর্কিত একটি বিবৃতি পেশ করেন । উনার নামটা মনে না আসাতে বলতে পারলাম না । এ লেখাটি উনাকে উৎসর্গ করলাম)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।