স্বপ্নের আকাশে খুঁজি আমার অধরা স্বপ্ন .......... এভাবে আর কতো দিন ‘বেকার’ থাকবো? দেশের শত শত বেকার ছেলেরা যে কিভাবে দিন কাটায় তা আগে বুঝতাম না। এখন একটু একটু করে টের পাচ্ছি।
১৯৭১ এ যারা দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, অবশ্যই তারা সম্মানের পাত্র ও জাতির গৌরব। তাদের জন্য মাসিক ভাতা, আর্থিক সহায়তা প্রদানকে সমর্ন করি। তাদের সন্তানদেরকে চাকুরী ক্ষেত্রে কোটা সুবিধা কে ও মেনে নিয়েছি।
কিন্তু, মুক্তিযোদ্ধা কোটার লেজ যেভাবে বেড়ে চলছে তা অতিরঞ্জিত। ঠাকুর দাদা কিংবা দাদুর ভালো কাজের সুফল তার নাতি-নাতনিরা পাবে !!!!!!
-তাই যদি হবে, তাহলে রাজাকার, আল-বদর, আল-সামস্ সহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান ও তাদের সন্তানদের কে কেন বাংলাদেশের সরকারী চাকুরী থেকে বঞ্চিত বা চাকুরীতে বিশেষ শর্ত আরোপ করা হবে না???????
একদিকে কোটার পাল্লা ভারি হচ্ছে, অন্য দিকে সাধারন মানুষের যায়গা কমে যাচ্ছে।
তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ আগে- যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান ও তাদের সন্তানদের কে বাংলাদেশের সরকারী চাকুরী থেকে বঞ্চিত বা চাকুরীতে বিশেষ শর্ত আরোপ করা। তার পর, মুক্তিযোদ্ধা কোটার লেজ বাড়ানো।
দেশের সরকার বদল হয় ঠিকই, কিন্তু সত্যিকার অর্থে মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়ন হয়েছে কি? ইতোপূর্বে দেখেছি- বিভিন্ন সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে সরকারের প্রতি সমর্থন ধরে রাখার চেষ্টা করেছে।
কোন সরকার দেশকে কি দিয়েছে বা দিতে পারে তা জনগন ইতোমধ্যেই বুঝে গেছে। এই দেশে একটা ভালো কাজ করতেও অনেক বাধার সম্মুখিন হতে হয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঝুলে আছে, কেউ জানে না এ বিচার কার্য কবে শেষ হবে। কিছু অপশক্তি ছাড়া সবাই সে বিচার দেখার জন্য প্রহর গুনছে।
বিঃ দ্রঃ পোস্টটি পড়ে অনেকে আমায় দেশদ্রেহী বা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিও মনে করতে পারেন।
আমি এ দুটোর একটিও না। আমার পরিচয়- আমি এ দেশের একজন সাধারন নাগরিক। আর অভিযোগ থাকলে ব্লগে কমেন্ট করুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।