এখানে নীল জল টলমল করে,এখানে নীলের ছায়া পড়ে
আমাদের বাসায় বাগান না থাকলে ও ফুলের সখ ছিল সবসময়। 21শে ফেব্রুয়ারীতে মন খারাপ করে বসে থাকা,ফুল নাই...চুরি করতে ও শিখিনি যে কারো বাগান থেকে নিয়ে আসব। তখন আমাদের শহরে ফুলের দোকানের কোন বালাই ছিল না। এই দুঃখে নিজের বাড়ীতেই ফুলের বাগানের উদ্যোগ নিলাম। গোলাপ বাগান করলাম আলাদা করে।
সকাল বিকাল কষ্ট করে যখন ডাল গুলো গাছ হতে শুরু করলো, একদিন দেখি আমার বাগান সাফা । কোন গাছ নাই।
এই কষ্ট নিয়েই ঢাকা চলে আসা। ফুল প্রিতি কমে নাই একটুও। বরং বেড়েছে।
এইখানে মোড়ে মোড়ে ফুলের দোকান। বিশেষ করে শাহবাগ মোড়। আমার পুরা নেশা হয়ে গেল। ঐ রাস্তা দিয়ে গেলেই রিকশা থামিয়ে ফুল কিনা। গোলাপ ,বেলি, গ্লাডিউলাস,কসমস,ডেইসি,ঘাস ফুল,সামর্থ অনুসারে...
আমার প্রিয় ফুল বেলী।
ওটা সিজনাল তাই সিজন ছাড়া তেমন পাওয়া যেত না। সিজন শুরু থেকে আমি প্রতি দিন কিনতাম। কিনার সময় কলি দেখে ই কিনতাম। এতে ফুল গুলো ফুটে আস্তে আস্তে। কয়েক দিন থাকে।
কারো জন্মদিনে আর যাই দেইনা কেন...সাথে থাকবে গোলাপ, না শুধু লাল গোলাপ না, 7টা ভিন্ন ভিন্ন রং এর। এর জন্য আমাকে কম ঝককি পোহাতে হতো না। শাহবাগের ফুলের দোকানের মামারা সাবাই চিনত। প্রায়ই ক্যাম্পাসে বাচ্চারা যে বালতিতে করে ফুল বেচে সেই বালতি ধরে কিনে ফেলতাম। প্রথমে ভাবত প্রেম টেম করি...পরে বুঝছে অকারনে ফুল কিনি আমি...
না আমার ঘরে কোন ফুলদানীই নেই ফুল রাখব কোথায়।
রাস্তায় যাকে পেতাম তাকেই দিতাম। অচেনা,কিন্তু বলছে দারুন তো ফুল গুলো..গায়ে পরেই জিগাইতাম.। নিবেন...? ভেবা চেকা খেয়ে যেত মানুষ।
-না তোমাকে কেউ দিয়েছে...আমি নিব কেন..
বেকুব কোথাকার, আমাকে দিতে হবে কেন? আমি কি কিনতে পারি না। তাাকে ই ধরে বেধে দিয়ে দিতাম।
এই যে শাহবাগ থকে মালা গুলো আমার হাতে ঝুলতে ঝুলতে আসছে এটাই ভাললাগা। এই ভাললাগা টুকুই কিনতাম আমি...তার পর দান।
এইখানে এসে ফুল কিনা হয় না তেমন। আমার বাসার সামনে একটা ফুলের দোকান হলো নতুন। আমি আসা যাবার সময় প্রায়ই ঢু মারি.।
দেখি..
আমি রোমানটিক টাইপ মানুষ না, তবু এই ফেব্রুয়ারীতে চেক পেয়ে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েই ঐ দোকানে ঢুকলাম, এমনি দেখছি...হঠাৎ করে আগের রোগ মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো। দেখি লিখা 1@ $4। আরে সস্তা তো, 10টা গোলাপ কিছু ডেসি কিনে বিল দিতে গিয়ে দেখি 45 ডলার। আমার তো মাথায় হাত। এতো বিল কেমনে আসলো।
হিসাব মিলাইলো 1টা ফুল 4ডলার সই হিসাবে।
আমি বেকুব হইয়া মনে বড় কস্ট পাইছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।