ভাসমান হঠাৎ করিয়া বউয়ের "তুমি ঘরের কোন কজ ই করোনা" অপবাদের দায় গুছাইতে রান্না বিষয়ক ব্যাপারে তুমুল আগ্রহ প্রকাশ করিলো। প্রথমেই ভাত রান্না দিয়ে হাতে খড়ি করিবো ভাবিয়া এক ছুটির দিন বাছাই করিলাম। বউকে ভাত রান্না করিয়া চমক দিবো আর বলিবো এখন থেকে আমি তোমাকে রান্না করিতে সাহায্য করিবো। আস্তে আস্তে সবই শিখিয়া লইবো। বউ আমার উপর খুশি হইয়া রাত্রিকালে অতিশয় লুল করিবে ।
ছুটির দিনে ভাত রান্না শুরু করিলাম। প্রথমেই একটা হাড়িতে পরিমান মত চাল নিয়া ভালভাবে ধুইয়া নিলাম। এরপর অফিসের ব্যাচেলর কলিগের টিপস অনুযায়ী হাতের কডা মাপিয়া পানি দিলাম। গ্যাসের চুলার উপর বসাইয়া দিয়া বউয়ের অন্য কোন সাহায্য লাগিবে কিনা তাহা পযবেক্ষন করিতে গেলাম।
বউ ড্রয়িং রুমে বসিয়া তাহার প্রিয় সিরিয়াল দেখিতেছে।
আমাকে দেখিয়া বলিল ভাত হইয়া গেলে তাহাকে যেনো ইনফর্ম করি। আমি গদগদ হইয়া তার আর কোন কাজ করিতে হইবে কিনা জিজ্ঞেস করিলাম। বউ বলিল তোমার ভাত হইয়া গেলে আমি ছোট চিংড়ি রান্না করিবো পারলে চিংড়ি মাছগুলো কুটিয়া বাছিয়া দাও। পারবোনা মানে ? তোমার জন্য সবই পারেবো।
ঘন্টাখানেক চেষ্টা করিয়া চিংড়ির লেজ আর মাথা ফালাইলাম।
মনে মনে প্রতিজ্ঞা করিলাম যে আমি আর কোন দিন চিংড়ি আনিবোনা। বউকে বহুত কষ্ট দেওয়া হইয়াছে।
ইতেমধ্যে হঠাৎ করিয়া ভাতের কথা মনে পরিলো। দৌড়াইয়া রান্না ঘরে যাইয়া চোখ ছানাবড়া হইয়া গেলো। এক ঘন্টা টর হইয়া গেলো কিন্তু চাল এখনো ভাত হইলো না।
আমি কি কিছু একটা ভূলিয়া গেলাম ?
ভাত রাধিতে না পারিলে বউকে সারপ্রাইস দেওয়া হইবেনা আর আমার লুল রাতও Fool হইবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।