মন'রে কৃষি কাজ জানো না, এমন মানব জমিন রইলো পতিত, আবাদ করলে ফলতো সোনা
আজ দীপু সাহেব একটা পোস্ট দিছেন, আমি একটু আগে উনার সব মন্তব্য পড়লাম। উনাকে রাসেল(বিন্দুঅবিরাম ) নাকি বিরক্ত করে। তাই উনি পোস্ট দিয়ে রাসেল (বিন্দুঅবিরাম ) এবং উনার মা-বোন ধরে গালাগালি করেছেন। অত্যাশ্চর্ায ব্যাপার হচ্ছে কেউ দীপুকে মন্তব্যে বললো না যে আপনি রাসেল কে গালি দিতে গিয়ে নিজে নাংগা হয়ে যাচ্ছেন এবং নিজের মা-বাবা-বোনের মাথা হেট করছেন।
শেইম অন দিস সিভিল সোসাইটি।
শেইম ।
আমাদের মধ্যে দেখলাম এধরনের কালচার আছে, কাউকে গালি দেওয়ার প্রয়োজন হলে খানকীর পোলা, মাগীর পোলা বলা। আমি অনেক ভেবে বুঝতে যেটা পেরেছি সেটা হল আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চরম প্রতিফলন এই খানকী এবং মাগী শব্দ দুটোর গালি হিসেবে ব্যবহার। আমাদের শ্রেনী স্র্বাথের প্রতিফলন হয় রিকশাওয়ালা এবং বস্তির লোক গালি দুটোয়।
খানকি কি ?
1।
যারা টাকার বিনিময়ে দেহ দান করে।
2। অন্ন-বস্ত্রের সংস্থানের জন্য দেহ দান করে ।
3। যারা দেহের বিনিময়ে দেহ দান করে ।
এরকম পুরুষও আছে, আমি এখনও র্পযন্ত্য একটা গালি শুনেছি সেটা হচ্ছে মাইগ্যা পোলা। এটা কিন্তু খুব খারাপ র্অথে না, অনেকটা তিরস্কার র্অথে।
তাহলে খানকি শব্দটার বুৎপত্তি কোথায় ?
বাংলাদেশে যখন একটা ছেলে মেয়ে পছন্দ করে তখন কি দেখে প্রথম এবং প্রধানত সৌন্র্দয, পষ্ট করে বললে শারিরীক সৌন্র্দয। হাজার হাজার পর্ালার হয়েছে সবাই নিজেকে একসময় দানের জন্য প্রস্তুত করছে। সমাজিক দান প্রথা এটা।
বিয়ের দিন কি হয়। সাজগোজ হয় ছেলে-মেয়ে দুজনেই সাজছে। কেন? নিজেকে উপস্থাপন যোগ্য এবং সুন্দর করা। সবার সামনে নিজের দেহ (ছেলে-মেয়ে দুজনেই ) যতটুকু সম্ভব সুন্দর করে উপস্থাপন করছে। কই কোথাও তো শুনিনি, মেয়ে রসায়নে তার ডিসারটেশন পড়ে বিয়ের দিন শোনাচ্ছে , কিংবা ছেলে তার কবিতা পড়ে শোনাচ্ছে ।
মননের প্রর্দশন তো এই জগতের কোথাও হয় না। হয় শরীরের প্রর্দশন ।
আমরা সবাই কোথাও না কোথাও নিজেকে বেচি ,
হয় মন,
নয় যৌবন
হয় মেধা
নয়তো মনন
তবে এই শরীর বিক্রি করে বেচে থাকাদের প্রতি এত আক্রোশ কেন সমস্তজগতের।
ভাব চককর দিয়ে এরশাদের কাছে নিজের কবিতা বেচে জীবন ধারণ কি বুনো শুয়োরের পশ্চাৎদেশ ভ্রমনের চেয়ে উন্নত কিছু।
সমস্ত দিন বালিকা সন্ধানে ফোন, এসএমএস, ইন্টারনেট, চ্যাট বিভিন্ন জায়গায় নানাবিধ র্নতন-কর্ুদন কি ঐ টানবাজারে দেহপাসারিনীর কাজের চেয়ে উন্নত কিছু।
আমি বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলতে পারি পতিতা অনেক উন্নত ঐ র্সবক্ষণ জিহবা লুকিয়ে রাখা কেতাদুরস্ত ভদ্দরনোকের চাইতে। তারা যা বেচে সরাসরি বেচে। আর আমরা আড়ালে আবডালে নিজের গোপন উল্লাসে বেচি।
ক্রমাগত আমরা নিজেদের বেচে যাই কানসাটে, শহীদ মিনারে, বাঁধনের শাড়ীর ভাঁজে, শমী কায়সারের নাটকে, ঐশ্বরিয়ার ফিলিম ফেস্টিভ্যালে, সব জায়গায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ এবং ঢাকা মেডিকেল এর মধ্যর্বতী জায়গাটায় ব্যবসা করা সেই পতিতা অনেক উন্নত।
আমি তার নাম বললাম না। কারণ নামটা কারো না, কারো, বোন বা মায়ের নামের সাথে মিলে যাবে। তখন ভদ্দরনোকেরা ঘিনঘনে বোধ করবে।
ধরি উনার নাম সোফিয়া লরেন বা খালেদা বা হাসিনা । সমস্যা আছে কারও।
আমি ধরে নিলাম তার নাম, আমার মায়ের নাম। তাকে আমি সেই সম্মান দিতে একটুও কুণ্ঠা বোধ করি না। কারণ সেই পতিতাও একজন মা হয়তো। মা না হলেও, স্পষ্ট ভাষী সৎ মানুষ । নারীর উপরে উঠে প্রবল পরাক্রমশালী মানুষ।
সমাজের বর্্যথতার দায়ভার একা কাঁধে নেবার মত সাহসী মানুষ।
ডান গালে একটা তিন ইনচি গভীর ক্ষত। পুলিশ রিকশার চেইন দিয়ে মেরে করেছে। উনার কাছে নাকি প্রতি শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটা ছেলে একত্রে আসে। তারা সেক্স করে, চলে যায়।
জুম্মার নামাযের মত ছেলে তিনটির এটা রুটিন। সব পতিতার সাথে কথা বললে আরো অনেক এরকম রুটিন জানা যেত।
শিক্ষক, আমলা, ছাত্র, পেশাজীবি, বুদ্ধিজীবি, দারোয়ান, রিকশাওয়ালা, টোকাই , সাধু-সন্ত, হুজুর, ঠাকুর, কায়স্থ, শিয়া-সুনি্ন এই জায়গায় একদম এক হয়ে গেছে। পতিতা গমনে ।
আর সুযোগ মত খানকীর পোলা , মাগীর পোলা গালি দেওয়ায়।
এই গমন শুধু তো আর নারীদেহে গমন নয়। র্সবত্র আমরা পতিত হচ্ছি । পতিতা হচ্ছি আর একটা শ্রেনী কে গাল দিয়ে পাপমোচন করছি।
আমি একটু বাদে দাওয়াতে যাবো, ভালো না লাগলেও, একটু পতিতাবৃত্তি করে বলবো খাওয়া খুব ভালো হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।