আমার ভিতর তুমি থাকো আমি কোথায় রই, আমি না থাকিলে তোমার থাকার জায়গা কই?
পেশাগত কাজ শেষে একদিন রাত 12টায় বাসায় ফিরেছি। বাসায় ইন করা মাত্রই বাইরে থেকে এক বন্ধু ফোন করলো, দোস্ত একটা বিপদে পড়েছি। আমাকে একটু হেল্প করবি? সাড়া দিলাম বন্ধুর ডাকে। সঙ্গে সঙ্গে বের হয়ে গেলাম। কিন্তু পোষাক চেঞ্জের কারনে নিজের পরিচয় পত্রটা সঙ্গে নিতে ভুলে গেছি।
বন্ধুর কাছে পেঁৗছে দেখলাম ওরা কয়েকজন বসে আছে। সমস্যা জানতে চাইলে বললো প্রেমঘটিত ব্যাপার। কথা দিলাম বন্ধুকে হেল্প করবো। রাত তখন 12টা 30 মিনিট। আমরা 5 জন ছিলাম ওখানে।
বিদায় নিয়ে চলে আসবো ঠিক সেই মুহুর্তে কয়েকজন লোক এসে আমাদের ঘিরে ফেললো। বললো আমরা র্যাবের লোক। আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।
নিজের পেশার পরিচয় দিলাম। ওরা পরিচয় পত্র দেখতে চাইলো।
পকেট হাতড়ে দেখি তা বাসায়ই রয়ে গেছে। পরিচয় পত্র দেখাতে না পেরে র্যাবের রোষানলে পড়লাম। আমাকে নিয়ে গেল ওদের ক্যাম্পে। রাতভর অমানুষিক নির্যাতন করলো। কতবার বলেছি দয়া করে আমার অফিসে ফোন করুন নতুবা আমার বাসায় একটা ফোন করুন তাহলে আমার পরিচয় পেয়ে যাবেন।
কিন্তু কিছুতেই আমার কথা শুনলোনা মহৎ (র্যাব!!) মানুষগুলো। আমাকে আঘাত করে ওরা যেন আনন্দ পায়। আমার ডান হাত ছিল ওদের টার্গেট। ওদের কথাবার্তায় বুঝলাম আমাদের পেশার লোকের ওপর তাদের বিশেষ ক্ষোভ রয়েছে। তাই আমার পরিচয়টা সত্য কি মিথ্যা জানার প্রয়োজন মনে করছেনা।
দুইদিন পর আমার বোন যখন খবর পেল তখন অফিসের সহযোগিতায় ছাড়া পেলাম।
আমার অফিস যখন কৈফিয়ত চেয়েছে তখন অফিসকে র্যাব উত্তর দিয়েছে আমি পরিচয় পত্র দেখাতে পারিনি। সেজন্য ওরা দুঃখ প্রকাশ করেছে। কিন্তু ওই দুটো দিন যে ওরা আমার উপর কেমন নির্যাতন চালিয়েছে তা একমাত্র আমি জানি। রাত দুটোয় চোখের সামনেই দেখলাম ক্রসফায়ার কাকে বলে!!
উই আর সো সরি!!
ধন্যবাদ র্যাবকে, আমার উপর সুবিচার করার জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।