আমার সাথে যোগাযোগ করতে http://bn.jinnatulhasan.com/blog এ ভিজিট করুন।
গতকাল উইকএন্ড ছিল, তাই অর্ধেকদিন ঘুমিয়েছি। সপ্তাহের অন্যদিনগুলোতে ঘুমাতে পারি না। দুপুরের দিকে বেড়িয়েছিলাম কিছু শপিং করতে। যখন ঘরে ফিরলাম দেখি হাউজমেটদের কেউ নেই।
একজন কাজে, একজন ম্যানচেষ্টার গেছে বেড়াতে আরেকজন হয়তো কোথাও গেছে।
আমাদের ফ্লাটে একটা ছোট্ট সুন্দর ছাদের মতো আছে, চা বানিয়ে সে জায়গাটাতে গিয়ে বসলাম। সাতটা কিংবা সাড়ে সাতটা বাজে, তখনও প্রচন্ড রোদ। কয়েকদিন ধরেই বেশ গরম পড়েছে। 28/30 ডিগ্রী সেলসিয়াস পড়ছে আজকাল, এইখানে এসে ঠান্ডাটা সহ্য করে নিয়েছিলাম, আর হঠাৎ করেই গরমের উৎপাত শুরু হয়েছে।
কতক্ষন বসে ছিলাম জানি না, একসময় দুজন ফিরল। আমাকে দেখে উপরে উঠে বসল। রাত সোয়া দশটা বাজে, তখন হঠাৎ আমি বললাম - চল Fanaa দেখতে যাই। ইন্টারনেট সার্চ করে দেখলাম, সর্বশেষ শো শুরু হয় দশটায় আর আমাদের যেতে কমপক্ষে আধাঘন্টা লেগে যাবে। ততক্ষনে হয়তো কাজলের সাথে আমিরের বিয়েও হয়ে যাবে, I mean ট্রাজিডিও শেষ হয়ে যাবে।
কি করা যায় ভাবতে ভাবতে আরোও আধা ঘন্টা প্রায়। অবশেষে প্ল্যান করলাম টাওয়ার ব্রীজে ঘুরতে যাব। ওটাকে সবাই বলে লন্ডন ব্রীজ কিন্তু আসলে টাওয়ার ব্রীজের অদূরেই লন্ডন ব্রীজ রয়েছে। এখানে টেমস নদীতে অল্প কিছু দুরত্বেই বেশ কয়েকটা ব্রীজ রয়েছে।
সাজগোজ করতে করতে আরোও 10/15 মিনিট পেরিয়ে গেল।
অবশেষে রাত 11 টারও কিছু পড়ে বের হলাম।
লন্ডনে আসামাত্রই লোকজন যে কয়টা দর্শনীয় জায়গা ঘুরতে যায় তার মধ্যে এই টাওয়ার ব্রীজটা অন্যতম। কোনো বড় জাহাজ এই ব্রীজ অতিক্রম করার সময় নাকি এটা দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়, এখনও এটা দেখার সৌভাগ্য হয়নি। যখন টেমসের পাড় পৌছালাম, ততক্ষনে প্রায় রাত বারোটা বাজে। বেশ কিছু নাক বোচা চাইনিজকে দেখলাম কেও মেও করছে।
খুব ভাল লাগছিল, সারাদিনের গরমের পর ঠান্ডা একটা বাতাস আর চারিদিকে অদ্ভুত একটা নিরবতা। কিছু কিছু সৌন্দয যেগুলো আমি বর্ননা করতে পারি না, গতকাল রাতের ওই আউটিংটা তেমনই একটা সৌন্দর্য ছিল।
ছবি তোলা আমার স্বভাবে নেই, তবে গতকাল বেশ কয়েকটা ছবি তুলেছি। নাইট ভিশন দিয়ে তুলেছি, তাই সামান্যটুকু নড়াতেই ছবির বারোটা বেজে গেছে। টেমস এর বর্ননা আগামী পোষ্টিং এ থাকবে, এখন বেশ কিছু কাজ হাতে এসে পড়েছে।
ওই গুলো আগে শেষ করি। আপনারা ছবিগুলো দেখুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।