ভালোবাসার ঊর্বশী বুকে লেখা আছে এক নাম- সে আমার দেশ, আলগ্ন সুন্দর ভূমি- বিমূর্ত অঙ্গনে প্রতিদিন প্রতিরাত জেগে ওঠে তার উদ্ভাসিত মুখ
দ্বি-খণ্ডিতেরা আমাকে ধরেছে জাপটে
আমিও খণ্ডিত কী না?
ধর্ম-উন্মাদ ধর্মের গোঁড়ামিতে টানে
নাস্তিকেরা টানে ধর্মহীনতায়
আমিও তাদের দলে ভিড়ি কী না!
করি চাষবাস কবিতার ভূঁয়ে সারাদিন
বুঝি কবিতার ধর্ম, হৃদয়ের কর্ম যতো;
আমিও ধার্মিক তাহ'লে সবাই শোনো।
ঈশ্বরের গুণ-কীর্তনে, প্রেমের জয়গান ক'রে
শুদ্ধ রবীন্দ্রনাথও পেয়েছিলেন নোবেল;
জানি, কাব্য-চর্চায় খণ্ডিত নন তিনি।
স্বধর্মে আসীন মহীয়সী নারী মাদার তেরেসা
মানব সেবায় সমস্ত সঁপে ও ক'রে ধর্মাচার
হননি দ্বি-খণ্ডিত এ ভারতবর্ষে কোনোদিন।
হিন্দু-মুসলিম-খ্রীস্টান- নানান ধর্মের এ বঙ্গে জন্মে
পিতৃ-পুরুষের মানুষ যাদের নিকট 'সান অব বিচ'
ধর্মপ্রাণ মানুষ যাদের দু'চাখের কাঁটা, চক্ষুশুল
ঘরে ঘরে নারীর জরায়ূ চায় সবার উন্মুক্ত ক'রে দিতে
দেহের গঠন যাদের দেয়না রাস্তায় পেচ্ছাবের সম্মতি
তবু চায়- খণ্ডিত তারাই নিখাঁদ সত্যের থেকে।
দেখো বাংলার জনপদে ঘুরছে দ্বি-খণ্ডিত মানুষ
ধরছে হাজার ঘূণপোকা শতাব্দীর ইতিহাসে;
আমাদের শালীন কৃষ্টি ও সভ্যতায় জ্বলছে রুগ্নতা।
যদি নগ্ন-অশ্লীল নান্দনিকতাই হয় কবিতার উপজীব্য
আগামী প্রজন্ম শব্দের শরীরে হাত্রে পায় নেশার পণ্য
এমন খণ্ডিত চাই না হ'তে- ভিড়বো না কোনো দলে
ধর্মই আমার মানবতা, রয়েছি এদেশ মানুষের জন্য।
10.06.2006
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।