আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঃ সতর্কীকরণ ঃ

মোহাম্মদপুর,ঢাকা ।

=========== দরিদ্র অসহায় মানুষ কে দান করা নিঃসন্দেহ একটি মহৎ কাজ , এবং এই মহৎ কাজের জন্য সব ধর্মেই নির্দেশ রয়েছে , তাছাড়া একজন দানশীল বেক্তি ইহকাল এবং পরকাল উভয় স্থানেই সম্মানিত মানুষ বলে বিবেচিত হন , তবে আপনার ঘামে ভিজা / রোদে পুড়ে কষ্টে অর্জিত অর্থ আপনি কোথায় দিচ্ছেন , কাকে দিচ্ছেন অথবা আপনার দানের অর্থ কাদের জন্য বা কোন প্রতিষ্ঠানে দিচ্ছেন ,এবং কি কাজে ব্যাবহার হচ্ছে , এই ব্যাপার গুলো দান করার আগে অবশ্যই একবার ভেবে দেখুন । তার কারণ সম্প্রতি অবাধ যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মিডিয়ার সুবাদে অনেক অসাধু চক্র এই ধরনের বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেইজ খুলে, কোন রকম ছাড়পত্র বিহীন সংগঠনের নামে শুধু মাত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা , দেশ প্রেম , সুবিধাবঞ্চিত এবং পথসিশু সহ অসহায় মানুষদের সাহায্যের নাম করে জাদুকরী ভাষা ব্যাবহার এর মাধ্যমে আপনার কোমল হৃদয় জয় করে নিতে পারে । আপনি মন থেকে সরল মানুষ বলে , তাদের ঐ সব জাদুকরী আহ্বানে হয়তো সাড়া ও দিয়ে ফেলবেন , এবং কোন কিছু চিন্তা না করেই সেই গ্রুপে উল্লেখিত কোন বিকাশ নাম্বার অথবা বেক্তিগত কোন অ্যাকাউন্ট এ কিছু টাকা পাঠিয়ে দিলেন , আর এটাই প্রকৃত ভালোমনের মানুষদের জন্য অত্তান্ত স্বাভাবিক , কারন জন্মসূত্র থেকেই দানশীলতা আপনার রক্তে মিশে আছে , আপনি দান করার আগে এতো কিছু ভাববেন কেন ? কারণ দান তো দান ই আপনি তো ভালোমনে দান করেছেন , আর তা যদি হয় প্রতি মাসে মাত্র ৫০/১০০ টাকা তাহলে তো আরও ভাববেন না , আর প্রতিদিন ই যেখানে আপনি চা/পান/সিগারেট (অবশ্য যারা এসব খান) এর পেছনে এর থেকে অনেক বেশী টাকা খরচ করে থাকেন তাই ঐ সামান্য ৫০/১০০ টাকা দান করা আপনার জন্য অতি তুচ্ছ ব্যাপার তাই নাহ ? হুম আমি এটাও জানি বাংলাদেশে অথবা দেশের বাইরের মানে অনেক প্রবাসী বাঙ্গালী আছেন যারা দেশের জন্য , দেশের মানুষের জন্য মন থেকে সাহায্য করতে চান , তাদের সবারই প্রতি এসব সংগঠন কে দান করার জন্য ১৫/২০ হাজার নির্ধারিতই থাকে , আমার জানা মতে এমন মানুষের সংখ্যা এখনো বেশ ভালই আছে , তবে তারা প্রচার বিরোধী বলে তাদের নাম অনেকেই হয়তো জানেন না , কিন্তু আমি মানে আমার ফেসবুক বন্ধু/ভাই দের চিনি যারা অনেক দিন থেকেই বিভিন্ন মানুষ / প্রতিষ্ঠান কে অই অংকের টাকা দান করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত, এবং আমার ফেসবুকেই এমন কিছু ছোট ভাই/ভক্ত/বন্ধু আছেন যারা ছাত্র অথবা চাকুরিজিবি হওয়া সত্ত্বেও ওই ধরনের জাদুকরী ভাষায় দানের আহ্বানে সাড়া দিতে , বন্ধুরা মিলে টাকা তুলে সেই টাকা নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের জন্য আগেও পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও পাঠাবেন বলে মনঃস্থির করে ফেলেছেন , আসলে আমি আজ সুধু তাদের ই নয় ভবিষ্যতেও যারা এমন দানশীলতার কথা ভাবছেন তাদের একটু সাবধানী হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি । আর আপনি আমার সম্মানিত বন্ধু হওয়ায় আপনাকে আমার বেক্তিগত জীবন থেকে শিক্ষা পাওয়া / অভজ্ঞতার কথা জানানোর দায়িত্ব বোধ থেকেই বলছি , আর ভার্চুয়াল জীবনে আমরা কেউ কারো রক্তের আত্মীয় না হলেও , আত্মার এক আত্মিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেছি , সেই কারনেই সব সময় আমরা ফেসবুকের মাদ্ধমেই মনের ভাব , অনুভূতি , সুখ ,দুঃখ সহ রাগ/ ক্ষোভ / ক্রোধ এবং বিভিন্ন সামাজিক , পারিবারিক , দেশ , রাজনীতি সহ জিবনের অনেক ঘটনার স্ট্যাটাস বা কমেন্ট/ লাইক এর মধ্য দিয়ে প্রকাশ বা শেয়ার করে থাকি , আর সে কারনেই আজ এসব কথা মানে নিজের অভিজ্ঞতার কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি - মাস ৩/৪ আগে আমি নিজেই এমন এক সংগঠনের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছিলাম অনেক সুন্দর , মুক্তিযুদ্ধের চেতনা , দেশ প্রেম , দরিদ্র শিশুদের সাহায্য নামের এক প্রতিষ্ঠানের সাথে , উল্লেখ্য প্রতিষ্ঠানের কেউ ই আমার পূর্ব পরিচিত ছিল না , সুধু এই ফেসবুক ই ছিল সেই পরিচয়ের সুত্র , তারপর একদিন দেখলাম ওই মিথ্যে এবং নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের মূল হোতা , অনেক মন মহনীয় কথা লিখে আমায় ওই গ্রুপ এর সদস্য হওয়ার অনুরোধ পাঠিয়েছে ,আর আমি সেই গ্রুপের ওয়ালে ওসব জাদুকরী ভাষায় আপ্লুত হয়ে নিজেকে বন্দী করলাম ওই (প্রতারনার বেড়া জালে) গ্রুপে ।

আর আমি ঢাকায় থাকি কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি হল বাংলাদেশের বৃহত্তর জেলা ময়মনসিংহ শহরে তাই ভাবলাম আসলেই হয়তো ওখানে একটি ভালো মানব সেবা সংগঠন এর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কিছু দান করলে ক্ষতি কি ? বিশেষ করে যেখানে "পথ শিশু এবং সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের স্কুল" সহ আরও কিছু সেবা মূলক কার্যক্রমের কথা উল্লেখ আছে ওই পেইজ/গ্রুপের ওয়ালে । এরপর আমি দিন দিন আরও জড়িয়ে যেতে থাকি , টেলিভিশনের প্রামাণ্য অনুষ্ঠান নির্মাণ , সাংবাদিকতা , বিভিন্ন লেখা-লিখি সহ সব কাজের ফাঁকে সময় বের করে ওই গ্রুপের সদস্য সংগ্রহের কাজ ও করতে থাকি , বিশেষ কোরে আমার যে সব ভাই/বন্ধুরা ইতোমধ্যে দানশীল বলে জানি । আগে তাদের জয়েন করতে অনুরোধ করি , আর এম্নিতেই তারা সব সময় দান করেন তাই ঢাকার বাইরের ওই গ্রুপের সাথে আমি জড়িত থাকা দেখে কোন রকম প্রশ্ন বা দেরি না করে তারাও জয়েন করে ফেলে। তারপর আমি রোজার মধ্যে পথশিশুদের ইফতার করানোর ইচ্ছা ওই গ্রুপের ওয়ালে লিখা পড়ে আবেগ তাড়িত হয়ে তখনি কিছু টাকা ওই সংগঠনের জন্য পাঠিয়ে দেই ,কিন্তু পরে জানলাম ওখানে যে শিশুদের ছবি দিয়ে স্ট্যাটাস এ দেখানো হয়েছে তারা আসলে কোন পথশিশু বা সুবিধা বঞ্চিত শিশু বলতে যা বুঝায় তা নয় , ওই শিশু গুলোর বাবা মা সহ কিছু টাকা দিয়ে , অল্প সময়ের জন্য ভাড়া করে আনা হয়েছিল , আর অই শিশুদের সবাই ই বিভিন্ন NGO /সরকারি প্রাইমারী স্কুল এর ছাত্রছাত্রী । এদিকে আমি সরল মনে ঢাকায় থেকে নিত্য নতুন মন ভুলানো কথা গ্রুপের স্ট্যাটাস এর লিখা পড়ি আর গ্রুপের জন্য টাকা পাঠানোর জন্য বন্ধুদের অনুরধ করি , ইতোমধ্যে দিন দিন সদস্য সংখ্যা বাড়তেই থাকে সেই সাথে দানের টাকার অংক তো আছেই , তবে নিত্য নতুন বাহানায় স্ট্যাটাস এ প্রতিষ্ঠানের নাম চাই সহ বিভিন্ন লিখা চলে এর পর অই চক্রের হোতা তার কিছু সহযোগীকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় অই অসহায় শিশুদের সাহায্যের নামে নতুন সংগঠন /NGO হিসেবে রেজিট্রেশন করিয়ে দেশ এবং বিদেশ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ সাহায্যের অনুরোধ করবে আর পথশিশুদের নাম ব্যাবহার করে সেই টাকায় তাদের বেকারত্ব ঘুচিয়ে , মৌজ- মাস্তিতে খরচ করবে এবং সেই সুবাদে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাবে ।

তাদের মনের এই দুরবিসন্ধি আমি যখন জানতে পারি ততদিনে গ্রুপের / সংগঠনের বয়স ৩/৪ মাস হয়ে গেছে আর দাতা সদস্য সংখ্যাও ৫৪০ ছাড়িয়ে গেছে ,এবং আরও দুরভাজ্ঞের ব্যাপার হল তাদের বেশির ভাগ ই অই জেলায় থাকেনা , অনেকের জন্ম অখানে হলেও তারা বিভিন্ন কাজে বিদেশ সহ দেশের অন্যান্য জাগায় ছড়িয়ে আছে , তাই অতো কিছু না ভেবেই এলাকার কিছু বেকার যুবকদের এমন মহতি উদ্যোগের কথা ফেসবুকে দেখে তারা সব রকম সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছেন। এখানে আমার নিজের সম্পর্কে বলছি আমি কিন্তু ওই জেলার মেয়ে ও নয় অথবা বউ ও নয় । সুধু মাত্র ভালো কাজ অসহায়/দরিদ্র মানুষের সাহায্যের মন নিয়েই ছুটে গেছি অখানে নিজের টাকা খরচ করে ৩ দিনের জন্য টেলিভিশনের দামী ক্যামেরা , ক্যামেরা ম্যান ভাড়া নিয়ে এবং সম্পূর্ণ নিজের টাকায় যাতায়াত / থাকা খাওয়া সহ সব আয়োজন করেই , এবং জাওয়ার আগে আমি ওই গ্রুপের ওয়ালে লিখেও গেছি যে আমি অখানে পথশিশু এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে প্রামাণ্য অনুষ্ঠান বানাতে যাচ্ছি ,তখন অনেকেই অই কাজের জন্য আমাকে সাধুবাদ জানিয়ে অই জেলায় যাওয়ার জন্য স্বাগতম জানিয়েছিল । আর ঢাকায় থেকে আমিও ভেবেছি ওটা যেহেতু পথশিশু এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে এতো অপেনলি অর্থ সাহায্য তুলছে , তাহলে ওখানে পথশিশুর কোন কমতি থাকবেই না বরং শুটিং করার সময় কাকে ছেড়ে কাকে নিব সেই ঝামেলায় পরব , আর তাই ভেবেই আমি জাওয়ার সময় বাচ্চাদের জন্য কিছু খেলনা কিনে সাথে নিয়েছিলাম্‌ , জাতে অন্তত আমার প্রামাণ্য অনুষ্ঠান শুটিং এর সময় খেলনা দিয়ে ওদের শান্ত রাখতে পারি , কিন্তু যখন আমি ময়মনসিংহ শহরে পৌঁছলাম তখন আমার সব স্বপ্ন ঘোর কাটতে লাগলো , আমি পুরো একটা দিন ক্যামেরা আর ক্যামেরা ম্যান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অপেক্ষা করতে থাকলাম এবং ওই গ্রুপের যে মূল হোতা তার কোন দেখা নেই অথচ এর আগেই আমার অন্য কিছু বন্ধু রা আমায় ওখানে রিসিভ করল এবং তারাও আমার সাথে অপেক্ষা করতে লাগলো কখন সেই নাম সর্বস্ব গ্রুপের হোতা আসেন । ।

কিন্তু সে এল দুপুর ২ গড়িয়ে , অথচ আমি সকাল ৮ টায় ওখানে পৌঁছে অপেক্ষা করছি । যাইহোক সে এলো এসেই বিভিন্ন বাটপারি ধরণের কথা শুরু করে দিল তার পর আমার যাওয়ার খবর পাওয়া না পাওয়া নিয়ে এর ওর ঘাড়ে দোষ চাপাতে লাগলো , পরে আমি সব বুঝে গেলাম এবং পথশিশুদের আমার সামনে আনতে বললাম , তখনি সে মূল হোতা এবং তার এক সহযোগী আমায় জানালো আসলে এই শহরে কোন পথশিশুই নেই , তবে কিছু বস্তি আছে আর সেই বস্তির ছেলেমের বাবা- মাও আছে এবং তারা বিভিন্ন এঞ্জিও সহ সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পোলাপান , যাদের বাবা - মাকে টাকা দিয়ে ওই বাচ্চাদের ভাড়া নিয়ে গ্রুপের বাচ্চা হিসেবে দেখানো হয় , তখন আমি চাইলে সে ওই বাচ্চাগুলোকে ভাড়া এনে নোংরা মেকআপ করিয়ে তার পর পথশিশুর অভিনয় করাতে পারে , কিন্তু যাকে দিয়ে মেকআপ করানো হয় সে নাকি তখন ওই শহরে ছিল না তাই মেকআপ করাতে পারছে না , আমি তখন আমার মনের ভিতরের অবস্থা বলে বুঝাতে পারবনা , কিন্তু তার পর আরও তথ্য নেওয়ার জন্য প্রযোজক থেকে অভিনেত্রী বনে গেলাম , অদের সাথে মিশে সব সত্যি গুল বের করলাম কিন্তু আর তথ্য হাতেনাতে প্রমাণের অপেক্ষায় থাকলাম , এতো দিন হল কেন এখন ও প্রকৃত পশশিশু নেই ? কেন এতো দিনে কোন রকম বৈধ ছাড়পত্র না নিয়ে , কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না করে শুধু মাত্র বিকাশ আর নিজ নাম্বারে মানুশের কাছ থেকে টাকা তোলা হচ্ছে ? এবার এই প্রশ্নের উত্তরের পালা আমি উত্তর চাইলাম কিন্তু কোন উত্তর না দিয়ে কথা ঘুরাতে শুরু করলো , আমি সব বুঝে ওই বাটপারের সাথে আমার ফেসবুকের সম্পরক ছিন্ন করলাম এর পর আরও অনেক সত্যি প্রমান হল । আমি ওই বাটপারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর আমি জাতে অই গ্রুপের কোন কার্যক্রম না দেখতে পারি তাই যেহেতু নগত টাকা, গ্রুপের সব জাগায় উল্লেখিত দানের টাকা পাঠানোর , সবধরনের যোগাযোগ , বিকাশের মাদ্ধমে টাকা তোলার ফোন নাম্বার , এমনকি এই ধান্দাবাজিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে বিনা মূলধনে কিছু জাদুকরী ভাষা ফেসবুকে লিখে পথশিশু অথবা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুল প্রতিষ্ঠার নাম ভাঙ্গিয়ে কতো দ্রুত রাস্তা /পার্কের বেঞ্চিতে দিন কাটানো থেকে কোটিপতি হওয়ার নেশায় বেপরোয়া হয়ে শুধু গ্রুপে সীমাবদ্ধ না থেকে গ্লোবালি পেইজ পর্যন্ত খুলে ফেলেছে , অথচ যেটা পুরোটাই হল , ডেস্টিনি ২০০০ এর থেকেও বড় জালিয়াতি , যেখানে পথশিশু ৩ দিনের মদ্ধে আমায় একজন ও দেখাতে পারেনি অথচ সেই নামের দোহাই দিয়ে ভালোমানুষদের কষ্টে অর্জিত অর্থ দানের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে সে হোতা জাতে তাঁর বাটপারি গ্রুপ এর কোন আপডেট খবরাখবর জানতে না পারি সে খানেই হাইড করে রেখেছে , কিন্তু গতকাল পর্যন্ত ওই গ্রুপে র মেম্বার লিস্টে নাম ব্যাবহার অব্যাহত রেখেছিল , এবং আমার ভাই/ বন্ধুদের কাছে প্রকাশ্যে মানে গ্রুপের ওয়াল থেকে টাকা না চেয়ে তাদের বেক্তিগত ইনবক্সে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে , এবং সবাই কে বলা হচ্ছে কোন প্রশ্ন থাকলে যেন গ্রুপের ওয়ালে না লিখে ইনবক্স এ বলে । আর আমার বেশ কিছু ভাই/বন্ধু গতকাল পর্যন্ত ১৫ ও ২০ হাজার টাকা কোরে একবারে পুরো মাসের যে খরচ পথশিশুদের নামে দেখান হচ্ছে তাই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে একাই পাঠাবেন মনস্থির করে ফেলেছিলে্ন কিন্তু ইতোমধ্যে ওই গ্রুপ থেকে চলে আসার কথা আমি সবাইকে বলতে পারিনি , কারন অখানে যতো সদস্য আছে তার প্রায় জনই কোন না কোন ভাবে সরাসরি আমার পরিচিত অথবা পরিচিতর বন্ধু /ভাই তাই এতো মানুষ কে আমার একার পক্ষে এবং আমার এতো ব্যাশ্ততার মধ্যে জানানো সম্ভব হচ্ছেনা ,তাই আজ অনেক সময় ব্যয় করে আপনাদের সব তথ্য জানানোর প্রয়োজন বোধ থেকে লিখছি , আপনি অবশ্যই সত্যিকারের অসহায় মানুষের সাহায্য কোরতে চাইলে , অবশ্যই আপনার আসে পাশে দেখে জেনে নিশ্চিত হয়ে করুন তা না হলে আমার মত টাকা, শ্রম এবং মূল্যবান সময় অই বাটপারদের জন্য নষ্ট হতে পারে । তবে আমি বিশেষ কারনে পাত্রের নাম উল্লেখ করলাম না , আর এই বাটপারির বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে , এবং জড়িত দের এই ধরনের শিশুদের নাম ব্যাবহার করে অর্থ জালিয়াতির সর্বচ্চ শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে ।

আমি সেই ভাই/বন্ধুদের কাছে করজোড়ে এই লেখার মাধ্যমে সবার সামনেই ক্ষমা চাচ্ছি যারা কেবল আমার উপর বিশ্বাস রেখে ঐ খারাপ মানুষগুলোর মুক্তিযুদ্ধেরচেতনা , দেশ প্রেম , পথশিশুদের সাহায্য নিয়ে মনোমুগ্ধকর কথায় সম্মোহনী যাদুতে ভুলে গিয়ে অই গ্রুপ এবং পেইজ এ সদস্য হয়েছেন এবং ইতোমধ্যে টাকা ও পাঠিয়েছেন । এখন আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ যারা ঐ ময়মনসিংহ জেলায় আছেন তারা ইনবক্সে নয় সরাসরি গ্রুপের ওয়ালে প্রশ্ন গুলো করুন , যেখানে এতিম খানায় শতাধিক সিট এখনো ফাঁকা পরে আছে , যেখানে বিভিন্ন দেশী/ বিদেশী NGO দ্বারা পরিচালিত স্কুলের জন্য সব বস্তির বাচ্চাদের অভাবে সরকারি প্রাইমারি স্কুল গুলোর সিট এই পর্যন্ত ফাকা পারে আছে , সেখানে এই সময় বাচ্চা কই পাবে ? কয়জন বাচ্চাকে ভাড়া আনবে ? কতো দিনের জন্য আনবে ? তার পর এত দিনে রেজিট্রেশন না করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না করার আগেই বিকাশের মাদ্ধমে টাকা নেওয়া ধরল ? সগঠনের নিয়ম অনুযায়ী কেন গ্রুপের সব কিছুই নিজের কুক্ষিগত করে রাখল ? সব জাগায় নিজের বেক্তিগত ঠিকানায় যোগাযোগের কথা বলা হচ্ছিল ? এবং আমি যখন টিভি ক্যামেরায় ভিডিও রেকর্ডের মাধ্যমে সংগঠনের রিয়েল পথশিশু সহ চক্রের সক্রিয় সদস্যদের মূল লক্ষ এবং উদ্দেশের কথা গুলো জানতে এবং সবাইকে জানানোর কথা বলে বক্তব্য দিতে বললাম তখন কেন তাতে রাজি হলনা ? কেন অই হোতা ক্যামেরার সামনে কথা বলল না ? এবং অন্যান্য যারা কথা বলতে চেয়েছিল তাদের থামিয়ে রাখল ? কেন গ্রুপের ওয়ালে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা বাচ্চাদের ছবি ব্যাবহার করা হচ্ছিলো ? পরিশেষে আমি আবারো আমার মানুষ চিনতে ভুল করার জন্য অই গ্রুপের সবার সহ বন্ধুদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী । এবং অন্যান্য সকল বন্ধুদের না জেনে বুঝে দানের মতো মহৎ উদ্দেশে নিজের অর্জিত অর্থ সব ধরণের অপকর্মকারীদের মিষ্টি কথায় ভুলে প্রতারিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ সহ সতর্ক করছি । ভালথাকুন , নিরাপদ থাকুন এবং দেশ থেকে সকল প্রকার দুর্নীতিবাজ দের প্রতিহত করুন এবং প্রকৃত দরিদ্র অসহায়ের সেবায় জেনে বুঝে যে যার সামর্থ্য মতো দান করুন , করুন কারণ আপনার দেয়া অর্থ একজন প্রকৃত দরিদ্রের জীবনে অনেক প্রয়োজন আর দেশ থেকে দারিদ্রতা দূরীকরণের কাজে সহায়তা করুন । ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।