জীবনের আলো - অনেকটা বদলে গেছে - হারিয়ে নিজেকে ...
পরকিয়া, ধর্ষন, হত্যা এই তিনটা জিনিস আজ আমাদের সমাজে পতন ঘটিয়েছে। কিন্তু কেন? আজ যেমন ভাবে ঘটনা গুলো ঘটছে আজ থেকে ২০ বছর আগেও তেমনি বা কিছুটা কম হলেও ঘটেছে তা ঠিক, বা ঘটলেও লোক সম্মুখে শোনা গেছে কম কারন সংবাদ পত্র বা টেলিমিডিয়ার দৌরাত্ব তখন ছিলনা, কিন্তু ঘটনা গুলোর ভয়াবহতা কিন্তু এখণ কার দিনের মত এতটা ছিলনা। লাখে দু একটা বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি। কিন্তু আজ আমাদের দেশে এমন একটা এলাকা পাওয়া যাবে না যে এলাকায় অন্তত একটা পরিবার হয় পরকিয়া, হত্যা বা ধর্ষন দারা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়নি। কেন এ সামাজিক অবক্ষয়।
একটা সমাজে যারা বাস করে তারা তো একে অপরের প্রতিবেশী। তাহলে তাদের মাঝেই কেন এই সামাজিক অবক্ষয়। কেন নিজেদের ভিতরেই নিজেদেরকে ক্ষতি করার প্রবনতা জন্মাবে।
অনেক দিন ধরেই সমাজ বিষয়ক চিন্তাবিদরা বলেছেন একটা দেশের জনসংস্কৃতিতে যখন বাইরের দেশের সভ্যতাকে কোন বাধ্যবাধকতা না রেখে রংতুলির রয়ের মত সাজিয়ে দেয়া হয় তখন সেই দেশটি তার অনেকদিনের রক্ষিত নিজেস্ব সকিয়তা হারিয়ে ফেলে। তখন দেখা যায় যে তথাকথিত তরুন সমাজ আবেগের জলে গা ভাষিয়ে সমকামিতা থেকে শুরু করে এমন সব অপরাধ করতে শুরু করে যে এ যেন তাদের সংস্কৃতির একটা অংশ।
তারা এও ভুলে যায় যে জাতী হিসেবে তাদের নিজেস্ব একটা স্বকিয়তা ছিল। অঙ্গে অণ্গে পালন করতে থাকে ভিনদেশী সভ্যতা। তখন নিজেস্ব সংস্কৃতি থেকে মুছে যায় নিজের আচার-আচরন এমনকি পোশকেও আসে ভিন্নতা। সবকিছুতেই নিজের নতুনত্ব যাহিরত্বের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আর এতে লাভবান্যিত হয় অপর দেশটি কারন সে তার নিজেস্ব স্বকিয়তাকে পার্শবর্তি দেশের অঙ্গে পরিনত করতে পেরেছে।
তাই তার জন্য অপেক্ষ্যা করছে একটা ব্যাবসা সফল ভবিষ্যত। পন্যের উৎপাদন বেশী হলেই হবে না - তার বিক্রির জন্য থাকতে হবে ক্রেতা আর নিজ দেশ সহ আরও কয়েকটি দেশের ক্রেতা পাওয়া গেলে লাভের খাতাটা একটু মোটা হওয়াটাই সাভাবিক। সেই লক্ষ্যে উৎপাদন বাড়িয়ে কর্মসংস্থ্যান সৃস্টি করে দেশের বেকার যুবকদের বড় একটা অংশকে কাজে লাগানো যায়। এতে করে দুটো জিনিসের প্রতি প্রত্যক্ষ্য প্রভাব বিস্তার করতে পারে দেশটি। এক-আধিপত্য বা আন্চলিক সমর্থন,
দুই - অপর দেশটির উপর রাজনৈতিক অস্থ্যিরতা বা স্থিতিশীলতা।
আমার এ লেখার মুল উদ্দশ্য হল আমাদের দেশে প্রেক্ষাপটে ভিনদেশী সভ্যতার অবাধ প্রচার কি ধরনের ভয়াবহতা নিয়ে আসতে পারে তার সম্পর্কে পর্যালোচনা। আমি বলছি না যে ভিন দেশি সভ্যতাকে একে বারে দুরে সরিয়ে দেওয়া হোক। আমার দাবী শধু মাত্র এর অবাধ প্রচারকে আরো একটু নিয়ন্ত্রিত করা হোক কারন তা না হলে আমাদের সামনে আরও ভয়াবহ ভবিষ্যত অপেক্ষ্যা করছে আমাদের আগত সন্তানদের জন্য।
নিচের লিংকটি দেখুন-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।