শনিবারও তিনি অনুশীলন করেছেন। রোববার দলের সঙ্গে সিটির ইতিহাদ স্টেডিয়ামেও এসেছিলেন। কিন্তু ম্যানচেস্টার ডার্বিতে তাঁর স্থান হলো প্লেয়ার্স বক্সে। ইউনাইটেডের লাল-কালো জার্সির বদলে গায়ে চাপালেন স্যুট, গলায় টাই। চুলে জেল মেখে বিষণ্ন বদনে তিনি দেখলেন নিজ দলের শোচনীয় পারফরম্যান্স, অভাবনীয় হার।
রবিন ফন পার্সির কথাই হচ্ছিল। ডাচ স্ট্রাইকারবিহীন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ছন্নছাড়া অবস্থা দেখে কাল মায়াই লাগছিল। প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে তাঁর অভাব একটা মুহূর্তের জন্য পূরণ করতে পারলেন না সতীর্থরা। ম্যাচ শেষে ইউনাইটেড কোচ ডেভিড ময়েসও স্বীকার করেছেন ফন পার্সির অভাবে মাঠে ভুগেছে ইউনাইটেডের সব কৌশল।
হল্যান্ড জাতীয় দলের এই স্ট্রাইকারের চোটের ধরন নিয়ে কিছুটা রহস্যও আছে।
শনিবার তাঁকে সবাই দলের সঙ্গে অনুশীলনে দেখেছে। কিন্তু রোববার দুপুরের মধ্যে এমন কী হলো যে তাঁকে রিজার্ভ বেঞ্চেও বসানো গেল না! তবে কি তাঁর আঘাত গুরুতর? এসব প্রশ্নের কোনো জবাব মেলেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছ থেকে। তবে কোচ ময়েসের দাবি, গ্রোয়েনে তাঁর চোট রয়েছে। এটা নাকি খুব গুরুতর নয়। শনিবার অনুশীলনে থাকলেও রোববার ম্যাচের আগে ফিটনেস পরীক্ষায় দেখা যায়, খেলার মতো পর্যায়ে নেই এই ডাচ স্ট্রাইকারের ফিটনেস।
রহস্যটা ডানা মেলেছে মূলত ফন পার্সি ডাগ আউটে না থাকায়। ময়েস বলেছেন, ‘ওসব কিছু নয়। মৌসুম মাত্র শুরু হয়েছে। দীর্ঘ মৌসুমে ওর গ্রোয়েনের সমস্যাটা যদি আরও গুরুতর রূপ নেয়! সেই ঝুঁকি এড়াতেই আমি সিটির বিপক্ষে ওকে খেলাইনি। সুস্থ হওয়ার সময় দিয়েছি।
আশা করছি বুধবার লিভারপুলের বিপক্ষে আরেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই ফন পার্সিকে প্রথম থেকে খেলানো যাবে। ’ সূত্র: রয়টার্স।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।