আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার প্রথম রথ দেখার অভিজ্ঞতা ও অসিমের জন্মদিনের শুভেছা

The only person u should try to be better than, is the person u were yesterday.

অসীম আমি জানি আমার কথা তোর মাথায় যখন আসে তখন কোন দৃশ্যটা তোর চোখের সামনে ভেসে উঠে... সেদিন কিন্তু গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়িতেছিল... সেই বৃষ্টির মধ্যে সাইকেলে চড়িয়া হেলিতে দুলিতে উপস্থিত হইয়াছিলাম তোর বাসার উঠনে। পাকা দুই ক্রোশ পথ সাইকেলে অতিক্রম করিয়া তোর বাসার ঠিকানা অর্জন করিতে সক্ষম হইইয়াছিলাম বটে, তবে সেই ‘দুই ক্রোশ পথ’ আমার নিকট কষ্টের চাইতে ‘টান টান উত্তেজনায়’ ভরপুর হইয়া উঠিয়াছিল। বৃষ্টির ছাঁটে তোর আবছা অবয়য় দেখা মাত্রই আমার উত্তেজনা তখন তুঙ্গে উঠিয়া মূসা ইব্রাহিমের ন্যায় ‘ভি’ চিহ্ন দেখাইতেছিল। আর আমার উত্তেজনা দেখিয়াই হোক অথবা তোর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই হোক, দেখা হইবার প্রাক্কালেই তুই আমার দিকে তাকাইইয়া ঠোট বাকা করিয়া বলিয়া ছিলে ‘হবে হবে...অপেক্ষা কর বতস্য...অপেক্ষাই জীবন, অপেক্ষাতেই সর্বসুখ নিহিত...’ আমিও তোর হাত দুটি ধরিয়া করুন মুখে বলিয়া ছিলাম, ‘সত্যিই হবে তো রে দোস্ত ?’ তুই তোর বাকানো ঠোটেই খ্যাঁক করিয়া হাসিয়া বলেছিস, ‘না হয় আমি আছি কিসের জন্যে রে গান্ডু, তোর ‘ধন’ সম্পদের দেখভালের দ্বায়িত্ব আমারও তো রইয়াছে, নাকি!’ তোর এরূপ আশ্বাস পাইয়া কপালের ঘাম ডান হাতের উপরপিঠ দিয়া মুছিয়া আমি তৎক্ষণাৎ বলিয়াছিলাম, ‘তাহলে দে এবার, বহুদূর থেকে এসেছি যে... দেরী হলে যে মা আবার আমার বকুনি দেবে নে...’ তুই তখন মুখটাকে একটু কঠিন করিয়া চিন্তিত ভঙ্গিতে বলিয়াছিল, ‘কালকে পাবি...স্কুলের পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে দিয়া দেহা করিছ...’ তোর এরূপ কথা শুনিয়া বলিয়াছিলাম অস্ফুট স্বরে, ‘আজ কি কোনো ভাবেই ম্যানেজ করা যায় না, বহু দূর থেকে এসেছি যে...’ তুই বললি, ‘আরে দোস্ত তুমারে তো আর খারাপ জিনিস দিবার পারি না, কাইল তোর লাইজ্ঞা স্পেশাল জিনিস আইন্নাম...অহন বাসাত যাইয়া পড়...’ বাসায় আসিয়া যে আমার আর ঘুম হয় না... এপিঠ-অপিঠ করিয়াই পার করিয়া দিয়েছিলাম সারাটি রাত... আর সে জন্যেই হয়তো পরীক্ষা শুরু হইবার আগমূহুর্তে স্কুলের ক্যান্টিনের সামনের দালানের দোতালায় দাড়িইয়া তুই আমার নিকট প্যাকেটখানি হস্তান্তর করলি যখন... আমার কাছে মনে হইতেছিল ‘এ জন্য এক অমূল্যধন’, এ যেন এক কবি সামসুর রহমানের ‘স্বাধিনতা তুমি’ কবিতার প্রথম দু’লাইন্‌, এ যেন স্বয়ং ‘স্বাধীনতার স্বারকলিপির প্রামাণ্য দলিল’... শীৎকার করিতে করিতে বলিতে ইচ্ছা করিতেছিল ‘থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখবো এবার জগতটাকে... থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখবো এবার জ...গ...ত...টাকে... আহঃ মার সোনার বাং...লা...’ .। .।

.। .। .। .। .।

.। .। .। .। .।

.। .। .। .। .।

.। .। .। .। .।

.। .। .। .। .।

.। .। .। .। .।

.। .। .। .। .।

আজ তোর জন্মদিন... তোকে দেওয়ার মতো আমার কাছে ৬০ জিবি জিনিস আছে। সেইরাম জিনিস... তবে সেগুলোর কোনোটাই আজ পর্যন্ত প্রথম রথের অভিজ্ঞতার ধারে কাছেও যেতে পারবে না। তারপরও যদি তোর প্রয়োজন হয় কখনো, তোর এই গরিব ভাইডারে একটা ডাক দিছ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।