আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিন 'স'-এ আটকে আছে দেশ

তিনটা 'স'-এর মধ্যে আমরা আটকে আছি। সংলাপ, সমঝোতা ও সংঘর্ষ। তবে দেশের ইতিহাসে সংলাপের মাধ্যমে সমাধান হয়েছে, এটা কখনো দেখিনি। তাই বলে হবে না, তাও নয়। অতীতে তখনই সমাধান হয়েছে যখন সরকারি দল একটা ফর্মুলা দিয়েছে।

আর বিরোধী দল মনে করেছে এখন নির্বাচনে যাওয়া যায়। সেই ফর্মুলাটা এখনো আসেনি। এখন যদি প্রথম দুই 'স' বাদ দিয়ে দেশ সংঘর্ষের দিকে যায় তাহলে ক্ষমতা রাজনীতিবিদদের হাতে নাও থাকতে পারে। রবিবার আরটিভির টকশো 'আওয়ার ডেমোক্রেসি'-তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এ কথা বলেন। জামিল আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া।

অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন, দুটো বড় দল একটি আরেকটির কাছ থেকে শিখছে। বিএনপি যদি সেই সময়ে বিচারপতিদের বয়সটা না বাড়াত তাহলে কে এম হাসানকে নিয়ে ঝামেলা হতো না। ওটা যেহেতু ঝামেলা হয়েছিল, এখন যারা ক্ষমতায় তারাও একই কাজ করছে। তবে ক্ষমতাসীনদের মনে রাখতে হবে তারা যেহেতু সেই সময় বিচারপতি কে এম হাসানকে মেনে নেয়নি, স্বাভাবিকভাবে এখন যারা বিরোধী দলে আছে তারাও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে মানবে না। তবে এখনো স্পষ্ট নয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকছেন কি থাকছেন না।

তবে এ প্রশ্নটাই বৃহৎ আকারে সামনে এসেছে যে প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন? তিনিই সব কিছু করার ক্ষমতা রাখেন। এখন আওয়ামী লীগ বলছে নির্বাচিত আর বিরোধী দল বলছে নির্দলীয়। এ দুটোকে এক করে ফেললেই হয়। নির্দলীয় একজন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করে আনলেই হয়। তাতে দুই পক্ষের কথাই থাকল।

যে ব্যক্তিকে দুই পক্ষই নিরপেক্ষ মনে করবে তাকে নির্বাচিত করে আনতে হবে। নির্বাচনটা হবে প্রতীকী অর্থে। তবে সেই জায়গায় যেতে এখন সংঘর্ষ দরকার হবে কি না জানি না। সব সময়ই দেখে আসছি সমাধানে সংঘর্ষের একটা ভূমিকা থাকে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের খুব বেশি দেরি নেই।

সেখানে নির্বাচন কমিশন থেকে বিভিন্ন সংস্থার কাঠামোয় পরিবর্তন আনা, পুলিশ থেকে শুরু করে নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করবেন সব স্থানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা দরকার। কিন্তু এটা সরকারি দলের এজেন্ডায় থাকে না। যারাই সরকারি দলে থাকে তারাই এ জায়গায় চলে যায়। আর সংঘর্ষটা যদি বেড়ে যায় তাহলে ক্ষমতা রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে যায়। এটা আমরা অতীতে দেখেছি।

আমি আশাবাদী একই ভুল রাজনীতিবিদরা করবেন না।

সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে ড. ইমতিয়াজ বলেন, ফর্মুলা কিন্তু অনেক এসেছে। বিভিন্ন সংগঠন দিয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তি দিয়েছেন। কিন্তু কিছুই ধোপে টেকেনি।

এটা আগেরবার বিএনপিও করেছিল। তখনো অনেক ফর্মুলা এসেছিল সিভিল সোসাইটি থেকে। বিএনপি মানেনি। এখন আওয়ামী লীগ মনে করছে এই সিভিল সোসাইটি অ্যান্টি আওয়ামী লীগ। গণতন্ত্রে অন্য দলকে সহ্য করতেই হবে।

তাকে হারাতে হলে রাজনৈতিকভাবে হারাতে হবে। কিন্তু রাজনীতিবিদরা তখনই গণতন্ত্রে যান যখন বিরোধী দলে থাকেন।

রুলিং পার্টি একবার ওই গদিতে বসলে সব হারিয়ে যায়।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।