সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাঝেমাঝেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়! অবশ্য কোন দিনটাই বা আপনার হাসি, মজা, আনন্দে মসৃণভাবে কাটে? কাল সকালে উঠে দেখলেন মেয়ের জ্বর এসেছে, আজকে হয়তো কাজের লোক না বলেই আসেনি। বলা যায় না, কাল হয়তো যানজটের কারণে অফিসের জরুরি মিটিংয়ে পৌঁছুতে দেরি হয়ে যাবে। বা সহকর্মীর সাথে কোনো এক বিষয় নিয়ে বিবাদ হবে। সকাল থেকে এ রকম ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেই চলে। আর আপনাকে দুই হাতেই এ সব সামলাতে হয়।
এত ঝামেলা সামলানো সত্যিই কঠিন। সব মিলিয়ে হয়তো আপনার মেজাজের একেবারে বারোটা বেজে যায়। এরপর ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফেরার পর সংসারের সুখ-দুঃখের মাঝে গা ভাসানো কঠিন হয়ে পড়ে। এমন সময় অস্থির মনকে বশে আনার জন্য মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে। কেননা এটা আপনি ভালোই জানেন, যতই মুড-অফ থাক, নিজের কাজগুলো নিজেকেই করতে হবে।
সেই জন্যে মুড-অফ রেখে কাজ না করে, আসুন মুড ভালো করার উপায় জেনে নিই।
সকাল বেলা ঘুম ভাঙতেই হুড়মুড়িয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। নিজের জন্য একটু সময় বের করে নিন। অন্তত ১৫ মিনিট সময় রাখুন নিজের জন্য। অল্পস্বল্প শরীরচর্চা, মেডিটেশন করলে শরীর ও মনে প্রশান্তি আসবে।
সমস্যার মোকাবেলা সহজে করতে পারবেন।
শরীরচর্চায় একেবারে অনীহা থাকলে টবের গাছে পানি দেওয়া বা পাখিকে খাওয়ানোর মতো টুকটাক কাজ করুন। মন হালকা থাকবে।
ঘরের কাজের সব দায়িত্ব নিজের হাতে নেবেন না। এতে অহেতুক চাপ বাড়বে, পাশাপাশি কাজও অনেক এলোমেলো হয়ে যাবে।
পরিবারের বাকি সদস্যদের মাঝে কাজগুলো ভাগ করে দিন। পুরুষরা অবশ্যই গৃহিণীর ওপর সব কাজের চাপ দেবেন না। আবার সব নিজেও করতে যাবেন না। পছন্দের কাজগুলো দুজন মিলে ভাগ করে নিন। আর গিন্নিরাও সব কাজ নিজে না করে চেষ্টা করুন স্বামীর সঙ্গে কিছু কাজ ভাগ করে নিতে।
নাস্তাটা আপনি তৈরি করতে ব্যস্ত থাকলে কর্তাকে বলুন ছেলেমেয়েদের স্কুলের জন্য তৈরি করে দিতে।
অফিস যাওয়ার আগে মুড খারাপ থাকলে একটু বেশি সাজগোজ করুন। সাধারণ ফরমাল পোশাক না পরে একটু রুচিসম্মত সুন্দর শাড়ি পরুন। সঙ্গে শখের জুয়েলারি এবং হালকা মেকআপ। নিজেকে ফিটফাট, সুন্দর লাগলে মেজাজের উন্নতি ঘটবেই।
ছেলের ক্ষেত্রেও তাই। মুডে পরিবর্তন আনতে আজ একটু কালারফুল একটা টাই পরে দেখুন। শু-টা হয়তো ২-৩ দিন কালি করা হয় না। আজ একটু কালি মাখিয়ে ঝকঝকে করে নিন। কচকচে ভাঁজ খোলা একটা শার্ট পরে রওনা দিন অফিসের দিকে।
দেখবেন মুহূর্তে আপনার কালি মাখা মুডটা কেমন ঝকমক করে ওঠে। অফিস থেকে যাত্রাপথে মেজাজ ঠাণ্ডা রাখতে পছন্দের কোনো গান শুনতে পারেন। সঙ্গে চেষ্টা করুন পানির বোতল রাখতে। এক চুমুক খাবার পানিও কিন্তু অনেক সময় তেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে মেজাজ ঠাণ্ডা করতেও সহায়ক হয়ে থাকে।
অফিসে কোনো কারণে মুড-অফ হলে সোজা বাড়ি না গিয়ে একটু শপিং করুন।
শপিং শেষে কোনো ফাস্টফুডে বসে কিছু খেয়ে বাড়ি ফিরুন। দেখবেন নিজের অজান্তেই মুড-অফ কোথায় পালিয়েছে!
আরও এমন সব ফিচার পড়তে ক্লিক করুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।