বহু মানুষ শহরের ফুটপাতে বস্তিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আর গ্রামের জীর্ণ শীর্ণ ঘরে জন্ম গহন করছে, সমস্ত জীবন এ যুগের কৃতদাস হয়ে শ্রম দিয়ে ধনীর সম্পদ বৃদ্ধি করছে। বিনিময়ে এ যুগের কৃতদাস পাচ্ছে ন্যুনতম সুযোগ সুবিধা বনচিত জীবন এবং মৃত্যু। ধনী মালিক শ্রেনীর লুটপাট অতি মুনাফা অভিজাত ভোগবিলাসী জীবন থেমে নেই। আমরা নতুন প্রজন্ম আমরা সবকিছু দেখছি এবং শিখছি মানুষ মানবাধিকার সভ্যতা মানে শুধু ধনীদের অভিজাত জীবন যাপন,আর গরীবের নিষ্ঠুরতম কষ্টকর অনিশ্চয়তায় জীবন। যে গরীব শ্রমিক গালিগালাজ অপমান অধিকারহীনতা বন্চনার পর ও সমস্ত শ্রম নিংড়ে মালিকের সম্পদ গড়ে নগদ সামান্য যা পায় তা দিয়ে কোন রকমে বেচে থাকা ! এবং সন্তান জন্ম দেয়া ! যাতে শ্রমিক সরবরাহ অব্যাহত থাকে, মালিকের কারখানা সচল থাকে।
কি চমৎকার মটিভেশন পাওয়ার ধনী মালিক শ্রেনীর,গরীব শ্রমিক নিজের কষ্ট ভুলে গর্বিত কন্ঠে আবেগিত হয়ে বউকে, বন্ধুকে বলে জানিস আমাদের মালিকের ছেলেমেয়েরা মাসে ১০/২০লাখ খরচ করে বিদেশে পড়ে,আমাদের ম্যাডাম যা সুন্দর, ম্যাডামের পার্লার খরচ,এ খরচ সে খরচ লাখ লাখ টাকা। ছোট বড় প্রত্যেক মালিক শ্রেনীর অংগিকার করা উচিত পুজায় প্রার্থনায় নামাযে যেমন মালিক শ্রমিক একই কাতারে দাড়িয়ে বসে নামায পুজা প্রার্থনা করে তেমনি একই মানের খাবার,একই মানের কাপড় একই মানের লেখাপড়া একই মানের ঘরে ভাগাভাগি করে থাকা। আমাদের ধনী মালিকেরা গরীবের সাথে একই কাতারে দাড়িয়ে বসে নামায পুজা প্রার্থনা করে তৃপ্ত অনুভব করেন বলেন কি চমৎকার বিধান। লুটপাট কমিয়ে ভোগ বিলাস কমিয়ে মালিক শ্রমিক একই মানের খাবার,একই মানের কাপড় একই মানের ঘরে ভাগাভাগি করে থাকতে সম্মত নন,শ্রমিকেরা মালিক শ্রেনীর মত তথাকথিত অভিজাত জীবন যাপনে অপচয়ে আগ্রহী নয়,শ্রমিকেরা চায় ধনী মালিক শ্রেনী লুটপাট কমিয়ে,অতি মুনাফা কমিয়ে ইন্ডিয়াসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে টাকা পাচার বন্ধ করে অন্যায় অপচয় কমিয়ে শ্রমিকের দাবী অনুযায়ী ন্যুনতম মজুরী কার্যকর করা। হে শিল্প মালিক আপনাদের কাছে সঞ্চিত গচ্ছিত যা ধন সম্পদ টাকা পয়সা আছে তা দিয়ে সকল দরিদ্রদের পাকা বাড়ীঘর,স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও আগামী ১০০ বছর মাসে ১০হাজার টাকা ভাতা দেওয়া যায় ! নিজেরা অঢেল সম্পদের মালিক হয়ে গরীবদের শান্তনা দিচ্ছেন দুনিয়াতে সম্পদ যার যত কম আখরাতে জবাবদিহিতা তার তত কম।
ধর্মকে ব্যবহার করে সম্পদ আড়াল করছেন আর সব্বোর্চ ভোগ করছেন। আপনারা যতদিন বেচে থাকছেন সব্বোর্চ আরাম আয়েশ বাদশাহী রাজপ্রাসাদ,লাগামহীন ভোগবিলাসী জীবন,মেয়ের হাত খরচ মাসে ১০লক্ষ টাকা,বিদেশ ট্যুর লক্ষ লক্ষ টাকা,নাইট ক্লাব ও বেশ্যার খরচ লক্ষ লক্ষ টাকা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত । তারপর ঔরসজাত সন্তানদের জন্য রেখে যাচ্ছেন পাহাড় পরিমান সম্পদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।