আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুই বিচারককে বিরত রাখতে সাঈদীর আবেদন খারিজ

প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়।  
বিচারপতি এস কে সিনহা ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে আপিল বিভাগে কাদের মোল্লার মামলার শুনানি থেকে বিরত রাখার জন্য সাঈদীর পক্ষে গত বুধবার এই আবেদন করা হয়।
এর আগে কাদের মোল্লার মামলাতেও একই ধরণের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
সে সময় বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে কথিত স্কাইপ কথোপথনে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। আর বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিষয়ে আবেদনে বলা হয়, গত বছর তিনি লন্ডনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির একটি সভায় যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চেয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।


সাঈদীর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই আবেদনেও একই ধরণের যুক্তি দেখিয়ে দুই বিচারককে বিরত রাখার আবেদন তারা করেছিলেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের নায়েবে আমির সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে ২০টি অভিযোগের মধ্যে ইব্রাহিম কুট্টি ও বিসাবালীকে হত্যা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে আগুন দেয়ার দুটি অভিযোগে তাকে ওই দণ্ড দেয়া হয়।
আরো ছয়টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে আদালতে প্রমাণিত হলেও অন্য অভিযোগে ফাঁসির আদেশ যাওয়ায় সেগুলোতে কোনো দণ্ড দেয়নি আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ মার্চ আপিল করেন সাঈদী।


অন্যদিকে ওই ছয় অভিযোগে তার শাস্তি চেয়ে আপিল করে প্রসিকিউশন। এছাড়া ট্রাইব্যুনাল যে ১২টি অভিযোগ থেকে সাঈদীকে খালাস দিয়েছে, সেগুলোতেও আপিলে ‘পূর্ণ ন্যায়বিচার’ চাওয়া হয়।
প্রথমদিকে এই বেঞ্চে বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়াসহ মোট ছয় বিচারপতি ছিলেন। তিনি অবসরে যাওয়ার পর বর্তমানে পাঁচ বিচারপতি রয়েছেন। সাঈদীর আপিল শুনানিতে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের পরিবর্তে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই বেঞ্চে আসেন।


২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে বহু প্রতীক্ষিত এই বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর তৃতীয় রায়ে সাঈদীর ফাঁসির রায় আসে। ওই রায়ের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা সহিংস বিক্ষোভ দেখায়। সরকারি হিসেবে এতে পুলিশসহ নিহত হন ৭০ জনেরও বেশি মানুষ।
একাত্তরে হত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আপিল বিভাগ।

যুদ্ধাপরাধের মামলাগুলোর মধ্যে এ মামলারই প্রথম চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হলো।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।