লড়াই করে জিততে চাই
(প্রথম পর্ব পড়লে দ্বিতীয় পর্বটা বুঝতে সুবিধা হবে)
১ম পর্ব
(দুই)
হঠাত মনে পড়ে গেলো সজলের! রুবেলকে তো বলাই হয়নি কথাটা! শুনেছেন রুবেল ভাই?
রুবেল মুখ ফেরালো! কি? ভাই?
আপনাদের সরোয়ার ভাইরে গতকাল নাকি কাশিমপুর নিয়ে এসেছে?
রুবেল অনেকটা উদ্বিগ্ন হয়ে গেলো! সরোয়ার ভাইরে? আগেই জানতাম! বিম্পি ক্ষমতায় আইসেই সরোয়ার ভাইয়ের উপর প্রতিশোধ নিবো! এতদিন সময় দিছে এইটাইতো বেশি! কি? খুনের মামলা নিশ্চয়ই?
না? উত্তর দিলো সজল। ওনারেও ৫৭ ধারায় ১৪ বছর!
বলেন কি? আরে উনি তো কম্পিউটারই চালাইতে জানেন না! মোবাইলও ঠিকমতো চালাইতে পারেন না! ওহনও নাম সেভ করতে পারেন না মোবাইলে! হ্যারে ৫৭ ধারায় দিবো ক্যামনে? না, না! আপনি ভুল শুনছেন!
আমি ঠিকই শুনেছি রুবেল ভাই! সহজ ভঙ্গীতেই জবাব দিলো সজল। আদালতের রায়ে নাকি বলা হইছে সরোয়ার হোসেন তার ছেলেরে ফেসবুকের একটা ছবিতে লাইক দিতে কইছিলো! ওই ছবিটা নবীজীর বিরুদ্ধে ছিলো! এতেই বাবুনাগরীর ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগছে।
কন কি? রুবেলের কন্ঠস্বরে অনেকটা ভীতি ছড়িয়ে পড়লো! আর ওনার ছেলে? যে কি না ওই ছবিটায় লাইক দিছে? তারও কি চৌদ্দ বছর হইছে না কি?
আপনি বুঝছেন না কেন রুবেল ভাই? টার্গেট ছিলো সরোয়ার ভাই? আর আপনাদের নেত্রী অস্ত্রটাও দিয়েছে খাসা? তাই ৫৭ ধারায়ই সরোয়ার ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে। খুবই সোজা কাজ।
ওনার ছেলে হয়তো এগুলো জানেও না।
এগুলো কি হইতাছে? ও সবুজ ভাই, আপনিই কন? আপনাদের নেত্রী কি রাজনীতির বদলে এখন শুধু প্রতিশোধই নিতাছে?
সবুজ একটু অন্যমনস্ক ছিলো! রুবেলের কথায় নড়েচড়ে বসলো। বললো, শুনেন! নেত্রীর দোষ দিয়ে লাভ নাই! নেত্রীর কাছে এতকিছুর খবরই পৌঁছায় না! এগুলো মুলতো নেত্রীর চারপাশের ধান্ধাবাজরাই করে! এই যে দেখেন? আমারেও জেলে ঢুকাইছে! যে দলের জন্যে জান বাজী রাইখা কাজ করছি! আমার সেই বিএনপি এখন ক্ষমতায়! আর আমি জেলে! তাও ১৪ বছরের সাজা। আমি জানি নেত্রী কেন, আমাগো মন্ত্রীর কাছেও এ খবর পৌঁছায় নাই। প্রয়োজন ফুরালে কে কার খবর রাখে বলুন? আফসোস! কেউ কখনও একবার খোঁজও নেয় না! একবার দেখতেও আসে না!
রুবেলও বেশ হতাশার সুরেই বললো, হ্য! এখন সবই সম্ভব! ঐ তো! পিয়াল ভাইরে থানায় নিয়ে পিস্তল ঠ্যাকাইয়া ধমক দিয়া কইছিলো, ফেসবুক ওপেন কর! ফেসবুক ওপেনের পর তার ফেসবুকেই একটা স্ট্যাটাস কপি কইরা পোষ্ট দিয়ে দিলো।
এসআইয়ের সাথে বিম্পির তিনজন ক্যাডারও নাকি আছিলো! তাই পিয়াল ভাই সাংবাদিক হইয়াও রা শব্দ করতে পারে নাই। তার কেসে স্ট্যাটাস পোস্টের দুই ঘন্টা পরে গ্রেফতার দেখানো হইছে। আর ওই স্ট্যাটাসে নবীজীরে গালি দেয়া হইছিলো। তাই সহজেই ৫৭ ধারায় চৌদ্দ বছর! কাহিনী পিয়াল ভাইয়ের নিজের মুখ থেকেই শোনা! এখন তারে শুনছি ঐ দক্ষিণ দিকে যে নতুন জেলখানা বানাইছে ওইখানে লইয়া গ্যাছে।
সবুজের মেজাজ ইতিমধ্যে বেশ শান্ত হয়ে গিয়েছে।
সে রুবেলের হাত ধরেই বললো, রুবেল ভাই! এত হতাশ হয়ে লাভ নাই! তার চেয়ে জেলখানায় থেকে কিছু রাজনীতি শিখি! সজল ভাই! ধরেন আপনিই আমাগো রাজনৈতিক গুরু। আপনি আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দ্যান? বেশি কড়া কইরা কইয়েন না! তাইলে আবার মাথাডা গরম হইবার পারে!
সজল সহজাত হাসি দিয়েই বললো, আচ্ছা বলেন!
আমার প্রথম প্রশ্ন হলো, আওয়ামী লীগ এত গলাবাজী করলো যে তারা ব্লাসফেমী আইন চায়না। কিন্তু তারপরও কেন তথ্য প্রযুক্তি আইনের নামে সেই ডিজিটাল ব্লাসফেমী আইন করলো? বিশেষ করে ৫৭ ধারা! যেটা হাসিনাধারা নামে পরিচিত! পাগলেও তো নিজের ভালো বোঝে? কিন্তু শেখ হাসিনা ক্যান বুঝলো না?? বিএনপি সব সময়েই জামাত-হেফাজতের সাথে এত মিল দিয়ে চলে কিন্তু তারপরও তো কখনো ব্লাসফেমী আইন করে নাই।
সজলের মুখ একটু গম্ভীর হয়ে গেলো! বললো, আমার কথা শুনেই ফাল পাইড়েন না! একটু হজম করার চেষ্টা কইরেন! রুবেলের দিকে মুখ ফিরাইয়া বললো, রুবেল ভাই! আপনিও! প্রশ্ন করবেন কোন সমস্যা নাই! কিন্তু উত্তর শুনে মেজাজ গরম করবেন না! অনুরোধ!
দুইজনই মৌন থেকে সম্মতি দিলো। সজল নিজের মতো করেই বলতে শুরু করলো।
শোনা যায় শেখ হাসিনাও ব্লাসফেমী আইন করতে চান নি! কিন্তু হেফাজত ছাফ জানিয়ে দেয়, ব্লাসফেমী না করলে তারা নৌকার বিরুদ্ধেই ভোট দিবে। হেফাজত তখনও খেলাফত মজলিসের রিক্সা প্রতীক নিয়ে জামায়াতের সাথে নির্বাচনের ঘোষণা দেয় নি। তাই তখন ভোটের হিসাব ছিলো সম্পূর্ণ অন্যরকম। আওয়ামী লীগ অনেক হিসাব নিকাশ করে বুঝতে পারে যে, হেফাজত নৌকার বিরুদ্ধে গেলে ক্ষমতায় ফিরে আসা সম্ভব নয়! সেটা আওয়ামী লীগকে আবার আওয়ামী মুসলীম লীগ ঘোষণা দিলেও? কারণ হেফাজত নৌকায় না আসলে নিশ্চিত বিএনপিতে যাবে। আর বিএনপি বিপুল ভোটে জিতবে।
ভোটকেটে জেতার দিনও এখন আর নাই। তাই শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা রাজি হয়ে যায়! শোনা যায় একটা গোপন চুক্তিও হয়েছিলো হেফাজতের সাথে। যেমনটা ২০০৭ সালে শাইখুল হাদিসের খেলাফত মজলিসের সাথে ভোট সামনে রেখে গোপন চুক্তি করেছিলো আওয়ামী লীগ। অনেক আলোচনা-পর্যালোচনা করে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নেয় তথ্য প্রযুক্তি আইন সংশোধনের নামে সেখানে হেফাজতের চাহিদা মতো একটা ধারা যোগ করে দেবে! সেই ধারাটাই ৫৭ ধারা! আওয়ামী লীগকে এতো নির্বোধ ভাবার কোন কারণ নেই। তারা ঠিকই জানতো যে ৫৭ ধারার নামে ব্লাসফেমী আইন এটা সংবিধান পরিপন্থী! তারা এও জানতো যে ৫৭ ধারা বাক স্বাধীনতা বিরোধী, ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী, মানবাধিকার বিরোধী এবং পুরোপুরি অগণতান্ত্রিক! এটা আওয়ামী লীগের দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধীও বটে! কিন্তু তারপরও আবার ক্ষমতায় আসার জন্য জেনেশুনেই বিষ পান করলো তারা! এখন সেই বিষে মরছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
সাথে মরছে মুক্তমনা, প্রগতিশীল বামপন্থীরা। ফেসবুকার, ব্লগাররা! বিএনপিও হাসিনার ব্লাসফেমী আইনের ফান্দে ফেলে ছাত্রদল-যুবদল-শ্রমিকদলসহ বিএনপির কিছু বেয়াড়া কর্মীদের শায়েস্তা করছে! সে কারণেই সবুজ এখন কাশিমপুরে।
রুবেল এবং সবুজ দু’জনেরই চোখ জ্বল জ্বল করে উঠলো! আরো অনেক কিছু জানতে চায় তারা! দু’জনই বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছে এবং রাজনৈতিক মারপ্যাচ বোঝার চেষ্টা করছে!
রুবেল বললো, এইজন্যই তো আওয়ামী লীগের সরকারে একটার পর একটা মন্ত্রী হয় সাবেক বামপন্থিরা! আর সবুজও বলে উঠলো, বিএনপিও বামেদের জামাই আদরে বড় বড় পোষ্ট দিয়ে দলে নেয়, মন্ত্রী-এমপি বানায়!
রুবেল বললো, আচ্ছা সজল ভাই এইবার আমার একখান প্রশ্ন! আমারে একটু বুঝান দেহি, আমলীগ তো মেলা ভাল কাজ করছে! কিন্তু তার পরেও পাবলিকে ভোট দেয় নাই ক্যান? বুঝলাম ৫৭ ধারাটা বানানো ঠিক হয়নাই! কিন্তু অন্যদিকে? আপনি বিদ্যুতের দিকে দেহেন! জিডিপি দেহেন! খাদ্য মজুত দেহেন! শুধু ৫৭ ধারায়ই ভোট সব শ্যাস হয়ে গেলো?
সজল আবার মুখ খুললো! বরাবরের মতো এবারও তার সেই শান্ত এবং হাসিমাখা মুখ। না! শুধু ৫৭ ধারা না! তবে ৫৭ ধারা এবং এর সাথে জড়িত অন্যান্য আকাম আওয়ামী লীগকে ডুবাতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আপনি একটা ব্যাপার বোঝেন রুবেল ভাই! আওয়ামলীগ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার শ্লোগান নিয়ে ক্ষমতায় আসলো এবং শেষপর্যন্ত সেই ডিজিটাল ব্লাসফেমীতেই ধরাটা খাইলো! প্রতিটা গ্রামের অন্তত এককুড়ি ছেলে-মেয়ের ফেসবুক এ্যাকাউন্ট আছে এখন! প্রতিদিন না হলেও গড়ে অন্তত সপ্তাহে একদিন তারা স্ট্যাটাসের খবর নিচ্ছে।
লাইক-কমেন্টস মারছে! রাজনীতি তাদের সামনে অনেক বেশি পরিষ্কার! এই ফেসবুক প্রজন্মের একটা বড় অংশ আবার ভোটার হয়নি এখনও। কিন্তু তা হলে কি হবে! নিজের পরিবারের ভোটারদের প্রভাবিত করার মতো যথেষ্ট ঘিলু তাদের মাথায় আছে। আওয়ামী লীগ যদি শুধু এই ফেসবুক প্রজন্মকে কাছে টেনে নিতো! যদি শুরু থেকেই প্রগতিশীল মুক্তমনাদের পক্ষে থেকে হেফাজতের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট এ্যাকশানে যেতো! কওমী মাদ্রাসাগুলোরে শুধু যদি শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন করে আধুনিক শিক্ষার প্রচলন করে দিতো! তা হলেই হেফাজতের লাফালাফি বন্ধ হয়ে যেতো! কিন্তু তা না! আওয়ামী লীগ নিজেরে জামাতের চেয়েও সহি ইসলামীক দল হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলো! মৌলবাদী ভোটারদের মন জয় করতে চেয়েছিলো! আর সমস্যাটার শুরু মূলত ওখান থেকেই! আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভুলটা করলো আবারও জামায়াতের সাথে সমঝোতা করতে গিয়ে। ৯৬ সালের সেই আওয়ামী লীগ-জামায়াতের ঐক্যের কথা মানুষ তো এখনও ভোলে নাই! তাই যখনই দেখা গেলো জামায়াত-শিবিরকে হঠাত করে সমাবেশের পারমিশন দেয়া শুরু হয়েছে! শিবিরের ভাঙচুর, হত্যা, জ্বালাও-পোড়াও পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করছে! ফাঁসির জায়গায় জেল দেয়া হচ্ছে, তখন তো মানুষের দু’য়ে দু’য়ে চার মিলাতে কষ্ট হয় নি! আবার রাজাকারদের বিচার ক-র-তে ক-র-তে একেবারে এমন সময়ে নিয়ে আসলো যে শাস্তি কার্যকর করারও সময় থাকলো না! এর মধ্যে আবার হেফাজতের তের দফা বাস্তবায়নে মুক্তমনা ব্লগার-ফেসবুকারদের উপর শুরু হয়ে গেলো পুলিশী হয়রানী। লক্ষ লক্ষ ফেসবুকার, অনলাইন এক্টিভিস্টদের আস্তা হারাতে শুরু করলো আওয়ামী লীগ।
আর যখন ৫৭ ধারা জনগণের সামনে হাজির করলো, তখন তো অনলাইন এক্টিভিস্টরা নিশ্চিত হয়ে গেলো যে, আওয়ামী লীগ অন্তত ফেসবুকারদের পক্ষের কোন সরকার নয়! লক্ষ লক্ষ ফেসবুকার, ব্লগার মন খারাপ করে স্ট্যাটাস দেয়া বন্ধ করে দিলো! অনেকে আবার ফেক আইডি খুলে কাজ শুরু করলো! কিন্তু আওয়ামী লীগের ভোটের তো বারটা বেজে গেলো! এমনও খবর আছে, গোড়া আওয়ামী লীগারের ফেসবুকার ছেলেও নৌকায় ভোট দেয় নি!
আবার দেখেন, পদ্মা সেতু নিয়ে আওয়ামী লীগ এমন প্রচারণা চালালো যে, পাবলিকের আকাংখা একেবারে তালগাছের মাথায় উঠায়া দিলো! এমন মনে হলো যে, পদ্মা সেতু না হলে জীবনই বৃথা! অনেক মন্ত্রী তো সদম্ভে ঘোষণাই দিলেন যে, পদ্মা সেতু না করতে পারলে জনগণ নৌকায়ই ভোট দিবে না! তারপর কি হলো? সীমাহীন ব্যর্থতা! জনগণের আকাংখা এখনও সেখানেই আছে এবং আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতুর পরিবর্তে এমন কিছুও করতে পারেনি যা দিয়ে সে পাবলিক সেন্টিমেন্ট রিকভার করতে পারে! তিস্তা চুক্তি, সিটমহল বিনিময় কিছুই হয়নি!
আবার বিদ্যুতের ফুটানি দেখেন! রেন্টাল-কুইক রেন্টালেন নামে পাবলিকের টাকা, বিদেশী লোনের টাকা হরিলুট হলো! আওয়ামী লীগের নেতা-পাতিনেতারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলো! তখনও কিন্তু ভোটের বাক্সে হাত পড়েনি। ভোট কমতে শুরু করেছে যখন বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় দ্বিগুন, তিনগুন, চারগুন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গ্রামের যে কৃষক মাসে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা বিদ্যুত বিল দিয়েছে বছরের পর বছর! সে আওয়ামী লীগের বিদ্যুত ফুটানিতে পড়ে মাসে ৫/৬শ টাকা গুনছে! ঐ কৃষক বিদ্যুতের মোহে আবার নৌকায় ভোট দিবে এটা বলদের চিন্তা ছাড়া কিছুই না! গরীব মানুষের পকেটের টাকা যে আওয়ামী লীগার রেন্টাল-কুইক রেন্টালের মালিকদের পকেটে ঢুকছে পাবলিক তা ভালই বুঝতো!
রামপাল বিদ্যুত প্লান্টের ব্যাপারে অবশ্য বামপন্থীদের সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন আওয়ামী লীগের ভোট কমাতে পারে নি। কিন্তু হেফাজত-জামায়াত যখন ভোটের আগে রামপাল বিদ্যুত প্লান্টের বিনিয়োগ ও লভ্যাংশের ভাগ নিয়ে ইস্যু বানালো তখনই নৌকার ভোট কমতে শুরু করে। ভারত মাত্র ১৫% বিনিয়োগ করে ৫০% মুনাফা নিয়ে যাবে! ভোটারদের কাছে আওয়ামী লীগের গণবিরোধী এবং ভারততোষণ এই চুক্তিকে একটা বড় ইস্যূ হিসাবে সামনে নিয়ে আসতে সমর্থ হয় হেফাজত জামায়াত!
অথচ আওয়ামী লীগ বিদ্যুতের উৎপাদনের কেরামতি নিয়ে ফালাফালি কম করে নাই! আর কৃষকরা এত কষ্ট করে ফসল ফলায়, পরিবারকে বাঁচায়, দেশকে বাঁচায়! এখানে তো রাষ্ট্রের কোন রকম কেরামতি নেই! রাষ্ট্রীয় সহায়তা তো সব পায় ঐ লুটপাটকারী শিল্পমালিক শ্রেণী আর লুটেরা ব্যবসায়ীক শ্রেণী।
তারপরও কেন কৃষকের উতপাদনের উপর নিজেদের মিথ্যা কেরামতি দেখিয়ে পাবলিকের ভোট কাটতে চায় আওয়ামী লীগ।
এরপর টেন্ডারবাজী, বিশ্বজিত হত্যা, রামুতে বৌদ্ধ মন্দির ভাঙা, হলমার্কের নামে ব্যাংক লুট... আরো.. আরো কতো কি? সব মিলায়ে আওয়ামী লীগের ভোটে টান পড়েছে! তবে হ্যা মূল কারণ কিন্তু ৫৭ ধারা! ৫৭ ধারা না হলে ভোটের অনেক হিসাবই বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো!
(চলবে....)
আগামী কাল তৃতীয় পর্ব পাওয়া যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।