মাত্র ৬৭ রানেই শেষ মোহামেডানের ইনিংস। ঘটনাটা আজ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে রেকর্ড সংরক্ষণের খুব ভালো ব্যবস্থা না থাকায় এটি মোহামেডানের সর্বনিম্ন ইনিংস কি না, সেটা হয়তো খুব জোর দিয়ে বলে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বাংলাদেশের সুদীর্ঘ ঐতিহ্যবাহী এই দলের সমর্থকেরা যে প্রিমিয়ার লিগে তাঁদের প্রিয় দলকে খুব বেশি এমন অসহায় অবস্থায় দেখেননি, এ কথা বলে দেওয়াই যায়।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে শেখ জামাল স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ৩০৬ রান।
বোঝা যাচ্ছে, উইকেটে তেমন কোনো জুজু ছিল না। কিন্তু জবাবে মোহামেডানের ইনিংস থেমে যায় ৬৭ রানেই। আবাহনীর বিপক্ষে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শামসুর রহমানের ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ২২ রান না এলে লজ্জার মাত্রাটা আরও বড় হতে পারত।
শেখ জামালের পক্ষে অপরাজিত ৯৩ রান আসে আফগান ব্যাটসম্যান গুলবাদিন নাইবের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিম করেন ৫০ রান।
দিলশান মুনাবীরা ৫১ এবং জুনায়েদ সিদ্দিকের ৪৭ রান শেখ জামালকে নিয়ে যায় বিশাল সংগ্রহের দিকে।
মোহামেডানের পক্ষে অজন্তা মেন্ডিস ৫০ রানে ৩ উইকেট নেন।
জবাবে মোহামেডানের ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ২২.৪ ওভারেই। শামসুর রহমানের ২২ রানের পাশাপাশি লঙ্কান গুনারত্নের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান। দেলোয়ার হোসেন করেন ১২ রান।
মোহামেডানের ইনিংসে ধস নামিয়েছেন জিম্বাবুইয়ান এলটন চিগুম্বুরা। ২.৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে চিগুম্বুরা মোহামেডানের কপালে এঁকে দিয়েছেন ২৩৯ রানে হেরে যাওয়ার লজ্জা-তিলক।
এদিন অবশ্য হেরেছে মোহামেডানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীও। কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির কাছে তাদের হারটাও আট উইকেটের বড় ব্যবধানে। একই ব্যবধানে খেলাঘরকে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।