চুলের নতুন স্টাইল বেশি কাজে দিল, নাকি রাঁচিতে তাঁর ঘরের মাঠ—বলা কঠিন। তবে আগের ম্যাচে রাঁচির দর্শকদের যে হতাশা উপহার দিয়েছিলেন, মহেন্দ্র সিং ধোনি কাল এর পুরোটাই সুদে-আসলে পুষিয়ে দিলেন। ধোনির ব্যাটে ঝড় নতুন কিছু নয়। তবে এমন ১৪ নম্বর মহা বিপত্সংকেত বাজিয়ে দেওয়া টর্নেডো আগে দেখা যায়নি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলারদের নাকের জল-চোখের জল এক করে ছেড়েছেন ধোনি।
মাত্র ১৬ বলে করেছেন ফিফটি। চ্যাম্পিয়নস লিগ তো বটেই, আইপিএলও হিসাবে নিলে এটি দ্রুততম ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ১৯ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক। এর মধ্যে এক ওভারেই মেরেছেন পাঁচ ছক্কা।
বোলারদের জন্যই কঠিন এক রাতে ২০২ রান করেও অবশ্য ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত মাত্র ১২ রানে জিতেছে চেন্নাই।
৫৭ বলে ৮৪ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সুরেশ রায়না। তবে ম্যাচের আসল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে আসলে ধোনির ইনিংসটাই। ১৫তম ওভারের প্রথম বলে ধোনি মাঠে নামার সময় চেন্নাইয়ের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১১৫। শেষ ৩৫ বলে চেন্নাই করেছে ৮৭ রান, এতে ধোনিরই জোগান ৬৩। রায়নার সঙ্গে তাঁর জুটিটা ওভারে রান তুলেছে ১৪.৪০ করে! ৬০ রানের সেই জুটিতে ধোনিই করেছেন ৪৩।
ডোয়াইন ব্রাভোর সঙ্গে ১০ বলের জুটিটায় রান এসেছে ২৭! এখানেও ধোনির জোগান ২০ রান।
১৭ ওভার শেষে ধোনির নামের পাশে ছিল ১১ রান। এক ওভার পরেই তাঁর নামের পাশে রান ৪৩! বোঝাই যাচ্ছে ১৮তম ওভারটিতে কী ঝড়টাই না গেছে থিসারা পেরেরার ওপর দিয়ে। এই এক ওভারেই শ্রীলঙ্কান পেসার দিয়েছেন ৩৪ রান। দুটো ওয়াইড থেকে।
বাকি ৩২ তুলেছেন ধোনি। মেরেছেন পাঁচটি ছক্কা!
১৬ বলে ফিফটি পূর্ণ করার সময় ধোনির নামের পাশে ছিল ৬টি ছক্কা ও একটি চার। চার ছক্কা থেকেই এসেছে ৪০! শেষ ওভারে আরও দুটো ছয় মেরেছেন ধোনি। সব মিলিয়ে আট ছক্কা, চার ওই একটিই। ছক্কাই যখন সুলভ, চার মেরে আর কী হবে!
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।