ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে গতকাল শুক্রবার ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ১৯৭৯ সালের পর ইরানের কোনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম সরাসরি আলোচনা।
বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিজেই রুহানির সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওবামা-রুহানির ফোনালাপকে ঐতিহাসিক হিসেবে অভিহিত করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পর তেহরানের উদ্দেশে নিউইয়র্ক ছাড়ার আগে ওবামার সঙ্গে ফোনে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন রুহানি।
তাঁর এই আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াইট হাইস দ্রুত দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপের ব্যবস্থা করে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান।
দুই নেতার মধ্যে ১৫ মিনিট ধরে আলোচনা হয়েছে। তাদের আলোচনাকে আন্তরিক বলে আখ্যায়িত করেছে হোয়াইট হাউস।
হোয়াইট হাউসে ওবামা বলেন, রুহানির সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে দুই দেশ একটি পূর্ণাঙ্গ সমাধানে পৌঁছতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও জানান, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছতে নিজ নিজ দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি ও রুহানি।
নিজের টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় রুহানি জানিয়েছেন, আলোচনা শেষে তিনি ওবামাকে বলেছেন, ‘আপনার দিন শুভ হোক’। আর এর জবাবে ওবামা তাঁকে বলেছেন, ‘ধন্যবাদ, খোদা হাফেজ’।
গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে রুহানি বলেন, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এবং ফলপ্রসূ’ সংলাপের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাত্কারে রুহানি বলেন, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে চান তিনি।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।