আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই সহিংস শক্তিকে নিষিদ্ধ করতেই হবে

সুলতানা কামালের জন্ম ঢাকায়, ১৯৫০ সালে। ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ১৯৭৮ সালে। ১৯৮১ সালে হল্যান্ডে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনার পর কিছু সময় শিক্ষকতা ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনে আইনি পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। তারপর স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকারকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন।

২০০৬ সালে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে এক মাসের কিছু বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর পদত্যাগ করেন। বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
 সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মশিউল আলম

প্রথম আলো  ‘বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও’ স্লোগানে আপনারা একটা আন্দোলন শুরু করেছেন। আপনাদের এই আন্দোলনের লক্ষ্য কী?
সুলতানা কামাল  আমরা যাঁরা এই আন্দোলন শুরু করেছি, তাঁরা সবাই একমত হয়েছি যে বাংলাদেশকে আমরা দেখতে চাই একটি অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ; মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ ও সহিংসতা থেকে মুক্ত গণতান্ত্রিক, মানবাধিকারবোধ-সম্পন্ন একটি দেশ হিসেবে।

এ জন্য আমরা সেই ১৯৫২ সাল থেকে আন্দোলন করে এসেছি, যেটার চূড়ান্ত রূপ আমরা দিয়েছি এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু করার অনেক আগে থেকেই আমাদের মনের মধ্যে কিন্তু বাংলাদেশের একটা রূপরেখা ছিল। সেই রূপরেখায় ব্যত্যয়হীনভাবে সব সময় এই প্রত্যয় রয়ে গেছে যে বাংলাদেশ হবে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গনির্বিশেষে সব মানুষের বাসস্থান। একই সঙ্গে সেই রূপরেখায় আমরা ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। এবং আমরা বলেছি যে এই দেশে এমন একটি শাসনব্যবস্থা থাকবে, যেখানে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এই দেশ পরিচালনা করবেন, সেখানে সামরিকতন্ত্রের কোনো সুযোগ থাকবে না।


প্রথম আলো  এসব বিষয় আমাদের জানা আছে, এগুলো নতুন নয়। কিন্তু আপনাদের এই আন্দোলনটা নতুন; আপনারা এ মুহূর্তে এটা শুরু করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করলেন কেন?
সুলতানা কামাল  আমাদের এই আন্দোলন সম্প্রতি শুরু হলেও এর ভিত্তি বা পটভূমি মুক্তিযুদ্ধেরও আগের। ছয় দফা, এগারো দফাসহ যে রাজনৈতিক ইশতেহারগুলো ছিল, সেসবের মধ্যে আমাদের এই কথাগুলোর প্রতিফলন ছিল। সেসব স্বপ্ন ও দাবিদাওয়ার ভিত্তিতে সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের মধ্য দিয়েও আমাদের এই বিশ্বাস দৃঢ়তর হয় যে দেশের মানুষ এ রকম একটা বাংলাদেশ চেয়েছে। এমনকি সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ পাওয়ার জন্য মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করেছে।


প্রথম আলো  মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা তো একটা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি এবং তারপর চার দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এখন কেন আপনাদের আবার মুক্তিযুদ্ধেরও আগের সময়ের স্বপ্ন-আদর্শের জন্য আন্দোলন শুরু করতে হচ্ছে?
সুলতানা কামাল  আমার বিবেচনায়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কখনোই একটা ভৌগোলিক দখলদারত্বের বিষয় ছিল না। আমরা ভূখণ্ডগত স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিরও স্বপ্ন দেখেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণেও সেই কথাটা ছিল: এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। আমরা আমাদের যুদ্ধটার নামও দিয়েছিলাম মুক্তিযুদ্ধ।

আমরা মুক্তি চেয়েছিলাম সব ধরনের বৈষম্য থেকে, অন্যায় থেকে, দুঃখ-দুর্দশা থেকে। আমাদের স্বপ্ন ছিল যে এই দেশে কোনো দুঃখী মানুষ থাকবে না, সব মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। অর্থাৎ সম্পদের সুষম বণ্টনের কথাটাও কিন্তু আমরা একই সঙ্গে উচ্চারণ করেছিলাম...।
প্রথম আলো  অর্থাৎ আপনাদের কাঙ্ক্ষিত সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা পায়নি। কিন্তু আপনাদের এখনকার আন্দোলনের ১ নম্বর দাবি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।

এটা কেন? এ দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক কী?
সুলতানা কামাল  সম্পর্কটা হচ্ছে যে ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, তেমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বাধা সৃষ্টি করে এসেছে। তাদের রাজনৈতিক আদর্শ ও বিশ্বাস ধর্মভিত্তিক...
প্রথম আলো  গণতান্ত্রিক দেশে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক আদর্শ থাকবে। ধর্মভিত্তিক আদর্শে সমস্যা বা অন্যায় কী আছে?
সুলতানা কামাল  তারা তাদের রাজনৈতিক আদর্শ বা বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করছে। তাদের লক্ষ্যই হচ্ছে ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করা। শুধু তা-ই নয়; তারা যে রাজনৈতিকভাবে অহিংস পদ্ধতিতে তাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে চেয়েছে, তা কিন্তু নয়।

তারা তাদের রাজনৈতিক বিশ্বাস এ দেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে জোর করে, সহিংস পদ্ধতিতে। এবং তা করে এসেছে মুক্তিযুদ্ধেরও আগে থেকে। তখন তাদের ছাত্রসংগঠনের নাম ছাত্রশিবির ছিল না, ছাত্র সংঘ ছিল। তখন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র সংঘ মুক্তিযুদ্ধের আগে প্রগতিশীল দল ও সংগঠনগুলোর ওপর হামলা করেছে, যেটার সাক্ষী আমরা সবাই। যারা উনসত্তরের গণ-আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল, প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল, বাম ধারার সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা সবাই জামায়াত-ছাত্র সংঘের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চিহ্নিত ছিল এবং আক্রান্ত হতো।


প্রথম আলো  আপনাদের আপত্তি জামায়াতের এই সহিংস পদ্ধতি নিয়ে?
সুলতানা কামাল  মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে সংঘবদ্ধভাবে সহিংসতায় নেমেছিল। তারা সাংগঠনিকভাবে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা তো করেছেই, তাদের সেই বিরোধিতার পদ্ধতিও ছিল সহিংস। জামায়াতে ইসলামী একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে এবং জামায়াতে ইসলামীর সদস্যরা নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁদের নেতা গোলাম আযম একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতের গণহত্যার পরে সেই গণহত্যার মূল হোতা টিক্কা খানের সঙ্গে বসে বৈঠক করেছেন এবং বলেছেন যে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষা করার দায়িত্ব তাঁরা নিলেন এবং সেটার জন্য যেকোনো কৌশল তাঁরা অবলম্বন করবেন। সেই কৌশলের অংশ হিসেবে মে মাসের মধ্যে তাঁরা শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী গঠন করলেন।

তাঁদের সে সময়ের অনেক বক্তৃতা-বিবৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছে যে তাঁরা ঘাতক দল গঠন করেছিলেন। সেই ঘাতক দলের কাজ ছিল এ দেশের মানুষের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগসহ নৃশংস, নিকৃষ্ট অপরাধগুলো সংঘটনে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করা। আলবদরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মতিউর রহমান নিজামীকে। আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও কামারুজ্জামানের এলাকার লোকজনও সাক্ষ্য দেন যে তাঁরা এই সমস্ত অপরাধকর্মে লিপ্ত ছিলেন। শুধু হানাদারদের সহযোগিতা করাই নয়, তাঁরা নিজেরাও ওই সব নৃশংস-নিকৃষ্ট অপরাধগুলোর সঙ্গে লিপ্ত ছিলেন।

তাঁদের এই সমস্ত অপরাধের সাক্ষ্য-প্রমাণ লিপিবদ্ধ রয়েছে রাজাকার গেজেট, আলবদর গেজেট, তাঁদের নিজেদের পত্রপত্রিকা ও অন্যান্য প্রকাশনায় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
প্রথম আলো  এসবের জন্য তো তাঁদের বিচার করা হচ্ছে, ট্রাইব্যুনালের রায়ে বেশ কয়েকজনের সাজাও ঘোষিত হয়েছে। এভাবে আইনি প্রক্রিয়াতেই তো তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর প্রতিকার হতে পারে। এর বাইরে আপনারা আর কী চান?
সুলতানা কামাল  তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিকভাবেও রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক রাজনীতিকে আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের পরাজয় ঘটার পর তাঁরা পালিয়ে কিংবা আত্মগোপন করে থাকলেন, কিন্তু তাঁদের কাজ কখনো থেমে থাকেনি, তাঁরা তা চালিয়ে গেছেন। আর পঁচাত্তর-পরবর্তী তখনকার শাসক দল দ্বারা তাঁরা রাজনৈতিকভাবে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এবং আবার সেই পুরোনো সহিংস পদ্ধতিতে অগ্রসর হয়েছেন। সহিংসতাকে তাঁরা একটি নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছেন; পঁচাত্তরের পর থেকে এখন পর্যন্ত তাঁদের হাতে কত মানুষ নিহত হয়েছে, তারও একটা হিসাব আমাদের নেওয়া উচিত।
প্রথম আলো  কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার যে দাবিতে আপনারা সোচ্চার হয়েছেন, সেটার যুক্তি কী? ধর্মভিত্তিক দল তো আরও আছে এবং শুধু এ দেশে নয়, ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক দেশেও বিজেপি, শিবসেনা, বজরং দলের মতো উগ্র ধর্মভিত্তিক দল আছে...
সুলতানা কামাল  জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবির পেছনে যে যুক্তি আছে, সেটার বাস্তবতা কিন্তু আদালতের বক্তব্যের মাধ্যমেও কিছুটা বেরিয়ে এসেছে। আদালতে বলা হয়েছে, জামায়াত যেহেতু দল হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, সেহেতু দল হিসেবে জামায়াতের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

আমরা বলি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী জামায়াতে ইসলামী স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বেরই বিরোধী, সংবিধানের বিরোধী একটি দল। যে দল বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসেবেই মানতে পারে না, এ দেশের মাটিতে তারা রাজনীতি করার অধিকার কেন পাবে? এটা ছাড়াও, একাত্তরে তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে যে সহিংসতা ছিল, সেটাই আসলে জামায়াতের পদ্ধতি। তারা নীতিগতভাবেই রাজনীতির সহিংস পথ, জবরদস্তির পথ বেছে নিয়েছে। উপরন্তু তারা ধর্মের নামে সহিংসতা করছে, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, তারা মসজিদকে ব্যবহার করছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে। এই সহিংস, ধর্মের অপব্যাখ্যাকারী, দেশবিরোধী রাজনৈতিক দলকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে।


প্রথম আলো  কিন্তু নিষিদ্ধ করলে জামায়াত যদি আরও সহিংস হয়ে ওঠে? তাদের সহিংসতায় যদি পাকিস্তানি মাত্রা যুক্ত হয়?
সুলতানা কামাল  জামায়াতের যতটা সামর্থ্য, ততটা সহিংসতা তো এখনই তারা করছে প্রকাশ্যেই। ওদের আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাওয়া, আরও বেশি সহিংস হয়ে ওঠার শঙ্কা থেকে আমরা যদি বলি, ওরা যেভাবে চলছে চলুক, নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন নেই, তাহলে তো ওদের এসব মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। জামায়াতের রাজনীতি আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ হলে তারা দেশে ও সমাজে একটা বেআইনি, অবৈধ শক্তি হিসেবে চিহ্নিত হবে। তখন তারা সামাজিকভাবে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হবে।

গোপনে আরও সহিংস পন্থা অবলম্বন করলে তারা আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বাংলাদেশের সমাজে সহিংস রাজনৈতিক শক্তি কখনোই গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, জামায়াতও পাবে না।
প্রথম আলো  আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সুলতানা কামাল  ধন্যবাদ প্রথম আলোকেও।



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।