আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৬০ হাজার পরিবারে সমৃদ্ধি

জেলেরা জাল টেনে পাড়ে আনার পর দেখা গেলো নানা রঙের মাছের ঝিলিক। তেলাপিয়া, রুই, মৃগেল, সিলভার কার্প ও কার্ফ মাছ লাফাচ্ছে। মাছগুলো তুলে চালার নিচে রাখা হচ্ছে। পাইকারদের মাছ মেপে দিতে গিয়ে চলছে হাঁক-ডাক। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সারি করে দাঁড়ানো পিকাপ ভ্যান।

ভ্যানগুলো মাছ নিয়ে কুমিল্লার বিভিন্ন বাজারসহ চলে যাচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। এ দৃশ্য নিয়মিত দেখা যায় কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামে। এসব গ্রামের ৬০ হাজার পরিবার চলছে মাছ চাষের আয় দিয়ে। স্থানীয়রা জানান, জলাবদ্ধতার কারণে এ এলাকায় এক ফসলের বেশি হয় না। এ জলাবদ্ধতাকে কাজে লাগিয়ে শুরু হয় মৎস্য চাষ।

২০ হাজার বিঘা প্লাবন ভূমিতে ১০৮টি প্রকল্পে এখন মাছ চাষ হচ্ছে। জমির মালিক ও মাছ চাষের সঙ্গে জড়িত আছে ৬০ হাজার পরিবার। ১৯৮৬ সালে দাউদকান্দিতে প্রথম প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ শুরু করেন ধানুয়াখোলা গ্রামের সুনীল কুমার রায়। তার দেখাদেখি অন্যরাও এগিয়ে আসেন। এখন দাউদকান্দির পাশের উপজেলা মুরাদনগর, তিতাসেও প্লাবন ভূমিতে মাছের চাষ হচ্ছে।

জেলে কৃষকের পাশাপাশি এখন শিক্ষিত তরুণরা মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। তাদের একজন স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক মতিন সৈকত। তিনি বলেন, বছরের প্রায় ৮-৯ মাস জমিগুলো খালি পড়ে থাকতো। মাছ চাষ হওয়ায় এলাকায় বেকারত্ব কমেছে। চুরি ছিনতাই বন্ধ হয়ে এলাকার আইন-শৃংখলার উন্নতি হয়েছে।

তিনি আরো জানান, প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষের দাউদকান্দির প্রকল্পটি বাংলাদেশে সবচেয়ে বড়। আরেক উদ্যোক্তা আলী আহমেদ জানান, এখানে ভরা মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় ৩৩ হাজার মণ মাছ বিক্রির জন্য তোলা হয়। দাউদকান্দি উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নাজমা আক্তার বলেন, মাছের রোগ প্রতিরোধে মৎস্য বিভাগ চাষীদের পরামর্শ দিয়ে থাকে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।