পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার নয়টি মার্কেটে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত গত শনিবার ২০ ব্যবসায়ীকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই অভিযোগে আরও ৮৩ জন ব্যবসায়ীকে প্রায় সোয়া কোটি টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের অভিযোগে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মোট ৮০টি মামলা এবং ২৮টি দোকান ও গুদাম সিলগালা করে দিয়েছে। মিটফোর্ডের ওষুধের পাইকারি বাজারে দীর্ঘদিন পর কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাল। ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতা ও সংঘবদ্ধ ভূমিকার কারণে মিটফোর্ডের বিভিন্ন দোকানে নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগ থাকলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।
গত শনিবার র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযানে নামলে বাধার মুখে পড়তে হয়। এ সময় হাতাহাতিতে র্যাবের এক সদস্যের মাথা ফেটে গেলে র্যাব সদস্যরা ওষুধের বিভিন্ন মার্কেটে ঢুকে ভেতর থেকে তালা মেরে দেয় এবং নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সভ্য দুনিয়ার প্রতিটি দেশে ওষুধের মান রক্ষায় সরকার আপসহীন ভূমিকা পালন করে। নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। স্বাধীনতার পর গত চার দশকে ওষুধ তৈরিতে দেশ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণতার কাছাকাছি পৌঁছেছে এবং বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ-আমেরিকায়ও ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।
তবে এর পাশাপাশি নকল, ভেজাল ও মানহীন ওষুধের রমরমা ব্যবসাও চলছে এ দেশে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নকল ও মানহীন ওষুধের বিরুদ্ধে নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও ব্যবসায়ীদের একাংশের অসহযোগিতায় এ বিষয়ে প্রত্যাশিত সাফল্য আসেনি। আমরা মনে করি, নকল ও মানহীন ওষুধের বিরুদ্ধে র্যাবের পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার। এ ধরনের অভিযান রাজধানীর বাইরেও ছড়িয়ে দিতে হবে। নকল ও মানহীন ওষুধের কারখানা বন্ধেও নিতে হবে উদ্যোগ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।