ধর্মান্ধ মুমিনগন সাবধান ! আমি কালবৈশাখী ঝড় !
সকালে ঘুম থেকে উঠেই অনলাইনে নিউজটি দেখে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। হয়তো প্রচন্ড রাগ হওয়া উচিৎ ছিল, প্রচন্ড ক্ষোভ হওয়া উচিৎ ছিল; কিন্তু মন খারাপ হয়ে গেল সেইসব দূর্ভাগা বোনদের জন্য।
ছোট থেকে যাকে বাবা বলে ডেকেছে তাকেই স্বামী হিসাবে মেনে নিতে হবে বিয়ের পর ! তার সাথে শয্যায় যেতে হবে, পূরণ করতে হবে সেই স্বামীরুপী পিতার যৌনক্ষুধা ।
এতদিন জানতাম ইসলাম পালিত সন্তানকে প্রকৃত সন্তানের স্বীকৃতি দেয়না, এখন সেই সন্তানকে বিবাহের অনুমোদনও দেয়া হল কট্টর ইসলামী দেশ ইরানে। ভেবে অবাক হচ্ছি যে এই মুসলিমরা নারীদের ভোগ করার জন্য আর কত পন্থা আবিস্কার করবে ? আমার মনে সন্দেহ জাগে মুসলিম দেশগুলিতে নারীদের ভোগ করার জন্যে বিকল্প পন্থা আবিস্কারের জন্য কোন গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা মন্ত্রণালয় নেই তো ?
ইরানের একটা ছবির কথা মনে পরলো ।
, ছবিটির নাম, 'The Stoning of Soraya M.। ১৯৮৬ একটি মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছবিটি বানানো হয়েছিল । যে ঘটনায় নিষ্ঠুর হিংস্রতার শিকার হয়েছিল এক নিষ্পাপ সাধারণ নারী। মিথ্যে কলংকের বোঝা চাপিয়ে চক্রান্ত করে যাকে তাঁর স্বামী এবং সমগ্র গ্রামবাসী মিলে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলো পাথর ছুড়ে। ঠিক যেভাবে পবিত্র হাজ্বের সময় মুসলিম'রা শয়তান'এর প্রতিকরুপী মূর্তি'টাকে পাথর ছুড়ে মারে ! ১৯৮৬ থেকে ২০১৩, পুরো ২৬ বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে কিন্তু এখনও ইরানে নারী'দের সম্মানজনক কোন অবস্থান তৈরী হয়নি।
আফসোস, বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম'রা তো বটেই, আমাদের দেশেরও কিছু গাড়ল, মূর্খ মুসলমান সেই ইরানকে নিয়ে গর্বিত বোধ করে ! আমেরিকার হামলার বিরুদ্ধে রাজপথে কান্নার রোল তোলে। এই প্রতিবাদীরাই (তথাকথিত অন্ধ আমেরিকাবিদ্বেষী বাম) লিবিয়ার লুচ্চা সামরিক শাসক গাদ্দাফির পক্ষালম্বন করেছিল। আমি কখনই সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার পক্ষে নই। তবে যারা শুধু আমেরিকাবিরোধিতার জন্য নীতি-নৈতিকতা-আদর্শ ভুলে অন্যকে সমর্থন করে সেই বামদের বলি, যেখানে সাম্রাজ্যবাদ আমাদের দেশ-সমাজ-ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে ধীরে ধীরে গ্রাস করছে সেখানে আপনি নিশ্চুপ কেন ?
ধার্মিকদের যৌনক্ষুধা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে মৃত স্ত্রীকে ধর্ষণ করার জন্যেও আইন পাস করেছে মিশরের আইনসভা। তিউনিশিয়ায় বেহেশতের লোভ দেখিয়ে মেয়েদের দিয়ে করানো হচ্ছে যৌন জিহাদ।
যৌনবাসনা চরিতার্থ করার জন্য ফতোয়া দেয়া হয়েছ যে যুদ্ধকালীন সাময়িক বিবাহ বা ‘জিহাদ আল নিকাহ’ বৈধ। এই ধরনের ‘জিহাদি বিবাহ’তে কোনো মুসলিম নারী কোনো মুজাহিদকে বিয়ে করে তাঁর যৌনসঙ্গী হতে পারেন। আবার দ্রুতই তাঁরা বিবাহবিচ্ছেদ ঘটাতে পারেন। এই ধরনের সাময়িক বিয়ের মাধ্যমে একজন নারী এক দিনে একাধিক পুরুষের শয্যাসঙ্গী হতে পারেন। তাই ধর্মের মাধ্যমে হালাল করে একজন নারীকে প্রতিদিন অসংখ্যবার ধর্ষণ করছে তথাকথিত "জিহাদী"রা।
ফাঁকিস্তানে ধর্ষণ প্রমাণ করতে গেলে ধর্ষিতাকে চারজন সাক্ষী হাজির করতে হয়। অর্থাৎ ধর্ষক অবশ্যই চারজন সাক্ষী উপস্থিত রেখে তার ধর্ষণকর্ম করবে। কি সেলুকাস !!
সোমালিয়ায় একটা ধর্ষণের ঘটনায় ১৩ বছরের একটা মেয়েকে পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল কিছু দিন আগে।
দুবাইতেও কিছুদিন আগে এক নরওয়েজিয়ান ইন্টেরিয়র ডিজাইনারকে ধর্ষনের অভিযোগ করার পর শরীয়া নিয়মে উপযুক্ত সংখ্যক স্বাক্ষী দ্বারা প্রমাণ করতে না পারার কারণে (ডিএনএ রিপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও) ১৬ মাসের জেল দেয়া হয়।
ধর্ষিতাকে ২০০ দোররা মারা হল চৌদি আরবে
লন্ডনে হোটেরবয়কে ধর্ষণ করে গ্রেফতার হয়েছিল চৌদি যুবরাজ।
কিংবা এই বাংলাদেশেরই এক ৯০ বছরের অথর্ব চরিত্রহীন বৃদ্ধ নরীদের তেঁতুলের সমতূল্য হিসাবে ঘোষণা করে। শাহবাগের আন্দোলনরত মেয়েদের অশ্লীল গালি দেয়। এরা সবাই “ইসলাম” নামের একটি উপাসনা ধর্মের অনুসারী।
জানিনা, অদূর ভবিষ্যতে হয়তো নিজের কন্যাকে বিবাহ করার ফতোয়া দেবে হুজুররা। সেই ফতোয়ায় উদ্বুগ্ধ হয়ে আমাদের তেঁতুল শফি আরও ভয়ঙ্কর কোন কথা বলে বসবেন।
আমরদের মুক্তিযুদ্ধব্যাবসায়ী সরকার তখন শফি হুজুরের মেশিনে তেল মাখতে ছুটবে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে জেলে ভরা হবে, কিংবা কুপিয়ে মারা হবে। তারপর সবাই বলব “এই ইসলাম প্রকৃত ইসলাম না” আর ঘরে বসে জাবর কাটব। পৃথিবীতে এমন কি কেউ আছেন যিনি প্রকৃত ইসলামের সঙ্গা দিতে পারেন এবং নিজে পালন করেন ? পারবেন না। কখনই পারবেন না।
আসলে ধর্ম মানেই নারী নিগ্রহ। ধর্ম মানেই যৌনক্ষুধা মেটানোর হালাল পন্থা। ধর্ম মানে দাঙ্গা, যুদ্ধ, রগকাটা,সন্ত্রাস, কোপানো, পাথর নিক্ষেপ, শিরচ্ছেদ, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেশিশুদের যৌন নির্যাতন।
এর একটির বাইরেও ধার্মিকরা নয়। যদি থাকে তবে সে ধর্মগ্রন্থ মানেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।