অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডে, নিউগিনি এবং আশেপাশের দ্বীপগুলিতে ক্যাঙ্গারু দেখতে পাওয়া যায়। অনুমান করা হয়, ক্যাঙ্গারুরা প্রায় ১৫ মিলিয়ন বছর আগে মায়োসিন যুগে অস্ট্রেলিয়াতে আসে। ৮ মিলিয়ন বছর আগে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে অস্ট্রেলিয়ার অতিবৃষ্টি অরণ্যগুলির জায়গায় উন্মুক্ত বনাঞ্চল ও সাভানা তৃণভূমির আবির্ভাব ঘটে। এর ফলে ক্যাঙ্গারুরাও বিবর্তিত হয়ে বর্তমানে আমাদের পরিচিত নানা প্রজাতিতে রূপ নেয়।
আদি ক্যাঙ্গারুগুলি ছিল বিশালাকার।
এরা প্রায় ১০ ফুট লম্বা ও প্রায় ২০০ কেজি ভারী ছিল। এখনকার ক্যাঙ্গারু লম্বায় ২ মিটার দীর্ঘ এবং ৮৫ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। ক্যাঙ্গারু সম্পর্কে সবচেয়ে মজার তথ্য হলো একটি প্রজাতির ক্যাঙ্গারু সর্বোচ্চ প্রায় ৪৫ ফুট উঁচু পর্যন্ত লাফ দিতে পারে।
ক্যাঙ্গারু দেখতে যেমন অদ্ভুত তেমনি এর গায়েও অনেক শক্তি। তবে অস্ট্রেলিয়ায় রেড ক্যাঙ্গারু বা লাল ক্যাঙ্গারু সবচেয়ে বিখ্যাত।
ক্যাঙ্গারু শুকনো পরিবেশ খুব পছন্দ করে। বৃষ্টি হয় না এরকম এলাকায় তারা থাকে। ক্যাঙ্গারু খোলামেলা তৃণপ্রান্তরে বাস করতেও ভালোবাসে।
ক্যাঙ্গারুর আরেকটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হলো এরা ছায়ার জন্য প্রায়ই গাছের নিচে বসে থাকে। রোদের তেজ যখন খুব কম একমাত্র তখনই ক্যাঙ্গারু রোদ পোহায়।
কড়া সূর্যতাপ এরা সহ্য করতে পারে না। সাধারণত: সমভূমি কিংবা মালভূমির ঘাস ইত্যাদি খেয়ে জীবনধারণ করে ক্যাঙ্গারু। খাবার সাধারণত এরা রাতেই খায়। বেশিক্ষণ পানি পান না করলেও তাদের চলে। ক্যাঙ্গারুর পায়ে রয়েছে অনেক শক্তি।
বহুদূর লাফাতে লাফাতে যেতে পারে, ক্লান্ত হয় না।
ক্যাঙ্গারু সন্তানকে পেটের থলের ভেতরে রেখে লালন-পালন করে। নবজাতক ক্যাঙ্গারু শিশুকে মা ক্যাঙ্গারু নিজের থলিতে একটানা ২৩৫ দিন বহন করে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।