নারীদের কেউ কেউ ফ্যাশনের অনিবার্য অনুষঙ্গ হিসেবে হাই হিল পড়ে থাকেন। র্যাম্প মডেল থেকে চলচ্চিত্রের নায়িকা হয়ে পাশের বাড়ির মেয়েটির পায়েও ৩/৪ ইঞ্চির পেন্সিল-উচ্চতা। সৌন্দর্যের অন্যতম মাপকাঠি হিসেবে উচ্চতাকে ধরা হয় বলে জুতার হিলের চাহিদাও বেড়েছে। কিন্তু 'সৌন্দর্য বর্ধক' এই আপাত নিরীহ বস্তুটি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, হাই হিলে হাই রিস্ক।
সৌন্দর্য বাড়াতে বেশি উঁচু হিল পরলে হাঁটুর ক্ষতি হতে পারে। হিলে সাময়িক উচ্চতা হয় তো বাড়বে কিন্তু পরে চিরকালের জন্য খুঁড়িয়ে হাঁটতে হতে পারে। অস্থি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তাদের কাছে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় অল্পবয়সী রোগী আসছেন। তাদের অনেকেই আসছেন গোড়ালি বা হাঁটুতে ব্যথা নিয়ে। দেখা যাচ্ছে, সব অসুবিধার মূলে সেই জুতার হিল।
অস্বাভাবিক উঁচু হিল পরায় গোড়ালি উঁচু হয়ে থাকছে। যখন-তখন অনিয়ন্ত্রিতভাবে এদিক-সেদিক বেঁকে যাচ্ছে। ফলে হাঁটুতে অস্বাভাবিক চাপ পড়ছে। ক্ষয়ে যাচ্ছে হাঁটুর মালাইচাকির পেছনের কার্টিলেজ। অস্টিও-আর্থারাইটিস দেখা দিচ্ছে।
'ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া'র অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞদের কথায়, গোড়ালি, হাঁটু ও কোমর ঠিক রাখতে মেয়েদের জন্য পাম্প সু বা ব্যাকস্ট্র্যাপ দেয়া কম হিলের জুতা সবচেয়ে ভালো। তারা আরও জানিয়েছেন, হিল পরার ইচ্ছা হতেই পারে, তবে তার জন্য একটু সতর্ক থাকা দরকার। যেখানে অল্প হাঁটতে হবে, সেখানে উঁচু হিল পরা যেতে পারে। কিন্তু প্রতিদিনের জীবনে হাঁটাহাঁটির ক্ষেত্রে সামান্য উঁচু বা ফ্ল্যাট জুতাই থাকুক। কারণ শারীরিক সুস্থতা না থাকলে সেৌন্দর্য অধরাই থাকবে।
সুতরাং হাই হিল ব্যবহারে সাবধান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।