আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিজ গুনে গুণী মহিমায় মহিয়সী (পর্ব-১৪)



‘শিয়ালজানির” উৎসমুখ ভরা যৌবন নিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহমান হতে লাগল মহা আনন্দে।তার ছন্দময় চলার গতিকে আরো ছান্দসিক করার জন্যে প্রয়োজন হল পুরো খাল খনন করে এর গভীরতা বৃদ্ধি করা ৷এরই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে চলছিল খাল খননের কার্যক্রম গতিশীলতার মধ্য দিয়ে। নিজ নিজ দায়িত্ব আর কর্তব্যবোধের তাগিদে সবাই সবার দায়িত্ব পালন করছিল সগৌরবে৷এরই মাঝে ঘটে গেল এক নাটকীয় ঘটনা৷খালের উপর ছিল ব্রিটিশ আমলের তৈরি পুরোনো দু’টি সেতু৷এদের নিচটা ছিল পুরো শহরের যুগ যুগ ধরে জমে থাকা কঠিন আবর্জনা দিয়ে ঠাসা,যার চাপে এতে ফাটলও পরিলক্ষিত হচ্ছিল৷তিনি ভাবলেন প্রথমে এই আবর্জনা পরিষ্কার করে সেতুর নিচটা খননের কাজ করতে হবে৷এই কাজের জন্যে তিনি ৪০ জন শ্রমিককে দায়িত্ব দিলেন৷ দিনভর কঠোর আর অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাজ শেষ করে তারা বাড়ি চলে যায় ৷সকালে খালের কাছে গিয়ে দেখা গেল সেতুর নিচেয় খোঁড়ার বিন্দুমাত্র চিহৃ নেই৷ সেখানে যেন তার পূর্বের রূপ বিরাজমান৷এই ঘটনাটি কাজী আবেদ হোসেনকে খুবই ভাবিয়ে তুলল৷তিনি কোন ভাবেই এর কূল-কিনারা খুঁজে পাচ্ছিলেন না৷এ বিষয়ের সমাধান কল্পে তিনি পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনায় বসলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে সমাধানও পেয়ে গেলেন৷ সেতুর উপর দাঁড়িয়ে নিচটা ভাল করে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেল ঠাসা ময়লার বেশীর ভাগই ছিল পলিথিন দিয়ে বোঝাই৷শ্রমিক গণ খননের কাজ শেষে চলে গেলে রাতে বৃষ্টি নামে ফলে বৃষ্টির পানি পলিথিনে ঢুকে ফুলে খোঁড়া স্থান ভরাট হয়ে প্রায় পূর্বের রূপ ধারণ করে। ২০ দিন ধরে ময়লা নিষ্কাশনের কাজ শেষ করে এগিয়ে চলতে লাগল ‘‘শিয়ালজানির”খননের কাজ৷সকল বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সুষ্ঠু,সুনিপুণভাবে আর দক্ষতার সাথে সম্পন্ন হলো ‘‘শিয়ালজানির” খনন কাজ৷কাজী আবেদ হোসেন সহ পুরো মোহনগঞ্জবাসী ‘‘শিয়ালজানিকে”উপহার দিল পূর্ণ যৌবন৷বিলীন হয়ে যাওয়া ‘‘শিয়ালজানি” ফিরে পেল তার স্বকীয় পূর্ণতা,আনন্দে সে আত্নহারা৷কাজী আবেদ হোসেনের মত মেধবী, সৎ, নিষ্ঠাবান একজনকে নিয়ে কিছু বলার বা লেথার সাহস বা যোগ্যতা কোনটাই আমার নেই৷তবুও স্বল্ল আর ক্ষুদ্র মেধার সমন্বয়ে তার উদ্দেশ্যে দু’কলম না লিখে পারছি না ৷কলম শুধুই বিদ্রোহ করছে তাকে নিয়ে কিছু লিখার জন্যে৷যদিও হাত কাঁপছে তারপরও তার মত গুণী জনের উদ্দেশ্যে সম্মানের সাথে বলছি‘‘জীবন-মরণ,সুখ-দুঃখ দিয়ে সত্যিই তুমি পুরো মোহনগঞ্জবাসীকে রেখেছ বক্ষে জড়ায়ে।” (চলবে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।