আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম, এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি । । আসিফ মহিউদ্দীন।
নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ফেসবুক এবং ব্লগ জগতের একটি অত্যন্ত আলোচিত নাম। আবার সমালোচিতও বটে।
তবে আলোচিত সমালোচিত যাই হোক, ভার্চুয়াল জগতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্হান যে তার এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
তার বলিষ্ঠ লেখনী পড়ে আপ্লুত হয়েছি বহুবার। অনেকবার তার লেখা পড়ে মনে হয়েছে এ লেখা তো আমার লেখার কথা ছিল। অতি সরলভাবে মূল বক্তব্য ছেঁকে তুলে আনার একটা সহজাত গুণ আছে তার। পরিষ্কার ভাষায় সাবলীল গাঁথুনীতে তিনি তুলে আনতে পারেন সমাজের নানা ক্ষেত্রের নানা সমস্যার জড়।
তাঁর লেখনীতে বারবার উঠে এসেছে প্রকিবাদীর ডঙ্কাধ্বণি।
তবে হ্যাঁ, এটাও ঠিক তার সকল মতাদর্শের সাথে আমার নিজেরও মতাদর্শ মেলে না। কিছু কিছু ব্যাপারে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি দেখে আমি নিজেও নাক সিঁটকেছি। হয়তবা কখনো বিরূপ কিছু মন্তব্যও করেছি। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা ব্যাপার।
ব্যক্তি আসিফ আর তার দৃষ্টিভঙ্গির সবটুকু কারো মনে ধরবে তা কেউ আশা করেনা, আবার লেখার সব টপিকসই কারো ভাল লাগবে এমনটাও ভাবা বোকামিরই নামান্তর। তবে সেটা সম্পূর্ণ হল ভার্চুয়াল জগতের ময়দানে নিজেদের আদর্শের মতভেদ।
তবে কাল যেটা হল সেটা সম্পূর্ণ অনায্য ও অমানবিকও বটে। ভার্চুয়াল জগতের রেষারেষিকে টেনে ব্যক্তি আসিফকে এভাবে শারীরিক আক্রমণকে আমি ঘৃণ্য ও পৈশাচিক মনে করি। আমি নিজেও লিখছি বেশ অনেকদিন ধরে, ব্লগিং করছি অল্প কিছুদিন।
আর এতেও আমার সাথে নানা সময় নানা বিষয়ে অনেকেরই মতদ্বৈততা হয়। এমনকি বাকবিতন্ডাও যে হয়না , তা তো না। কিন্তু সেই ইস্যুকে আমরা সেখানেই যুক্তিতর্কের আলোকে সমাপন করাটাকেই সুবুদ্ধির পরিচায়ক ও যুক্তিযুক্ত মনে করি। এখন কেউ যদি সেই রেষ টানে কারো শরীরে ছুরির আঘাতে জর্জরিত করে তাহলে তাকে কি বলা যায়?
গতকাল আসিফ মহিউদ্দীনের উপর বর্বরোচিত হামলা হল। যতটুকু জেনেছি তার পেটে-পিঠে ছুরির আঘাত করা হয়েছে।
তবে ঘাড়ের কোপটাই মারাত্মক। তবে মৃত্যুর আশংকা নেই এখন।
তার সঙ্গের টাকাপয়সা, মোবাইল বা অন্য কিছুই খোয়া যায়নি। তাই, হামলার উদ্দেশ্য অত্যন্ত সুষ্পষ্ট।
আমি শুধু একটুকুই জানি- উনি মতাদর্শে যাই হোক, উনার পরিচয় উনি একজন ব্লগার।
যিনি সর্বদাই নানা সামাজিক, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
যেন একজন আসিফকে নয় কোপানো হল দেশের অসংখ্য স্বনামধন্য ব্লগার ও তাদের কলমকে। যেন লেখার স্বাধীনতার উপর টেনে দেয়া হল কালো পর্দা। লাখো প্রতিবাদী লেখনীকে স্তব্ধ করার সুনিপুণ পায়তারা। কামনা করি, আসিফ মহিউদ্দীন আবার ফিরে আসুন আমাদের মাঝে স্বরূপে তার সেই জ্বালাময়ী লেখনী নিয়ে।
আবার আমরা সকল ব্লগাররা গর্জে উঠব অন্যায় আর অপরাধকে পায়ে দলে এগোনোর প্রত্যয়ে।
। । সা। ত।
কা। হ। ন। । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।