ঢাকার ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল দলটির একি দশা!
টানা পাঁচ ম্যাচে হার। ছয় ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট, অবস্থান দশে। আবাহনী এর আগে এমন দুর্দশায় কখনো পড়েছি কি না, সেটা গবেষণার বিষয়। পরশু শেখ জামালের কাছে হারের পর ১৭ বারের চ্যাম্পিয়নরা কালও হেরেছে। ফতুল্লায় প্রাইম ব্যাংকের কাছে এবার ১২০ রানে হার।
প্রাইম ব্যাংকের ৯ উইকেটে করা ২৭২ রানের জবাবে ৩৫.৫ ওভারেই আবাহনী অলআউট ১৫২ রানে।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা হেরেছে বড় ব্যবধানে, মোহামেডানই বা পিছিয়ে থাকবে কেন! বগুড়ায় গাজী ট্যাংকের কাছে ১০৩ রানে হেরে হারের হ্যাটট্রিক করে ফেলেছে প্রথম তিন ম্যাচজয়ী দলটি। দিনের অন্য ম্যাচে বিকেএসপিতে লিগের চমক প্রাইম দোলেশ্বরকে বাস্তবতা বুঝিয়েছে ভিক্টোরিয়া। বুড়িগঙ্গার ওপারের দলটিকে মাত্র ৮৫ রানে অলআউট করে ৯ উইকেটে জয়, ভিক্টোরিয়া আপাতত উঠে গেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। ছয় ম্যাচে ৯ পয়েন্ট দলটির।
আগামীকাল ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও শেখ জামাল জিতলে অবশ্য তিনে নেমে যাবে ভিক্টোরিয়া।
ফতুল্লায় কাল টস হেরেই দিন শুরু হয়েছিল আবাহনীর। প্রাইম ব্যাংকের প্রথম উইকেটটা তারা অবশ্য পেয়ে যায় ষষ্ঠ ওভারেই। আগের দিন এলটন চিগুম্বুরার হাতে বেধড়ক পিটুনি খাওয়া আলাউদ্দিন বাবু উইকেটকিপারের ক্যাচ বানান জিয়াউর রহমানকে। এরপরই শ্রীলঙ্কান ভানুকা রাজাপক্ষেকে নিয়ে ওপেনার সৈকত আলীর ৮২ রানের জুটি।
দুজনই পেয়েছেন ফিফটি, ৬ চার ও ৩ ছয়ে সৈকত ৫৯ এবং ৪টি করে চার-ছক্কায় ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৯ রাজাপক্ষের। ইনিংসের তৃতীয় ফিফটিটি লাহিরু থিরিমান্নের (৫২)। এ ছাড়া দশে নেমে অপরাজিত ৩৯ রান তাপস বৈশ্যর। এরপর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে আবাহনী শেষ ১৫২ রানেই। ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা প্রাইম ব্যাংকের এনামুল জুনিয়র।
ষষ্ঠ ম্যাচে চতুর্থ জয় পাওয়া গাজী ট্যাংক বগুড়ায় ৯ উইকেটে তুলেছিল ২৪৮ রান। জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটসম্যান রকিবুল হাসান সর্বোচ্চ ৭৫ রান (৬২ বল) করে হয়েছেন ম্যাচসেরা। গাজী ট্যাংকের শেষ ওভারে ৩ উইকেট নিয়েছেন ‘রহস্য স্পিনার’ অজন্তা মেন্ডিস। মোহামেডান অলআউট ১৪৫ রানেই।
বিকেএসপিতে ভিক্টোরিয়া-দোলেশ্বরের ম্যাচ শেষ হয়েছে বেলা সাড়ে ১২টার আগেই।
৪৭ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলা দোলেশ্বর ৮৫ করে নয় নম্বর ব্যাটসম্যান সোহাগ গাজীর অপরাজিত ২৬ রানে। ১৪.৩ ওভারেই জয় পেয়ে যায় ভিক্টোরিয়া।
সং ক্ষি প্ত স্কো র
গাজী ট্যাংক: ৫০ ওভারে ২৪৮/৯ (তারিক ১৩, ইমরুল ১৬, আফতাব ৮, স্টাইরিস ৩০, মাহমুদউল্লাহ ৬৮, রকিবুল ৭৫, জাইদি ১৭*, হামিদুল ১১, নাঈম জু. ০, শহীদ ০; গুনারত্নে ০/৩১, মুক্তার ১/৪৭, মাশরাফি ২/৩৮, মেন্ডিস ৪/৫৭, সাকলাইন ১/৬১, রাজিন ০/১০)। মোহামেডান: ৩৮.৪ ওভারে ১৪৫ (জুপিটার ৩, এজাজ ৪২, শামসুর ৬, থারাঙ্গা ৫৬, রাজিন ১৩, গুনারত্নে ২, ধীমান ৪, মাশরাফি ৩, মুক্তার ১০*, সাকলাইন ০, মেন্ডিস ০; শহীদ ১/৩৫, আরাফাত ১/২২, জাইদি ৩/৩০, মাহমুদউল্লাহ ২/২৭, নাঈম জু. ০/১২, তারিক ১/১৮)।
ফল: গাজী ট্যাংক ১০৩ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রকিবুল হাসান।
প্রাইম ব্যাংক: ৫০ ওভারে ২৭২/৯ (সৈকত ৫৯, জিয়াউর ৬, রাজাপক্ষে ৬৯, টেলর ৪, থিরিমান্নে ৫২, তায়েবুর ৪, মাহমুদুল ১৫, রেজাউল ৪, ফরিদউদ্দিন ৭, তাপস বৈশ্য ৩৯*, এনামুল জু. ১*; আল আমিন ০/৬২, আলাউদ্দিন ১/৩১, নাবিল ২/৩৬, আল আমিন (২) ১/৫৯, শামসুল ২/৪০, পারানাভিতানা ৩/৩৯)। আবাহনী: ৩৫.৫ ওভারে ১৫২ (নাজিমউদ্দিন ১৭, শাহরিয়ার ১৫, পারানাভিতানা ৮, আল আমিন (২) ২৮, কান্দাম্বি ১০, ডি সরম ৮, আসলাম ৩, আলাউদ্দিন ১৫, নাবিল ১৯*, শামসুল ০, আল আমিন ২১; তাপস বৈশ্য ০/১৮, ফরিদউদ্দিন ৩/৩৪, এনামুল জু. ৪/৪৩, মাহমুদুল ০/১৫, তায়েবুর ১/৩৩, রেজাউল ২/৯)।
ফল: প্রাইম ব্যাংক ১২০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: এনামুল হক জু.।
প্রাইম দোলেশ্বর: ২৬ ওভারে ৮৫ (মেহেদি ৬, আরমান ১০, সাম্পাথ ১১, মমিনুল ২, সিলভা ১, সাব্বির ৮, জাদরান ০, ফরহাদ রেজা ১, সোহাগ ২৬*, তাইজুল ৪, আশরাফুল ১; সাজেদুল ১/১৭, করুনানায়েকে ৩/২৯, মনির ০/৫, সৌম্য ৩/২৫, নাসির ১/৪)। ভিক্টোরিয়া: ১৪.৩ ওভারে ৮৮/১ (এনামুল (বিজয়) ৪৫*, আল মামুন ৫, করুনানায়েকে ৩৩*; আশরাফুল ১/১৩, তাইজুল ০/৩০, ফরহাদ রেজা ০/৬, সোহাগ ০/২৭, জাদরান ০/৯)।
ফল: ভিক্টোরিয়া ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শালিকা করুনানায়েকে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।