লিখেছেনঃTaosif Hamim....
আগে থেকেই ঢাকা মেডিকেলের আউটডোরে অপেক্ষা করছিলাম, রক্ত এবং আউটডোরে সব ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম। প্রথমেই বুঝেছিলাম গুরুতর কিছু নয়, বমি করছিল না, এবং সেন্স আছে। হাত নাড়ছে এবংকথা বলছে।
মাথার এক্স রে দেখে নিশ্চিত হয়েছি যে মাথার আঘাত ব্রেনে লাগেনি। পিঠে, পেটের আঘাত ইন্টারনাল অর্গান পর্যন্ত পৌঁছায়নি।
তবে বা কাঁধে কোপটা গভীর, ব্লিডিং বন্ধ হলেও দুটা এয়ার কলাম দেখা গিয়েছে এক্স রেতে। কাঁধের রক্ত নালী যদি কেটে যায় তবে হৃদরোগ বিভাগে রিপ্লেস করতে হবে। অপারেশন থিয়েটার থেকে সার্জন ফিরে এলেই বোঝা যাবে, কি হয়েছে। তবে মৃত্যুর আশংকা নেই। রক্ত স্যালাইন এবং টিটেনাস দেয়া হয়েছে।
আসিফ মহিউদ্দিনকে গালাগাল দিয়েছি,কীট বলেছি দুই দিন আগেও। তবু কেন সেখানে তার পাশে দাঁড়িয়ে রাত নষ্ট করছি?
কারণ তার বড় পরিচয় সে মানুষ, আর আমার কাছে দ্বিতীয় পরিচয় সে ব্লগার। নিজেও টুকটাক ব্লগ লেখার চেষ্টা করি এখানে সেখানে,মূলত মুক্তমনা এবং ক্যাডেট কলেজ ব্লগে। তাই আক্রমনটা আমি সম্পূর্ণ কমিনিউটির উপরেই দেখছি।
আসিফ মহিউদ্দিন এর সাথে আমার মতাদর্শের প্রচন্ড পার্থক্য রয়েছে।
ব্যক্তিগত বিরোধও রয়েছে। তবু আক্রমনটিকে আমি নির্মম ও একজন ব্লগারের জীবন নাশের চেষ্টা হিসেবেই দেখছি। একজন বাংলাদেশী নাগরিকের উপর এ পাশবিক আক্রমনের নিন্দা জানাই।
টাকা, ঘড়ি, সেলফোন কিছুই হারানো যায়নি। আক্রমনটা কি উদ্দেশে করা হয়েছিল বুঝতে বাকি নেই।
এহেন পিশাচিক বর্বরতার নিন্দা জানাই, ঘৃণা জানাই।
কি গ্যারান্টী আছে আগামীকাল আরেকজন ব্লগারকে আক্রমন করা হবে না? শুরুতেই এর বিস্তার নির্মূল করতে হবে। । । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।