আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ১"

আমার নিজের সম্পর্কে আমার ধারণা নেই :)

চোখটা বন্ধ করল তনু। অবশেষে একটা শান্তির ঘুম আসবে। আজ সারাদিন যা ধকল গেলো না। ক্লাশ শেষ করে তিনটা স্যারের কাছে পড়ে বাসায় ফিরেছে। বিছানায় গা এলাতেই তাই রাজ্যের ঘুম চলে আসলো দু চোখে।

কাল আবার সকালে স্কুলে যেতে হবে। স্যারের বাসায় পরীক্ষাও আছে। আচ্ছা, কাল স্কুলে না গেলে কি হবে?? মা কে নলে দিব স্যারের বাসায় পরীক্ষা আছে, পড়তে হবে। হুমম, এটাই ভালো বুদ্ধি। মনে মনে ভাবলো তনু।

কিন্তু কোচিং এ গেলেই মিতুর ঝাড়ি শুনতে হবে ওর। এই মেয়েটা প্রতিটাদিন স্কুলে যায়। পাগল একটা মেয়ে। এইতো গত সপ্তাহেও ১০২ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে ও স্কুলে হাজির। নাহ, ঝাড়ি দিক ও, তাও কাল স্কুলে যাবেনা ।

চোখ মুদল তনু। " এই তুই আজ ক্লাশ করলি না কেনো? পরীক্ষায় বসতে দিবে না তোকে স্যাররা। এত ক্লাশ কেউ মিস করে??" মিতু এক নাগারে বলে চলল। " আরেহ গাধী, তোকে এত টেনশন করতে হবে না। আমি ম্যানেজ করে নিব ঠিকই।

এখন বল আজকের তাজা খবর কি?"তনু হাসতে হাসতে বলল। "কোনো খবর নাই। আজকের দিনটা পুরাই পানশে। তোর কথা বল। " " ধুর আমারও কোনো খবর নাই।

" স্যার বকা দেয়," এই দুইটা আবার শুরু করছে। " এইবার চুপ হয় ওরা, নাহলে আজ স্যার ওদের কাঁচা চাবিয়ে খাবে। সারাদিনই ওদের কথা চলতে থাকে, দুই বান্ধবী একজন আরেকজনের সাথে কথা না বলে দিনই কাটাতে পারে না। অথচ একবছর আগেও ওরা তেমন একটা কাছের বন্ধু ছিলো না। তনু ছিলো একদম আঁতেল, আর মিতু বদের হাড্ডি।

সারাদিন হাহাহিহি করা মিতুর একটা অভ্যাস। আর তনু থাকত বই আর রেজাল্ট নিয়ে। অবশ্য রেজাল্টই ওদেরকে কাছে এনেছে। পাশাপাশি রোল হওয়ার সুবাদে দুইজন জিগরি দোস্ত হয়ে গেছে। মিতুর চটপটে স্বভাব আর কথা বলার ভঙ্গিমা তনুড় খুব ভালো লাগে।

আর তনুর কেয়ারিং , শান্ত মেজাজ মিতুরও ভালো লেগে যায়। দুজন কথা বলা শুরু করলে আর থামে না। সারাদিনের সবকিছুই যেন বলতে হবে । মিতুদের বাসায় ডিশ আছে, তাই ও হিন্দি মুভির পোকা। যেই একটা নতুন মুভি দেখবে ওমনি এসে পরদিন তনুকে প্রতিটা লাইন মুখস্ত বলে যাবে।

আর মুভিটা যদি হয় রোমান্টিক তাহলে তো ওর মুখ বন্ধই হবে না। মিতুর কাছে জীবন হল রোমান্টিক মুভি। আর তনুর কাছে জীবন হলো পড়ার সিলেবাস। **পাঠক, সামনেই জানতে পারবেন শেষ পর্যন্ত কার জীবন কি থাকে। কে বয়ে যায় আর কে থমকে দাঁড়ায়।

এই প্রথম ধারাবাহিক কিছু লিখার চেষ্টা করছি। জানিনা পারবো কি না। তবে চেষ্টা তো করলাম । শুরুটা অল্প দিয়েই হোক। **


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।