আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১২ ঘণ্টার বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে চলা এই বর্ষণে নগরীতে ১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের ফলে নগরীরর সড়কগুলো জলে-কাদায় একাকার হয়ে গেছে।
রাতের বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি সকালে নেমে গেলেও দুপুরের বৃষ্টিতে আবার তলিয়ে যায় নিম্নাঞ্চল।
তাছাড়া নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের কারণে নগরীর সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর ভাঙ্গা রাস্তায় জমে থাকা পানি ও কাদা মানুষের ভোগান্তি আরো বাড়িয়েছে।
শুক্রবার দুপুর থেকে প্রবল বর্ষণে নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর, চকবাজার, প্রবর্তক মোড়, আগ্রাবাদসহ নিচু এলাকাগুলোতে জমে গেছে কোমর সমান পানি।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত নগরীতে ১০৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


শরীফুল আলম নামে নগরীর এক বাসিন্দা জানান, সকালে বাসা থেকে বের হয়ে হাটহজারীর আমান বাজার যাওয়ার পথে ষোলশহর এলাকায় কোমর সমান পানি থাকায় গাড়ি করে আর বেশিদূর যাওয়া যায়নি।

হারুনর রশিদ জানান, রাত ১২ টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত নগরীতে ২২ দশমিক ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
মোগলটুলি এলাকার বাসিন্দা ও চট্টগ্রামের স্থানীয় একটি দৈনিকের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক প্রবীর বড়–য়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজের জন্য রাস্তা কেটে ফেলায় কদমতলী থেকে বিআরটিসি মোড়ে পৌঁছাতে পাঁচ মিনিটের স্থলে ২০ মিনিট অতিক্রম হচ্ছে। ”
তিনি বলেন, “কেটে ফেলা রাস্তায় পানি ও কাদা জমে যাওয়ায় যানচলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে পুরো এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

” 
নগরীর হামজার বাগ এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহ জানান, কালভার্ট নির্মাণ ও রাস্তা সংস্তারের কারণে দুর্ভোগ বাড়ছে।
এছাড়া বহদ্দার হাট ও খাজা রোড এলাকায়ও একই ধরনের সমস্য হচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
চকবাজার এলাকার মিজানুর রহমান বলেন, রাতভর বৃষ্টি ও জোয়ার থাকায় চকবাজার কাঁচা বাজার পানির নিচে তলিয়ে গেছে। যার কারণে এলাকার বাসিন্দারা সকালে বাজার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যায়।
মৌসুমী বায়ূ সক্রিয় থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টা নগরীতে ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান পূর্বাভাস কর্মকর্তা হারুন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।